খণ্ডহরে জোড়া লাশ
জুতোটা যে বটকৃষ্ণবাবুই কখন চুপি চুপি এসে জানালা গলিয়ে ফেলে গিয়েছিলেন তাতে ভুল নেই। কিন্তু ভদ্রলোক কেন আর আমাদের মুখোমুখি হচ্ছেন না, এটাই অদ্ভুত। কর্নেল কিন্তু তেমনই নির্বিকার। শুয়ে শুয়ে দেখছিলাম, টেবিলবাতির আলোয় একটা গাব্দা বই পড়ছেন। বাইরে বেড়াতে এলেও উনি বইপত্র সঙ্গে আনেন। নিশ্চয় প্রজাপতি-অর্কিড-পাখি কিংবা প্রকৃতি সংক্রান্ত বই ওটা।
কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম এবং সেই ঘুম ভাঙল কর্নেলের ডাকে। ঘরে দিনের আলো। আজ আকাশ মোটামুটি পরিষ্কার। বারান্দায় রোদ্দুর ঝলমল করছে।
সুপ্রভাত ডার্লিং। বলে কর্নেল টেবিলের উপর কিটব্যগ রাখলেন। লক্ষ্য করলাম, অভ্যাসমতো প্রাতঃভ্রমণে গিয়েছিলেন। ক্যামেরা এব° বাইনোকুলার রেখে পা থেকে হান্টিং বুট খুললেন। রেন-জ্যাকেট তো বটেই, টুপি এবং দাড়িতে মাকড়সার জাল, পাতার কুচি ইত্যাদির নৈসর্গিক আবর্জনা পরিষ্কার করতে ব্যস্ত হলেন।
প্রায় আটটা বাজে। চুপচাপ বাথরুমে গেলাম। ফিরে এসে দেখলাম, কর্নেল পোশাক বদলেছে। কৃপানাথ টেবিলে কফির পট, পেয়ালা, কিছু স্ন্যাক্স রেখে। গেছে। বললাম, কেল্লাবাড়িতে গিয়েছিলেন নাকি?
যাওয়া উচিত। যাব।
আপনি বটকৃষ্ণবাবুর চিঠিটাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
দিচ্ছি। তবে প্রথম গুরুত্ব ওঁর রেখে যাওয়া একপাটি জুতো। কর্নেল হাসলেন। কিন্তু মজার কথা, এই একপাটি জুতো বাঁ পায়ের। ডান পায়ের জুতোটা বাংলোর নিচেই ঝোঁপের ভেতর কুড়িয়ে পেয়েছি। সস্তা রবারের পামসু। নবকুমারবাবুর মতো ধনী ব্যবসায়ীর পায়ে এমন জুতো শোভা পায় না। হুঁ, সেকেলে স্বভাবের হাড়কিপটে ব্যবসায়ীরা এমন সাদাসিধে জুতো পরতেই পারেন। কিন্তু জয়ন্ত, জুতো জোড়া ৬ নম্বরী। তার মানে খর্বকায় শীর্ণদেহী লোকের জুতো। এবং নতুন জুতো। কর্নেল টেবিলের তলায় রাখা জুতোজোড়া দেখিয়ে দিলেন।
আপনি যত্ন করে সাজিয়ে রেখেছেন দেখছি।
হ্যাঁ বটকৃষ্ণবাবুকে ফেরত দের। কারণ এ জুতো কলকাতা থেকে সদ্য কেনা। হাওড়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ওঁর পায়ে এই জুতো পরশু সন্ধ্যায় দেখেছিলাম।
হেসে ফেললাম। আপনি লক্ষ্য করেছিলেন তা হলে?
কর্নেল কফিতে চুমুক দিয়ে বললেন, কিন্তু প্রশ্ন হল, বটকৃষ্ণবাবু এভাবে আমাকে কার সঙ্গে লড়িয়ে দিতে চাইছেন? শুধু বুঝতে পারছি, এবার উনি কেল্লাবাড়ির ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে আমার যোগাযোগ ঘটাতে তৎপর হয়েছেন। দেখা যাক।
লোকটা অদ্ভুত।
কর্নেল আমার মন্তব্যে কান করলেন না। ঘড়ি দেখে বললেন, রহমত জিপ নিয়ে আসতে দেরি করছে কেন? তার আটটা নাগাদ এসে যাওয়ার কথা।
উনি বারান্দায় গিয়ে বাইনোকুলারে সম্ভবত রহমতের ধাবমান জিপ খুজতে থাকলেন। আমি রাতের পোশাক বদলে নিলাম।
রহমতের জিপ এল প্রায় পৌনে ন টায়। সামরিক সেলাম ঠুকে উদ্বিগ্ন মুখে বলল, বড়া খতরনাক কর্নিলসাব। সেইজন্য আসতে দেরি হল। কেল্লা বাড়ির খণ্ডহরে একজন বাঙালিবাবু খুন হয়েছেন। পাটোয়ারিজির পুরানা গদিতে কাজ করতেন উনি। খুব ভিড় হয়েছে। পুলিশ গেছে। তো–
কর্নেল কিছু বলার আগেই আমি প্রায় চেঁচিয়ে উঠলাম, বটকৃষ্ণবাবু!
রহমত বলল, জি সাব। ওহি বাবু। লাশ পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে।
কর্নেল চুপচাপ জিপের কাছে গেলেন। আমাকে উঠতে ইশারা করলেন। তারপর রহমত স্টিয়ারিঙে বসলে বললেন, কেল্লাবাড়ি।
বাঙালি এলাকা ছাড়িয়ে সদর রাস্তা থেকে জিপ সংকীর্ণ এবড়ো-খেবড়ো একটা রাস্তায় বাঁক নিল। এদিকটায় অসমতল মাটি রন জঙ্গলে ঢাকা। কিছু লোক সেই রাস্তায় ফিরে আসছিল। তারা আমাদের জিপ দেখে একবার থমকে দাঁড়াল। উত্তেজিতভাবে কিছু বলাবলি করল। তারপর চলে গেল। বুঝলাম তারা অত্যুৎসাহী প্রকৃতির লোক এবং অকুস্থল থেকে ফিরে আসছে।
জিপ যেখানে থামল, সেখানেই এই রাস্তার শেষ। সামনে গভীর গড়খাই জলে ভরা। একখানে বড় বড় পাথর পড়ে আছে সেই গড়খাইয়ে। তার ওধারে পাথুরে পাঁচিল ভেঙে পড়েছে। ভেতরে উঁচু-নিচু গাছ ঝোপঝাড় এবং ধ্বংসস্তূপ। তার ফাঁকে জরাজীর্ণ একটা বিশাল ইটের বাড়ি দেখা যাচ্ছিল। রহমতের সঙ্গে পাথরের উপর দিয়ে আমরা কেল্লাবাড়িতে ঢুকলাম। পায়ে চলা পথ দেখে বোঝা গেল কৃপানাথের কথা ঠিক নয়। কেল্লাবাড়িতে লোক চলাচল করে। সম্ভবত গরিব লোকেরা জ্বালানি কাঠ, ফলমূল সংগ্রহের জন্য এবং পাখি বা ছোট জন্তু শিকারেও আসে। একটু পরে দুধারে দুটো পুকুর দেখা গেল। ঘন জলজ গাছে ঢাকা। দুটোতেই পাথরের ভাঙাচোরা ঘাট আছে এবং ঘাটের দুদিকে বিধ্বস্ত কোনও ভাস্কর্যের চিহ্নও আছে। মধ্যিখানে পাথরের ইটে বাঁধানো পথ। সেই পথের অবস্থা শোচনীয়। ফাটলে ঘাস আর ঝোপ গজিয়েছে। পথের দুধারে প্রাচীন পামগাছের সারি ঢাকা পড়েছে বিশাল সব গাছের তলায়। প্রকাণ্ড লতা ঝুলছে। ইটের বাড়িটা মুখ থুবড়ে পড়েছে। দরজা-জানালার কাঠ লুঠ হয়ে গেছে কবে। বাড়ির সামনে প্রশস্ত সোপানের চিহ্ন টিকে আছে। রহমত সেই সোপানের কাছে গিয়ে বলল, এইখানে লাশ পড়েছিল। এই দেখুন কর্নিলসাব। এখনও রক্তের দাগ দেখা যাচ্ছে। ভোরে আবার খুব বৃষ্টি হয়েছিল। তাই রক্ত ধুয়ে গেছে।
কর্নেল বললেন, লাশ প্রথমে কে দেখতে পেয়েছিল?
মুসহর বস্তির একটা লোক স্যার। সে একটা খরগোশ তাড়া করে এসেছিল। লাশ দেখে সে বাঙালিটোলায় খবর দেয়। তারপর পুলিশের কাছে খবর যায়।
কি দিয়ে খুন করা হয়েছে জানো?
মাথার পিছনে শাবলের ঘা মেরেছিল খুনি। শাবলটা পাশেই পড়ে ছিল। পুলিশ নিয়ে গেছে।
পাটোয়ারিজি বা তার কোন লোক এসেছিল দেখেছ?
জি হাঁ। ওঁর ভাতিজা, আরও অনেকে এসেছিল।
লাশ কি অবস্থায় পড়েছিল?
উপুড় হয়ে।
হুঁ, খুনি পিছন থেকে মাথায় ঘা মেরেছিল। বলে কর্নেল ধাপ বেয়ে উঠলেন। বারান্দার দুটো মোটা থামের অর্ধেক ভাঙা এবং বারান্দা ধ্বংসস্তূপে ঢাকা পড়েছে।
রহমতের নিষেধ গ্রাহ্য না করে কর্নেল বারান্দার ধ্বংসস্তূপের উপর দিয়ে চলে গেলেন। আমি কৌতূহলী হয়ে ওঁকে অনুসরণ করলাম। রহমত পিছন। থেকে বলল, আমি জিপের কাছে যাচ্ছি স্যার।
কর্নেল একটি দরজার ফাঁকে ঝোপ সরিয়ে উঁকি দিচ্ছিলেন। সেইসময় লক্ষ্য করলাম, ঝোঁপের একপাশটা কাত হয়ে আছে এবং ছোট কয়েকটা ডাল ভেঙে পড়েছে। টাটকা ভাঙা বলে মনে হল। সেদিকে কর্নেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম। উনি শুধু বললেন, দেখেছি।
তারপর উনি মেঝের ধ্বংসস্তূপে উঠে থমকে দাঁড়ালেন। ওঁর মুখে বিস্ময় লক্ষ্য করে বললাম, কি?
কর্নেল মৃদুস্বরে বললেন, পুলিশের এটা চোখে পড়া উচিত ছিল। তবে আমি প্রকৃতিচর বলেই প্রকৃতির কোথাও যেটুকু অস্বাভাবিকতা আবিষ্কার করতে পারি, পুলিশ তা পারে না। বিশেষ করে বর্ষাকাল এবং গত তিনদিন ধরে বৃষ্টি হয়েছে। তার ফলে অস্বাভাবিকতা অনেকটা ঘুচে গেছে।
এবার আমিও সাবধানে পা ফেলে ভূপটায় উঠলাম। একপাশে বিপজ্জনকভাবে দুটো লোহার বর্গার কিছুটা নেমে এসে স্কুপে ঢুকেছে। তার উপর ছাদের খানিকটা অংশ এবং তলায় ঘন ছায়া। মেঝের বাকি অংশে বোদ্র পড়েছে। বললাম, খোঁড়াখুঁড়ির চিহ্ন নাকি?
নাহ। কেউ খুঁড়তেই এসেছিল। খোঁড়া হয়নি। উল্টোদিক থেকে কেউ এসে পড়েছিল। ওই যে দেখছ, উল্টোদিকের দরজার ঝোঁপেরও একই অবস্থা।
বলে কর্নেল কিটব্যাগ থেকে একটা ছোট্ট খুন্তির মতো জিনিস বের করলেন। বিরল প্রজাতির উদ্ভিদের চারা সংগ্রহে ওটা ওঁকে ব্যবহার করতে দেখেছি। এবার উনি দুহাতে রবারের দস্তানা পরে বিপজ্জনকভাবে ঝুলে থেকে ছাদটুকুর তলায় ঢুকে গেলেন। সাবধান করতে গিয়ে থেমে গেলাম। জানি, উনি আমার কথায় কান দেবেন না।
প্রায় মিনিট দুই খোঁড়ার পর কর্নেল বেরিয়ে এলেন। একটু হেসে বললাম, গুপ্তযুগের প্রত্নভাস্কর্য খুঁজেতে বড্ড বেশি রিস্ক নিচ্ছেন কিন্তু। এখানে সাপের আচ্ছা।
কর্নেল বললেন, অত্যুৎসাহী বটকৃষ্ণবাবু নিজের বুদ্ধির দোষেই প্রাণটা খুইয়েছেন। বেচারার জন্য দুঃখ হচ্ছে।
উনি বেরিয়ে গেলেন। সোপানে পৌঁছে বললাম, বটকৃষ্ণবাবু কি প্রত্নভাস্কর্যের খোঁজে এসেছিলেন?
নাহ্। একটা লাশের খোঁজে।
চমকে উঠলাম। তার মানে?
একটা লাশের খোঁজে এসে বেচারা নিজেই লাশ হয়ে গেছেন।
কার লাশ?
নবকুমারবাবুর বলেই ধরে নেওয়া যায়। কারণ চিঠিতে বটকৃষ্ণবাবু আমাদের একথা জানিয়েছিলেন। পাছে আমি ওঁর কথা গ্রাহ্য না করি, তাই নিজের জুতো ফেলে দিয়ে এসেছিলেন বাংলায়। তার পরও যখন উনি দেখলেন আমি গ্রাহ্য করছি না, তখন ভোরবেলায় উনি নিজেই ওই পুঁতে রাখা লাশ খুঁড়ে বের করতে এসেছিলেন। সেই সময় আততায়ী ওঁকে অনুসরণ করে এসেছিল। তারপর ওঁর শাবল কেড়ে নিয়ে ওঁকেই লাশ বানিয়ে গেছে।
আপনি এমনভাবে বলছেন যেন নিজের চোখে সব দেখেছেন।
চিহ্নগুলি এক একটি তথ্য। তথ্যগুলি থেকে আমার কাছে এই ঘটনা এসে দাঁড়াচ্ছে।
কার পুঁতে রাখা লাশ খুঁড়ে বের করতে গেলেন কেন বটকৃষ্ণবাবু?
লাশের খবর হলে আমি গিয়ে পড়ব, উনি জানতেন। কর্নেল হাঁটতে হাঁটতে বললেন, আমার ভুলে নয়, নিজের ভুল এবং হঠকারিতায় বটকৃষ্ণবাবু মারা পড়লেন। একটু ধৈর্য ধরা ওঁর উচিত ছিল। বড় অদ্ভুত চরিত্রের লোক ছিলেন বটকৃষ্ণ গুই। কিংবা–
কিংবা?
ওঁর মনে কোনও অভিসন্ধি ছিল। এমনও হতে পারে, আমার হাত দিয়ে হুঁকো খেতে চেয়েছিলেন।
হুঁকো খেতে? সে আবার কি?
কর্নেল বিষণ্ণভাবে হাসলেন। পুরনো বাংলা প্রবচন আছে, পরের হাতে হুঁকো খাওয়া।
তা হলে বলুন, গুপ্তযুগের সেই প্রত্নভাস্কর্য উদ্ধারের সূত্র আপনার সাহায্যে–
কর্নেল থমকে দাঁড়ালে চুপ করলাম। উনি পাথুরে পথটার দুধারে পুকুর দুটি দেখতে থাকলেন।
একটু পরে বললেন, আশ্চর্য তো!
আমাদের বাঁদিকের পুকুরটা উঁচুতে এবং ডানদিকেরটা নিচুতে। বলে আবার হাঁটতে শুরু করলেন। এখনই থানায় যেতে হবে। দেরি করা ঠিক হচ্ছে না
এই নিরিবিলি জায়গায় তার আগেই যদি নবকুমারবাবুর লাশ খুনি সরিয়ে ফেলে? দিনদুপুরে তা পারবে না। ওদিকে মুসহর বস্তি আছে নদীর ধারে। তাছাড়া কৌতূহলী লোকেরা ঘটনাস্থল দেখতে আসতে পারে। তাদের চোখে পড়বে। বলে কর্নেল আঙুল তুললেন। ওই দেখ, একদল লোক আবার আসছে। খবর ছড়িয়ে পড়ছে ক্রমশ।
নানা বয়সী একদল লোক কর্নেলের দিকে কেমনচোখে তাকাতে তাকাতে পাশ কাটিয়ে গেল। পাদ্রিবাবা ভাবল কি না কে জানে!
রহমত জিপের কাছে অপেক্ষা করছিল। গড়খাই পেরিয়ে গিয়ে আমরা জিপে চাপলাম। কর্নেল বললেন, এবার পুলিশ স্টেশন চলো রহমত।
পুলিশ স্টেশন নিউ টাউনশিপ এলাকায়। পৌঁছুতে সাড়ে নটা বেজে গেল। কর্নেল বললেন, তোমার মুখ দেখে বুঝতে পারছি, খিদে পেয়েছে। তুমি বসে থাকো। আমি এখনই আসছি।
উনি নেমে গেলেন। গেটে সেন্ট্রি দাঁড়িয়ে ছিল। কর্নেল তার পাশ কাটিয়ে ভেতরে ঢুকে গেলেন।
রহমত দুঃখিত মুখে বলল, আজকাল খুনখারাপি লেগেই আছে। কেউ আইনকানুন মেনে চলছে না। পুলিশ কিছু করবে ভাবছেন? কিছু না। তবে স্যার,
ওই বাবু পাটোয়ারিজির গদিতে কাজ করতেন। দেখা যাক, ওঁরা পুলিশকে চাপ দিয়ে কিছু করাতে পারেন কি না। সুন্দরজি খুব বড়া আদমি। মিনিস্টার, এম এল এর সঙ্গে ওঁর চেনাজানা আছে। কিন্তু ওই বাবুজিরও দোষ আছে স্যার।
কি দোষ?
জেলখাটা লোক। পোস্ট অফিসের পিয়ন ছিলেন। তারপর চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন। লোককে ঠকিয়ে পয়সা কামাতেন। তো আমি বুঝতে পারছি না উনি খণ্ডহরে কেন গিয়েছিলেন? আর শাবলই বা ওখানে কে নিয়ে গেল? রহমত মুখে রহস্য ফুটিয়ে বলল, শুনেছি, কেল্লাবাড়িতে খাজানা (গুপ্তধন) পোঁতা আছে। থাকতেই পারে। পুরনো আমলের রাজবাড়ি। কলকাতার বাঙালি জমিদারবাবুরা কোন আমলে খরিদ করেছিলেন। আমি বছর তিনেক আগে এখানে বদলি হয়েছি। কত গল্প শুনি।
সে গল্প শোনাতে থাকল। আজগুবি সব গল্প। তারপর কর্নেল ফিরে এসে বললেন, সোজা ফরেস্ট বাংলো, রহমত। তারপর আমার দিকে ঘুরে আস্তে করে বললেন একটা লাশ পোঁতা আছে বলেছি পুলিশকে। তবে কার লাশ তা বলিনি। কারণ যদি অন্য কারও লাশ হয়?