সৈয়দ শামসুল হক (বাংলাদেশের সব্যসাচী লেখক)
সৈয়দ শামসুল হক ১৯৩৫ সালের ২৭শে ডিসেম্বর বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন ও মা হালিমা খাতুন। বাবা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন পেশায় ছিলেন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার। সৈয়দ হক তার বাবা-মায়ের আট সন্তানের জ্যেষ্ঠতম। পুরনো ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে অবস্থিত সৈয়দ শামসুল হকের বাড়ী।
সৈয়দ হকের শিক্ষাজীবন শুরু হয় কুড়িগ্রাম মাইনর স্কুলে। সেখানে তিনি ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। এরপর তিনি ভর্তি হন কুড়িগ্রাম হাই ইংলিশ স্কুলে। এরপর ১৯৫০ সালে গণিতে লেটার মার্কস নিয়ে সৈয়দ শামসুল হক ম্যাট্রিক (বর্তমানের এস.এস.সি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। সৈয়দ শামসুল হকের পিতার ইচ্ছা ছিল তাকে তিনি ডাক্তারি পড়াবেন। পিতার ইচ্ছাকে অগ্রাহ্য করে তিনি ১৯৫১ সালে বম্বে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি বছরখানেকের বেশি সময় এক সিনেমা প্রডাকশন হাউসে সহকারী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ১৯৫২ সালে তিনি দেশে ফিরে এসে জগন্নাথ কলেজে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মানবিক শাখায় ভর্তি হন। কলেজ পাসের পর ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। পরবর্তীতে স্নাতক পাসের আগেই ১৯৫৬ সালে পড়াশোনা অসমাপ্ত রেখে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। এর কিছুদিন পর তার প্রথম উপন্যাস ‘দেয়ালের দেশ’ প্রকাশিত হয়।
সৈয়দ হক তাঁর বাবা মারা যাবার পর অর্থকষ্টে পড়লে চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্য লেখা শুরু করেন। ১৯৫৯ সালে তিনি ‘মাটির পাহাড়’ চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেন। পরে ‘তোমার আমার’, ‘শীত বিকেল’, ‘কাঁচ কাটা হীরে’, ‘ক খ গ ঘ ঙ’, ‘বড় ভাল লোক ছিল’, ‘পুরস্কার’ সহ আরও বেশ কিছু চলচ্চিত্রের কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লেখেন। ‘বড় ভাল লোক ছিল’ ও ‘পুরস্কার’ নামে দুটি চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ত্যাগ করে লন্ডন চলে যান এবং সেখানে বি.বি.সি-র বাংলা খবর পাঠক হিসেবে চাকুরি গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসর্মপণের খবরটি পাঠ করেছিলেন। পরে ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত বি বি.সি-র বাংলার প্রযোজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার দৃঢ়কণ্ঠ সাবলীল উচ্চারণের জন্য তিনি জনসাধারণের কাছে পরিচিতি লাভ করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাবলি –
১). নিষিদ্ধ লোবান
২). খেলারাম খেলে যা
৩). পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
৪). নুরলদীনের সারাজীবন
সৈয়দ শামসুল হক মাত্র ৩১ বছর বয়সে ১৯৬৬ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেছিলেন। বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়া সাহিত্যিকদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে কম বয়সে এ পুরস্কার লাভ করেছেন। এছাড়া বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক এবং ২০০০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।
টাইফয়েডে শয্যাশায়ী কবি তার বাড়ির রান্নাঘরের পাশে সজনে গাছে একটি লাল টুকটুকে পাখি দেখে দু’লাইনের একটি পদ “আমার ঘরে জানালার পাশে গাছ রহিয়াছে/ তাহার উপরে দুটি লাল পাখি বসিয়া আছে” রচনা করেন। এরপর ১৯৪৯-৫০ সালের দিকে ম্যাট্রিক পরীক্ষার পরে ব্যক্তিগত খাতায় ২০০টির মতো কবিতা রচনা করেন।
সৈয়দ শামসুল হকের প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৫১ সালের মে মাসে। ফজলে লোহানী সম্পাদিত ‘অগত্যা’ পত্রিকায়। সেখানে ‘উদয়াস্ত’ নামে তার একটি গল্প ছাপা হয়।
সৈয়দ শামসুল হকের ভাষ্য অনুযায়ী তার রচিত প্রথম পদ তিনি লিখেছিলেন এগারো-বারো বছর বয়সে।
তাঁর — “পরানের গহীন ভিতর” কাব্যের একটি জনপ্রিয় অংশ –
“আমি কার কাছে গিয়া জিগামু সে দুঃখ দ্যায় ক্যান, ক্যান এত তপ্ত কথা কয়, ক্যান পাশ ফিরা শোয়,
ঘরের বিছান নিয়া ক্যান অন্য ধানখ্যাত রোয়?
অথচ বিয়ার আগে আমি তার আছিলাম ধ্যান।
আছিলাম ঘুমের ভিতরে তার য্যান জলপিপি,
বাঁশির লহরে ডোবা পরানের ঘাসের ভিতরে,
এখন শুকনা পাতা উঠানের পরে খেলা করে,
এখন সংসার ভরা ইন্দুরের বড় বড় ঢিপি।
মানুষ এমন ভাবে বদলায়া যায়, ক্যান যায়?
পুন্নিমার চান হয় অমাবস্যা কিভাবে আবার?
সাধের পিনিস ক্যান রঙচটা রদ্দুরে শুকায়?
সিন্দুরমতির মেলা হয় ক্যান বিরান পাথার?
মানুষ এমন তয়, একবার পাইবার পর
নিতান্ত মাটির মনে হয় তার সোনার মোহর।।”
সৈয়দ হকের কবিতায় রয়েছে গভীর অনুপ্রেরণা। তার প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘একদা এক রাজ্যে’ ১৯৬১ সালে প্রকাশিত হয়। পরে ‘বৈশাখে রচিত পংক্তিমালা’, ‘পরাণের গহীন ভেতর’, ‘নাভিমূলে ভস্মাধার’, ‘আমার শহর ঢাকা’, ‘বেজান শহরের জন্য কোরাস’, ‘বৃষ্টি ও জলের কবিতা’ প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থগুলো তাকে পাঠকমহলে জনপ্রিয় করে তুলে। সৈয়দ হক মৃত্যুর আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে তার শেষ কবিতাটি লিখেন। কবিতার নাম আহা, আজ কি আনন্দ অপার!
বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে সক্রিয় একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশের সাহিত্যিক। কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প, অনুবাদ তথা সাহিত্যের সকল শাখায় সাবলীল পদচারণার জন্য তাকে ‘সব্যসাচী লেখক’ বলা হয়। তার লেখকজীবন প্রায় ৬২ বছর ব্যাপী বিস্তৃত।
সৈয়দ হক প্রথিতযশা লেখিকা ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আনোয়ারা সৈয়দ হককে বিয়ে করেন। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। নাম – বিদিতা সৈয়দ হক (মেয়ে),দ্বিতীয় সৈয়দ হক (ছেলে)।
২০১৬ সালের ১৫ই এপ্রিল ফুসফুসের সমস্যা দেখা দিলে তাকে লন্ডন নিয়ে যাওয়া হয়। লন্ডনের রয়্যাল মার্সডেন হাসপাতালে পরীক্ষায় তার ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দেয়। চার মাস চিকিৎসার পর ২রা সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে (১২ আশ্বিন ১৪২৩ বঙ্গাব্দ) ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৮০ বছর বয়সে। পরদিন ২৮শে সেপ্টেম্বর বুধবার (১২ আশ্বিন ১৪২৩ বঙ্গাব্দ) চ্যানেল আই টেলিভিশনের তেজগাঁও চত্বরে সকাল ১০টায় প্রথম দফা জানাজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দুপুর ২টায় দ্বিতীয় দফা জানাজা এবং অপরাহ্নে কুড়িগ্রামে তৃতীয় দফা জানাজা শেষে তার মরদেহ কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের পাশে দাফন করা হয়।
[ তাঁর গ্রন্থতালিকা ]
( উপন্যাস )
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ১৯৫৬ সালে প্রথম উপন্যাস ‘দেয়ালের দেশ’ প্রকাশিত হয়। তার রচিত এক ‘মহিলার ছবি’ (১৯৬১ সাল), ‘অনুপম দিন’ (১৯৬২ সাল), ‘সীমানা ছাড়িয়ে’ (১৯৬৪ সাল) উপন্যাসগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করে। ষাটের দশকে তার রচিত উপন্যাসগুলো পূর্বাণী পত্রিকায় ঈদসংখ্যায় প্রকাশিত হত। তার রচিত ‘খেলারাম খেলে যা’ উপন্যাসকে অনেকে যৌনআশ্রিত বলে আখ্যা দেন। তিনি উপন্যাসের ভূমিকায় এই উপন্যাসকে ‘এদেশের সবচেয়ে ভুল বোঝা উপন্যাস’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
১). দেয়ালের দেশ
২). এক মহিলার ছবি (১৯৫৯ সাল)
৩). অনুপম দিন (১৯৬২ সাল)
৪). সীমানা ছাড়িয়ে (১৯৬৪ সাল)
৫). নীল দংশন (১৯৮১ সাল)
৬). স্মৃতিমেধ (১৯৮৬ সাল)
৭). মৃগয়ায় কালক্ষেপ (১৯৮৬ সাল)
৮). স্তব্ধতার অনুবাদ (১৯৮৭ সাল)
৯). এক যুবকের ছায়াপথ (১৯৮৭ সাল)
১০). স্বপ্ন সংক্রান্ত (১৯৮৯ সাল)
১২). বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ (১ম খণ্ড১৯৮৯, ২য় খণ্ড ১৯৯০)
১২). বারো দিনের শিশু (১৯৮৯ সাল)
১৩). বনবালা কিছু টাকা ধার নিয়েছিল (১৯৮৯ সাল)
১৪). ত্রাহি (১৯৮৯ সাল)
১৫). তুমি সেই তরবারী (১৯৮৯ সাল)
১৬). কয়েকটি মানুষের সোনালী যৌবন (১৯৮৯ সাল)
১৭). শ্রেষ্ঠ উপন্যাস (১৯৯০ সাল)
১৮). নির্বাসিতা (১৯৯০ সাল)
১৯). নিষিদ্ধ লোবান (১৯৯০ সাল)
২০). খেলারাম খেলে যা (১৯৯১ সাল)
২১). মেঘ ও মেশিন (১৯৯১ সাল)
২২). ইহা মানুষ (১৯৯১ সাল)
২৩). মহাশূন্যে পরাণ মাষ্টার
২৪). দ্বিতীয় দিনের কাহিনী
২৫). বালিকার চন্দ্রযান
২৬). আয়না বিবির পালা
২৭). কালঘর্ম
২৮). দূরত্ব
২৯). না যেয়ো না
৩০). অন্য এক আলিঙ্গন
৩১). এক মুঠো জন্মভূমি
৩২). বুকঝিম ভালোবাসা
৩৩). অচেনা
৩৪). আলোর জন্য
৩৫). রাজার সুন্দরী
( কাব্যনাট্য )
সৈয়দ হক নাট্যকার হিসেবে সফলতা পেয়েছেন। বিবিসি বাংলায় নাটকে কাজ করার মাধ্যমে তিনি নাট্যকার হিসেবে পরিচিতি পান। তার পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় নাটকটি মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত একটি কাব্য নাটক। তার পরের নাটক নুরুলদীনের সারাজীবন ফকির বিদ্রোহের পটভূমিতে রচিত। সৈয়দ হক তার রচনায় সমসাময়িক বাংলাদেশ এবং মধ্যবিত্ত সমাজের আবেগ-অনুভূতি ও ভালো-মন্দ দিকগুলো তুলে ধরেন। তার অন্যান্য নাটক নারীগণ, যুদ্ধ এবং যোদ্ধা, ঈর্ষা, এখানে এখন-এ সমকালীন বাস্তবতা ফুটে ওঠেছে।
১). পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় (১৯৭৬ সাল)
২). গণনায়ক (১৯৭৬ সাল)
৩). নুরলদীনের সারাজীবন (১৯৮২ সাল)
৪). এখানে এখন (১৯৮৮ সাল)
৫). কাব্যনাট্য সমগ্র (১৯৯১ সাল)
৬). ঈর্ষা
৭). বাংলার মাটি বাংলার জল
৮). নারীগণ
( ছোট-গল্প )
১). তাস (১৯৫৪ সাল),
২). শীত বিকেল (১৯৫৯ সাল),
৩). রক্তগোলাপ (১৯৬৪ সাল),
৪). আনন্দের মৃত্যু (১৯৬৭ সাল),
৫). প্রাচীন বংশের নিঃস্ব সন্তান (১৯৮২ সাল),
৬). সৈয়দ শামসুল হকের প্রেমের গল্প (১৯৯০ সাল),
৭). জলেশ্বরীর গল্পগুলো (১৯৯০ সাল),
৮). শ্রেষ্ঠ গল্প (১৯৯০ সাল)
( কবিতা )
১). একদা এক রাজ্যে (১৯৬১ সাল),
২). বিরতিহীন উৎসব (১৯৬৯ সাল),
৩). বৈশাখে রচিত পংক্তিমালা (১৯৭০ সাল),
৪). প্রতিধ্বনিগণ (১৯৭৩ সাল),
৫). অপর পুরুষ (১৯৭৮ সাল),
৬). পরাণের গহীন ভিতর (১৯৮০ সাল),
৭). নিজস্ব বিষয় (১৯৮২ সাল),
৮). রজ্জুপথে চলেছি (১৯৮৮ সাল)
৯). বেজান শহরের জন্য কোরাস (১৯৮৯ সাল)
১০). এক আশ্চর্য সংগমের স্মৃতি (১৯৮৯ সাল)
১১). অগ্নি ও জলের কবিতা (১৯৮৯নসাল)
১২). কাননে কাননে তোমারই সন্ধানে (১৯৯০ সাল)
১৩). আমি জন্মগ্রহণ করিনি (১৯৯০ সাল)
১৪). তোরাপের ভাই (১৯৯০ সাল)
১৫). শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৯০ সাল)
১৬). রাজনৈতিক কবিতা (১৯৯১ সাল)
১৭). নাভিমূলে ভস্মাধার
১৮). কবিতা সংগ্রহ
১৯). প্রেমের কবিতা
২০). ধ্বংস্তূপে কবি ও নগর (২০০৯ সাল)
( প্রবন্ধ )
১). হৃৎ কলমের টানে (১ম খণ্ড ১৯৯১ সাল, ২য় খণ্ড ১৯৯৫ সাল)
২). মার্জিনে মন্তব্য
৩). কথা কাব্য
৪). অন্তর্গত
( আত্মজীবনী )
১). প্রণীত জীবন
( অনুবাদ )
১). ম্যাকবেথ
২). টেম্পেস্ট
৩). এক নারীর জীবন
৪). শ্রাবণ রাজা (১৯৬৯ সাল)
( শিশুসাহিত্য )
১). সীমান্তের সিংহাসন (১৯৮৮ সাল)
২). আনু বড় হয়
৩). হডসনের বন্দুক
( অন্যান্য )
১). শ্রেষ্ঠ গল্প
২). শ্রেষ্ঠ উপন্যাস
৩). শ্রেষ্ঠ কবিতা
৪). মুখ (১৯৯১ সাল)
[ তাঁর নির্মিত চলচিত্রের তালিকা ]
১৯৫৯ সালে মাটির পাহাড়
১৯৬১ সালে তোমার আমার
১৯৬৪ সারে শীত বিকেল
১৯৬৬ সালে ফির মিলেঙ্গে হাম দোনো (উর্দু)
(পরিচালক ও প্রযোজক)
১৯৬৭ সালে নয়নতারা
১৯৬৯ সালে ময়নামতি
১৯৭০ সালে মধুমিলন
কাঁচ কাটা হীরে
ক খ গ ঘ ঙ
বিনিময়
১৯৭২ সালে অবুঝ মন
১৯৭৬ সালে মাটির মায়া
১৯৮২ সালে বড় ভাল লোক ছিল
(বিজয়ী: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার)
১৯৮৩ সালে পুরস্কার
(জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ রচয়িতা)
১৯৮৪ সালে অভিযান
২০০৮ সালে একজন সঙ্গে ছিল
২০১১ সালে
(নিষিদ্ধ লোবান উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত)
২০২২ সালে হডসনের বন্দুক
(হডসনের বন্দুক উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত
[ তাঁর প্রাপ্ত পুরস্কার ]
বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ১৯৬৬ সাল।
আদমজী সাহিত্য পুরস্কার , ১৯৬৯ সাল।
অলক্ত স্বর্ণপদক ১৯৮২ সাল।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপ রচয়িতা, ১৯৮২, ১৯৮৩ সাল।
আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৮৩ সাল।
কবিতালাপ পুরস্কার ১৯৮৩ সাল।
লেখিকা সংঘ সাহিত্য পদক,
একুশে পদক, ১৯৮৪ সাল।
জেবুন্নেসা-মাহবুবউল্লাহ স্বর্ণপদক ১৯৮৫ সাল।
পদাবলী কবিতা পুরস্কার,১৯৮৭ সাল।
নাসিরুদ্দীন স্বর্ণপদক, ১৯৯০ সাল।
টেনাশিনাস পদক, ১৯৯০ সাল।
মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার ২০১১ সাল।
ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার, ২০১১ সাল।
————————————————————–
[ সংগৃহীত ও সম্পাদিত। তথ্যসূত্র – উইকিপিডিয়া
“চলে গেলেন সৈয়দ শামসুল হক”। দৈনিক সমকাল। ২৭শে সেপ্টেম্বর , ২০১৬ সাল। ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল।
“সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক আর নেই”। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সার। সংগ্রহের তারিখ ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল।
“Syed Shamsul Haq passes away”। দ্য ডেইলি স্টার। ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সাল। সংগ্রহের তারিখ ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল।
“চলে গেলেন সৈয়দ শামসুল হক”। দৈনিক মানবজমিন। ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল। সংগ্রহের তারিখ ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল।
“সৈয়দ শামসুল হকের প্রস্থান”। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল। সংগ্রহের তারিখ ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল।
“সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক প্রয়াত”। আনন্দবাজার পত্রিকা। ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল। সংগ্রহের তারিখ ২৮শো সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল।
জনি হক (২৭শো সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল)।
“সৈয়দ শামসুল হক ‘বড় ভালো লোক ছিলো'”। বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর। ৩০শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল।
“সে এক দারুণ সময় ছিল আমার জন্যে: সৈয়দ শামসুল হক”। বিবিসি বাংলা। ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল। সংগ্রহের তারিখ ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল।
মীর সাব্বির (২৭শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল)। “সৈয়দ হক: তার বৈচিত্রময় জীবন ও লেখা”। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল।
“শেখ হাসিনাকে নিয়ে সৈয়দ হকের শেষ কবিতা”। বাংলা ট্রিবিউন। ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল। সংগ্রহের তারিখ ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল।
“মানুষের ভালোবাসার শক্তিতে আমার অগাধ আস্থা: সৈয়দ হক”। দৈনিক সমকাল। ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল। ২রা অক্টোবর ২০১৬ সালে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল।
বেলাল চৌধুরী (২৭শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল)। “আমাদের জাদুকর সৈয়দ হক”। বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৬।
“Syed Shamsul Haq”। দ্য ডেইলি স্টার। ৫ই ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ সাল। সংগ্রহের তারিখ ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল।
“আইসিইউতে সৈয়দ শামসুল হক”। দৈনিক ভোরের কাগজ। ২৬শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল। ৩০শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল।
“সৈয়দ শামসুল হক আর নেই”। দৈনিক প্রথম আলো। ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল। সংগ্রহের তারিখ ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল।
“কুড়িগ্রামে চিরনিদ্রায় সৈয়দ শামসুল হক”। দৈনিক সমকাল। ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল। ১লা অক্টোবর ২০১৬ সালে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল।
“সৈয়দ শামসুল হক”। গুণীজন।
“মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার পেলেন সৈয়দ শামসুল হক”। প্রথম আলো। ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৩ সার।
“এক নজরে সৈয়দ হক”। ঢাকাটাইমস। ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল। সংগ্রহের তারিখ ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ সাল।
“ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কারপেলেন সৈয়দ শামসুল হক, হাসান আজিজুল হক ও দ্রাবিড় সৈকত”। দৈনিক সমকাল।