আবনান্ত বনবীথি, আদিগন্ত নীলাকাশ—-
মাঝে বয়ে চলা কিশোরী কাঁসাইয়ের দীঘল শরীর
ঘাট ছোঁয়া জল তির তির করে বয়ে চলে বনের চরণ ছুঁয়ে।
ভোরের শিশির মাখা বাতাস নদীর কানে কানে বলে—-“চল, সই পাতাই—“
মনকেমনিয়া আড়বাঁশির সুরে ভেসে যায় নদীতট।
আউল বাতাস কিশোরী নদী শরীরে শিহরণ তোলে।
দক্ষিণা পবন শালমঞ্জুরীর সুবাস বয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে নদীর বুকে।
সুবাসিত নদী সমীর সোহাগে আমোদিনী।
ঝরা শাল পাতার আঁচল নদীকে সাজায়।
সুগন্ধি শাল মঞ্জুরী খোঁপার চুড়ামণি
খোয়াই টাঁড়ে র রাঙ্গামাটি —-আলতা পাটি!
ঝুমুরের ছন্দে মাদলের দ্রিম দ্রিম বোলে
জঙ্গল কন্যা কাঁসাই নেচে চলে।
দুপুরের নিস্তব্ধ নিবিড়তার শীতল ছায়া
নদীকে আবেশে জড়ায়।
স্রোতে ভেসে চলা বনফুল নদীকে গল্প শোনায়—
টুসু ভাদুর গল্প!
দিনমনী অস্তাচলগামী হন!
অস্তরবির লালিমায় রাঙ্গা হয় কিশোরী কাঁসাই।
ধীরে ধীরে আঁধারের ওড়নায় ঢাকা পড়ে তার মুখ।
আকাশে ফুটে ওঠে তপস্বিনী জপমালার মতির মত— একটি দুটি তারা!
বাতাসের আলিঙ্গনে চোখ বোজে সোহাগী কাঁসাই।