প্রতিদিন কেন যে তোমায়,মনে পড়ে হায়
বুঝি না কেন যে মনে নেই কোন সংশয়।
জানলার ফাঁক দিয়ে প্রতিদিন প্রত্যূষে
পড়ে আমার চোখে স্নিগ্ধ আলো এসে।
তোমায় দেখি স্পষ্ট চোখে
হাসছ তুমি আমায় দেখে।
মুহূর্তে তুমি যাও মিলিয়ে
মাথায় দাও হাত বুলিয়ে।
ভাঙে না ঘুম সেদিন ভোরে
অনুভব করি আমি প্রাণটি ভরে।
আবার কোনদিন আলো আঁধারি ছায়ে
দেখি দিচ্ছ হাত বুলিয়ে আমার দুই পায়ে।
বিছানা ছাড়ি ভাবি তোমার কথা বারবার
হয় না কিছুতেই ঘুম আমার আর
বিশুদ্ধ বাতাস সেবনে যাই প্রাতঃভ্রমণে।
সেখানেও তুমি সঙ্গ ছাড় না আমার।
দু’হাত দুলিয়ে চলেছি এগিয়ে
দু’পা মিলিয়ে সামনে তাকিয়ে
কখনো দেখি তুমি ডাইনে
কখনো থাকো আমার বামে
আমি চলি পথের পানে
হনহনিয়ে জোর কদমে।
বাড়ি ঢুকি ঠিক সময়ে একেবারে ঘেমে নেয়ে
বসি পাখা চালিয়ে তুমি সমুখে থাকো দাঁড়িয়ে।
দাও সেই ঘর্মাক্ত কপালে চেনা হাতটা বুলিয়ে
ফিসফিসিয়ে ভেবে বল এই কি সেই দস্যি মেয়ে!
ক্লান্ত মনে চমক দিয়ে তুমি যাও যে মিলিয়ে
ভালবাসায় গভীর টান দাও তুমি তা বুঝিয়ে।
সর্বদাই করি অনুভব তোমাকে যেন এইভাবে
তৈরী করে চা,ঢালি সেই তোমারই কাপে।
কি হয় যেন মনে মনই শুধু জানে
দুপুরে খাওয়ার সময় আসে চেনা শব্দটি কানে।
বসলে যেন এসে চেয়ারে আসতে করে তা টেনে
পাছে আমি রেগে যাই জোর শব্দটা শুনে।
চাইলে,ভাত দে তো রে মেয়ে
স্বরটি শুনে উঠি আমি চমকে
খিদের জ্বালায় উঠলে কি চেঁচিয়ে?
অমন করে তাই কি ডাকলে আমাকে?
এ’সব কথা মিথ্যে তো নয় জড়িয়ে আছ অনুভবে
কেউ বলে এ মনের ব্যারাম সারিয়ে তুললে আরাম পাবে।
যে যাই খুশি বলুক না হয় যা ঘটছে সব বাস্তবে।
রোগ যদি না সারাই আমি মন্দ কি আর হবে?
ভালবাসার গভীর টানেই না হয় জড়িয়ে আমায় রবে।