হঠাৎ বজ্রপাত
এখন আমি আপনাদের যে-খুনটার কথা বলব সেটা কিন্তু যথেষ্ট চাতুর্যপূর্ণ। সাধারণ হত্যাকারীরা খুনের পেছনে টাকা খরচ করে, কিন্তু বুদ্ধি খরচ করে না। ছোটবেলা থেকেই স্কুলের মাস্টারমশায়রা আমার মেধা লক্ষ করেছিলেন। সেই মেধা আমি লক্ষ করেছি আমার একমাত্র মেয়ে রাখীর মধ্যেও। ক্লাস ফোরে পড়লে কী হবে, সবাই ওর বুদ্ধির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তবে ওর মা– আই মিন আমার ওয়াইফ, সবিতা কিন্তু মোটেই সুবিধের নয়। যদি এরকম বউ কারও থেকে থাকে, তবে একমাত্র তিনিই বুঝতে পারবেন। মোটকথা ওরকম বউকে খুন করতেও কারও বাধে না–অন্তত আমার নয়।
সত্যিই আশ্চর্য ধাতুতে গড়া সবিতা। দিনরাত পার্টি, ফুর্তি আর কসমেটিক্স-এর পেছনে লেগে আছে তার সঙ্গে বারোজোড়া চটি–আটান্নখানা শাড়ি (এসবই রাখীর দৌলতে আমার জানা–ওর মায়ের কোন জিনিস কটা আছে তা ওর মুখস্থতা ছাড়া নতুন কিছু কেনা হলেই সবিতারও রাখীকে ডেকে কোলে বসিয়ে দেখানো চাই। ভয় হয়, শেষে রাখীও না ওর মায়ের মতো হয়!), আংটি, ঘড়ি, উইগ ইত্যাদির ঠেলায় আমার প্রাণ বর্তমানে গলার কাছে। আমি মাঝে-মাঝে চোখে অন্ধকার দেখি। পরে ভেবে দেখেছি, অফিসের ক্যাশ ভাঙার চেয়ে বউকে খুন করা অনেক সহজ।
আমার বাড়ির বাগানে পেছনদিকে একটা বড় পিপুল গাছ আছে। তার গুঁড়িটা ফঁপা চোঙার মতো। মাটি থেকে প্রায় আটফুট উঁচুতে গুঁড়িটায় একটা মাঝারি সাইজের ফোকর আছে। গুঁড়ির ভেতরটা বাইরের জমি থেকেও প্রায় দু-ফুট নিচু। ভাবলাম, এই গাছটাকেই সুন্দরভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে।
আনুষঙ্গিক সমস্ত কাজ সেরে নেওয়ার পর পুরোপুরি তৈরি হয়ে একটা দিন ঠিক করলাম। সবিতাকে বললাম, চলো, আজ দুজনে একটা সিনেমা দেখে আসি। ও কিন্তু মুখ বেঁকিয়ে জবাব দিল, অ্যাদ্দিন পর এ কী খেয়াল?
কথাটা বলে ও লিপস্টিক নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। আমি জোরজবরদস্তি করে ওকে রাজি করালাম। তখন ঘড়িতে সাড়ে সাতটা বাজে। রাখীকে এসব কিছু না জানিয়ে বোঝালাম, তোর মা একটু পরে রাত আটটার ট্রেনে একজন বন্ধুর সঙ্গে (এসব ব্যাপার রাখীও জানত) শিলং বেড়াতে যাবে–আমি পৌঁছে দিয়ে আসতে যাচ্ছি–তুই ভেতরের ঘরে খিল দিয়ে সাবধানে থাকিস।
শিলং বলার অনেক কারণ ছিল। প্রথমত, সবিতার অসংখ্য বন্ধুদের মধ্যে একজন ইন্দ্রজিৎ দস্তিদার–শিলং যাবে সেদিনই রাতের ট্রেনে। আর দ্বিতীয়ত, এটা জানতে পেরে আমিও ওই একই ট্রেনে একটা বার্থের রিজার্ভেশান টিকিট কেটে নিয়ে এসেছি (অনেক বুদ্ধি, পয়সা ও পরিশ্রম খরচ করে)।
আমাদের এলাকাটা তেমন জনবহুল নয়, তাই রক্ষে। রাখীকে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে বলে দরজাটা বন্ধ করে বাইরের ঘরে এলাম। এ-ঘরটাই সবিতার। ওর বন্ধুবান্ধবদের অভ্যর্থনার সুবিধের জন্যে ও এই বাইরের ঘরটাই থাকার জন্যে বেছে নিয়েছিল। ঘরে আলমারি, আলনা, টেবিল, চেয়ার, ড্রেসিংটেবিল ইত্যাদি সাজানো। সবই সবিতার প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র।
সবিতা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শাড়িটা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখছিল। আমি দরজাটা ভেজিয়ে দিয়ে ওর ঠিক পেছনে গিয়ে দাঁড়ালাম। ওকে বললাম, তোমার জন্যে একটা নেকলেস এনেছি।
আমার দু-হাত তখন আমার পেছনে।
সবিতা নেকলেসের কথায় একেবারে লাফিয়ে উঠল-আনন্দে দু-একবার ডার্লিং পর্যন্ত বলে ফেলল।
আমি ওকে বললাম, চোখ বোজো, পরিয়ে দিচ্ছি।
ও গয়নার নামে সরল মনে চোখ বন্ধ করল।
আমি শক্ত দড়িটা ওর গলায় পেঁচিয়ে টেনে ধরলাম।
আয়না দিয়ে দেখলাম, ওর চোখ ঠিকরে বেরিয়ে উঠল–আপ্রাণ চেষ্টা করল দড়িটা ছাড়ানোর–পারল না। ওর দেহটা ধপ করে মাটিতে পড়ে যেতেই আমি উত্তেজিত হয়ে পড়লাম। একটা অজানা ভয় আমাকে ঘিরে ধরল।
নিজেকে শক্ত করে এবার মূল নাটকের প্রধান অংশে হাত দিলাম। তাড়াতাড়ি ওর দেহটা টেনে নিয়ে গেলাম বাগানে–পাশের দরজা দিয়ে। তারপর গ্যারেজ থেকে গাড়ি বের করলাম। সবিতার দেহটাকে খাড়া করে পাশে বসিয়ে স্টিয়ারিং ধরলাম। গাড়ি স্টার্ট করার আগে ওর চোখে একটা সানগ্লাস বসিয়ে দিলাম (যাতে মৃত বলে বোঝা না যায়)। আর ওকে বাঁ-হাতে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম, যাতে দেহটা টলে না পড়ে যায়।
সদর দরজা পার হয়ে আমি গাড়ি থেকে নামলাম। সদর দরজায় তালা দিয়ে আবার ফিরে এসে গাড়িতে বসলাম। মৃতদেহটাকে যতটা সম্ভব স্বাভাবিকভাবে বসিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিলাম।
এইভাবে রেলস্টেশন পর্যন্ত গেলাম। সেখানে একটা নির্জন জায়গা দেখে গাড়ি দাঁড় করালাম। তারপর কায়দা করে সবিতার বডিটাকে সিটের নীচে ঠেলে দিলাম। সবশেষে গাড়ি চালালাম বাড়ির দিকে।
বাড়ির সদর দরজায় পৌঁছে দরজা খুললাম। তারপর গাড়ি গ্যারেজে তুললাম। সবিতার বডিটা টেনে বের করলাম–ওর চোখ থেকে সানগ্লাসটা খুলে নিয়ে পকেটে ভরলাম। তারপর ওর মৃতদেহটা গ্যারেজ থেকে পিপুল গাছ পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়ে অতিকষ্টে ফোকর দিয়ে কঁপা গুঁড়ির মধ্যে ঢুকিয়ে দিলাম। বাগানের যত জঞ্জাল, গুঁড়ো মাটি, সব নিয়ে এসে ঢালোম ওই গুঁড়ির ভেতরে।
একটু পরে চুপিচুপি ফিরে এসে চাবি দিয়ে দরজা খুলে টুক করে বসবার ঘরে ঢুকে পড়লাম। তারপর বাথরুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করলাম। হাত-পা ধোয়ার পর চেঁচিয়ে রাখীকে ডাকলাম (এটা বোঝাতে যে, গ্যারেজে গাড়ি ঢুকিয়ে আমি সোজা এসে বাথরুমে ঢুকেছি)। বললাম, আমার তোয়ালে আর সাবান দিয়ে যা…।
ও এসে বলল, তুমি কখন ফিরলে?
আমি নির্বিকার গলায় জবাব দিলাম, তা অনেকক্ষণ হল। গাড়ির আওয়াজ শুনিসনি তুই? শরীরটা ভালো লাগছে না বলে এসেই সোজা বাথরুমে ঢুকেছি হাত-পা ধুয়ে চান করতে।
ও5, জবাব দিল রাখী, মা বুঝি চলে গেল?
আমি কোনওরকমে জবাব দিলাম, হ্যাঁ আমি আর স্টেশানের ভেতর পর্যন্ত যাইনি।
একটু পরে ও এসে তোয়ালে আর সাবান দিয়ে গেল।
.
এরপর কয়েকদিন ধরে হাতের ছাপ, পায়ের ছাপ প্রয়োজনমতো কাপড় দিয়ে মুছে সাফ করেছি। গাছের ফঁপা গুঁড়ির ভেতরে বেশ কয়েক বোতল ফর্মালিন ঢেলে দিয়েছি। সত্যি বলতে কী এখন অনেক নিশ্চিন্তে আছি।
রাখী মাঝে-মাঝেই জিগ্যেস করে, বাবা, মা কবে আসবে?
আমি বলি, সে তো বলে যায়নি। তুই-ই বল না, কোনওবার তোর মা আমাকে বা তোকে বলে কোথাও গেছে?
একথায় ও চুপ করে থাকত।
অবশ্য অস্বীকার করতে পারব না, বাড়িটা এখন বেশ ফাঁকা-ফাঁকাই লাগে। সবিতা সবসময় সেজেগুজে টিপটপ হয়ে থাকত–নিত্য বাইরে যেত-আসত। বলতে গেলে গাড়িটা ওই ব্যবহার করত সর্বক্ষণ।
এইভাবে প্রায় পনেরোদিন যাওয়ার পর আমি ইন্দ্রজিৎ দস্তিদারের ঠিকানা জেনে তাকে একটা চিঠি দিলাম। অবশ্যই সবিতার খবর জানতে চেয়ে। কেন সে এখনও চিঠি দেয়নি? ইত্যাদি ইত্যাদি। চিঠির শেষে রাখীও কয়েক লাইন সবিতাকে লিখেছিল।
চিঠির উত্তর কী এল আপনারা আশা করি বুঝতেই পারছেন।
ইন্দ্রজিৎ লিখল যে, সে আমার চিঠি পেয়ে খুব অবাক হয়েছে। সবিতা তার সঙ্গে মোটেই যায়নি। সবিতা কোথায়, তাও সে জানে না।
চিঠি পেয়ে অবাক হওয়ার ভান করলাম। সম্ভব-অসম্ভব সব জায়গাতেই সবিতার খোঁজ করলাম। কিন্তু কোথাও ওর খোঁজ পাওয়া গেল না।
ইতিমধ্যে নিয়মিত ফর্মালিন ঢেলে মৃতদেহটাকে ঠিকঠাক রাখার চেষ্টা করেছি–আর মনমরা হয়ে থাকার ভান করেছি। এমনকী দু-চারদিন অফিসও কামাই করে ফেলেছি। শেষে পাড়ার কয়েকজন প্রতিবেশীর অনুরোধে আমি গেলাম পুলিশে খবর দিতে। সঙ্গে কয়েকজন হিতাকাঙ্ক্ষীও গেলেন। সেখানে ডায়েরি করে ক্লান্ত পায়ে বেরিয়ে এলাম থানা থেকে।
আমার এই অভিনয় চালাতে খুব একটা কষ্ট হচ্ছিল না। বরং রাখীর কাছ থেকে সহানুভূতি পাওয়ার আশায় একদিন রাখীকে না দেখার ভান করে বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে ফুলে-ফুলে কাঁদছিলাম। রাখী এসে আমার পিঠে হাত দিল। জানি না, বোধহয় আমাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিল। ওইটুকু মেয়ে, কিন্তু আমার মতই মেধা পেয়েছে–এটাও বুঝেছে যে, ওর মা-কে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।
.
পরদিন সকালবেলা পুলিশ এল। বলা নিষ্প্রয়োজন যে, আমি তৈরি ছিলাম–তাই এতটুকু ছটফটে ভাব প্রকাশ পেল না আমার ব্যবহারে। ওদের অভ্যর্থনা করে বাইরের ঘরে নিয়ে গিয়ে বসালাম। কিছুক্ষণ আলোচনার পর একজন অফিসার আমাকে সবিতার বিষয়ে প্রশ্ন করলেন। আমি অবিচলিত কণ্ঠে বলে গেলাম যে, সবিতার কাছে শিলং যাওয়ার একটা রিজার্ভেশান টিকিট দেখেছিলাম, এবং এও জানালাম যে, ও আমার কাছে বলেছিল ইন্দ্রজিতের সঙ্গে শিলং যাবে। কথাসূত্রে ইন্দ্রজিতের পরিচয়, ঠিকানা, ইত্যাদি বললাম এবং আমার চিঠির উত্তরে পাওয়া ওর চিঠিটাও দেখালাম। একইসঙ্গে বললাম যে, আমি নিজে গাড়ি করে সবিতাকে স্টেশনে পৌঁছে দিয়েছি।
ইনস্পেক্টর সবিতার ঘর সার্চ করলেন, কিন্তু দরকারি বিশেষ কিছুই পেলেন না। বোধহয় এরকম অদ্ভুত নিরুদ্দেশের কেস তিনি আগে পাননি। যাওয়ার সময় তিনি বললেন, এই অন্তর্ধান রহস্য সমাধান করার জন্যে আমি আটমোস্ট চেষ্টা করব–তবে আমার মনে হয় আপনার স্ত্রী আর বেঁচে নেই।
ইনস্পেক্টর একথা বলামাত্র আমি খুব অবাক হওয়ার ভান করে বললাম, নানা, অফিসার, এ কখনওই হতে পারে না। এ যে আমি চিন্তাও করতে পারছি না…ইত্যাদি ইত্যাদি।
পরের সপ্তাহে ইনস্পেক্টর আবার এলেন। তিনি বললেন, আপনার ইনফরমেশানের ওপরে বেস করে আমি খোঁজ করেছি, মিস্টার বর্মন। কিন্তু সমস্ত জায়গায় এনকোয়ারি করেও আপনার মিসেসের খোঁজ আমরা পাইনি। এটা আমাদের পক্ষে সত্যিই খুব লজ্জার কথা। তবে একটা বিষয়ে আমার একটু সন্দেহ জেগেছে। আশা করি আপনি সে-বিষয়টার এক্সপ্লানেশান দিতে পারবেন।
আমার ভুরু কুঁচকে উঠল। একটু চিন্তিত হলাম, বললাম, কী ব্যাপার?
মিস্টার বর্মন, একটি লোক আমাদের বলেছে যে, সে যখন আপনাকে আর আপনার স্ত্রীকে গাড়ি করে স্টেশানের দিকে যেতে দ্যাখে, তখন সে লক্ষ করে যে, আপনার ওয়াইফের চোখে একটা কালো চশমা ছিল…।
আমি বললাম, হ্যাঁ, ঠিকই দেখেছে লোকটি। সবিতা চায়নি যে, ওর বাইরে যাওয়ার খবর আর-কেউ জানুকবোঝেনই তো, বিবাহিতা হয়ে অন্য একজন পুরুষের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া…।
আপনি বাধা দেননি?
আমি চোয়াল শক্ত করে বললাম, না বাধা দিইনি। কারণ, দিয়ে কোনও লাভ হত না।
ইনস্পেক্টর এবার রাখীকে নিয়ে পড়লেন। কিন্তু রাখী আমার ধারণামতোই সুন্দরভাবে সব জবাব দিয়ে গেল। ইনস্পেক্টর কোনও হদিশ করতে না পেরে চলে গেলেন।
সবকিছু আমার প্ল্যানমতো ঘটতে লাগল। আমার ইচ্ছে আছে, তদন্তের ঝামেলা মিটে গেলে মৃতদেহটার একটা বন্দোবস্ত করব।
একদিন এইসব সাত-পাঁচ ভাবছি, এমন সময় ইনস্পেক্টর এলেন দলবল নিয়ে। আমি তাদের নিয়ে সবিতার ঘরে গেলাম। ইনস্পেক্টর আজ সবিতা সম্পর্কে অনেক কথা জিগ্যেস করলেন– বারবার। আমিও সাধ্যমতো জবাব দিয়ে গেলাম। রাখীকেও এ-কথা সেকথা জিগ্যেস করলেন। তারপর আমার দিকে ফিরে বললেন, মিস্টার বর্মন, এ-কেস সভ করা আমাদের সাধ্যের বাইরে। হয়তো আপনার ওয়াইফ কোথাও নিজের ইচ্ছেয় লুকিয়ে আছেন, কিন্তু তার যে ভালো-মন্দ কিছু হয়েছে তার কোনও সূত্রই আমাদের হাতে নেই। তবে ভগবান করুন, তাঁর যেন কোনও অমঙ্গ ল না হয়। আপনার কথা ভেবে আমার সত্যিই খারাপ লাগছে।
বলতে-বলতে উঠে দাঁড়ালেন ইনস্পেক্টর।
রাখী আলনার কাছে বসে-বসে কী যেন করছিল, হঠাৎই উঠে দৌড়ে এল আমার কাছে। ওর ওই ছোট্ট গলায় তীক্ষ্ণ স্বরে চেঁচিয়ে উঠল, বাবা, মা যদি শিলং গিয়ে থাকবে তবে মায়ের বারোজোড়া চটিই আলনার পড়ে আছে কেন? মা কি কোনওদিন খালি পায়ে বাড়ির বাইরে গেছে?
সমস্ত পৃথিবী আমার সামনে দুলে উঠল। পায়ের নীচে মাটি নড়ে উঠল। টলে পড়ে যাওয়ার আগে শুধু দেখলাম, ইনস্পেক্টর চলে যেতে গিয়েও থমকে দাঁড়িয়ে পড়েছেন।