উদ্ধারে প্রেম বেশীদিন আগের কথা নয়। নিরিবিলি এক গ্ৰাম সুধন্যপুরের

প্রেম সে তো দিবালোক,এগোনোর ঠিকানায় রাত্রির সম্ভাষণ,তবু কান্নার পায়ের আওয়াজ

কাটাকুটির খেলাটি অন্তিম লগনে এসেথমকে দাঁড়ায়।কি লাভ হলো জীবনেকতটা লোকসান

সঙ্গে থাকা ঝাঁঝালো বারুদের পাত্রখানিউপছে পড়ছে এই বিপন্ন বেলায়,ভেতরে প্রস্তুত

তমাল গাছে আত্মা বাড়ীতে ফিরেই নিশান উদভ্রান্তের মতন চেয়ে থাকে

সমুদ্র মন্থিত হলাহল নিয়ে নীলকন্ঠ হলযে প্রাণপুরুষ,সে কোনো অস্পৃশ্য অনুভূতি

কার কাছে তুমি বাড়িয়েছো হাত?সেই হাতে নাড়ু পেলেকতটা থাকবে তুমি

উধোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে কি তাজ্জব ব্যাপার বলুন তো? সুলোভ

টুকরো টুকরো স্মৃতির ঝাঁপি খুললেবিষাদের হাহাকার শুনি।অতঃপর ভারবাহী দিনে ফ্যাকাশে

দুঃখগুলোর হিসেব করতে করতে তরাজুটাই দেখিবেসামাল হয়ে হাঁপ ছাড়ে।ভারাক্রান্ত মনের

চারধারে উত্তাপের হাতছানি।হুল্লোড়ে মেতে আছে দানবেরা,ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে যত কোলাহলেঅভাবের দেশে

বেশ ভালো আছি।সূচিন্তনের ভেতর বসত গড়েসুগম সরণী বেয়ে যেতে যেতেআচমকা

এই তো হার্ডলগুলো টপকে নিশানারগন্ডিতে এসে দাঁড়ালে!তবুও আঁতিপাঁতি কিসের সন্ধান?এই

নিখোঁজের পরবর্তী নাটক বেশীদিন আগের ঘটনা নয়। পরিবারের লোকজন খেয়েদেয়ে

কত কত স্মৃতি নানা অছিলায়দারুণ প্রভাবশীল!ওদের হাতে ক্রীড়ানক হয়ে দিনযাপনেরদুঃস্বপ্ন

বিষাদের বিশদ ধারাভাষ্যে মনমরা বিশ্বেদিশেহারা সামনের রাজপথে।সাবধানতার লাগামে বেঁধে প্রাণটাকে

ভুল, না ভুল প্রত্যন্ত এক গাঁয়ের কথা বলি। রাজচন্দ্রপুর। সেখানে

মধ্যাহ্নে থেমে আধময়লা বয়সটাকে একটু ঝাঁড়পোঁছ করেআবার চাই এগোতে, এগোতে

নড়ন-চড়ন নেই। এক স্থিরতার অবাধ প্রশয়েমানুষের ভেতর অভাবিত আহ্লাদ,এতে আশেপাশের

মোহময়ী জাল বিপাকে এনেছে পরাজয়বারবার পরিবেশে এত মহানিম!গোধূলিবেলায় খুঁটিগুলি খুব

হাওয়ায় পেলাম বিষাক্ত আমেজ। ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে ধর্মকে শাঁসালো যন্ত্র

না, এমন নয়, পথ হাঁটিএঁকেবেঁকে বঙ্কিম পথ বেয়ে।আর নয়, যাব

মাত্রাছাড়া আবেগকে এবার ভাবনার শক্ত নিগড়ে বেঁধে ফেললাম।এখন পলকা লাগে

ভাসমান বয়ার ওপর জীবনখানাহেলছে , দুলছে, কাঁপছে,‘হেই সামাল হো ‘

শূণ্যতার আবাস ছেড়ে সামনের দিকেএগোতে এগোতে এগোতেওই যে আলো!আলোর বিচ্ছুরণে

দধীচিকে এখনো যায় না ভোলা,এখন আত্মহনন দেবতাকে দিলো অকাতরে নজরানা,মঙ্গলযজ্ঞে

নিঃস্ব থেকে উত্তরণের সড়কটি আজোভাসা-ভাসা মনশ্চক্ষুতে।তবুও সাধ থেকে সাধ্যের তাড়নায়কিছুটা

পোষ্যর দয়া মায়া না, শীতটা খুব জাঁকিয়ে পড়েছে।কিউল তাই সোয়েটার-মাফলার

মুখ দেখেই মাতাল হলামআগুন বোঝে মনশরীর জুড়ে কম্প এলোকোথায় আমি

আজব আচরণে কি আশ্চর্য ঘটনা পৃথিবীতে এমনও ঘটে! মানুষ কেন

মানব-বোমা ছড়িয়ে চারপাশেকেউ মানে না নিষেধ-বেড়াখানি,আলতো পায়ে কান দুটি তাই

হাঁটতে হাঁটতে হাঁটতে পায়ে ফোস্কা নিয়েহাঁপিয়ে উঠলাম ভাই, গাছের ছায়া

কামিনীকাঞ্চন অধরায় স্পর্শকাতরতা চিনচিন করেধমনীর গোপন কুলকুল স্রোতে,হিংসা তাই ঘাড়

পঞ্চবিধ পাপের মৃত্যু নেই জেনেশ্মশানে ডুগডুগি বাজায়হা-হতোষ্মির দল! ওদের দুটি

কেউ যদি পাশে না থাকে অথবাকারোর সাড়া যদি না মেলেবিপন্নতার

কচুরিপানায় ডুব দিতে দিতে দিতেউথাল-পাথাল ভান্ডে উপছে পড়ে গরল!আলুথালু বস্ত্রে

ভয়গুলোর কোণ জুড়ে ঠাসাঠাসি।অকূলে কূলের খোঁজে সন্তরণ-পটু মানুষটাওবেবাক হতবাক।থরথর স্নায়ুদেশে

একটুকরো ছাদ দিলে যদি আমায়বন্যায় ভাসতে চাই নি বলে,হৃদয়ে আগুন

পাপড়ি খসে যাওয়ার মুহুর্তে ফুলের তীব্র যন্ত্রণাঅনুষঙ্গ চেতনায় টের পাই

কখনো চাই না আহ্লাদের প্রিয় হাত,কঠিন সমরে ছাইভস্ম মেখেও পেরোতে