কালের করাল স্রোতে ভেসে যায় জীবন
ভাসে হর্ষ- বিষাদের খড়কুটা,
চিরন্তন উচ্ছ্বসিত থাকে শূন্য দিগন্তের
অবিনশ্বর ইন্দ্রধনুচ্ছটা।
এক জানালা খোলা হাওয়া বয়ে এনেছিলে
তুমি আলেয়ার মত,
জীবনের সকল দীনতা কাটিয়েছিলে
আলোর পথে আলিঙ্গনরত।
নবান্নের গন্ধভরা আবেশে পৃথিবী খুঁজে
পেয়েছিল তোমার অনন্য অনুভব,
আকাশে বাতাসে মিশে আছে আজও
সেই স্নিগ্ধ সান্নিধ্যের বৈভব।
চাইনা আমি সূর্য – চন্দ্রের মাধুর্য…
আমৃত্যু বিস্তীর্ণ হৃদয় জুড়ে জমা রেখেছি
তোমার সাহিত্যের অতুল বৈচিত্র্য।
শক্ত হাতে ধরেছো কলম
ধূসর বিকেলের ক্লান্তি ঢেকে,
দুঃখ যত উড়িয়ে দিয়ে
মুক্তির স্বাদ সাজিয়ে পলকে।
বিদীর্ণ বুকে জাগ্রত কলমে
আশার স্বপ্ন বুনেছিলে অসীম,
ধূম্র কুয়াশার জট কাটিয়ে
গায়ে মেখেছিলে নবান্নের হিম।
রাতের আকাশের নক্ষত্রের মতো
তুমিও এক উজ্জ্বল নক্ষত্র,
স্তব্ধ সময়ের কাছে আসো ফিরে
বারে বারে হয়ে অনিবার্য।
কবিতা শোনার আকুলতা বাড়ে
তুমি প্রভাত কুসুম তরী,
অশ্রুসজল চোখে অন্তিম যন্ত্রণা ছোঁয়া
হৃদয় একতারার করুণ স্বরে তোমাকে স্মরি।
আদিগন্ত মিলেমিশে একাকার আজ
তোমার কলমের ছোঁয়ায়,
সহস্র স্মৃতির কাহিনীকে দিয়েছি ঠাঁই
গোপন হৃদয়ের মনিকোঠায়।