সাদা মেঘগুলো ভেসে চলে যায়
কোনো তাড়া কোনো কাজ নেই।
জল নেই আর জ্বালাও নেইক
কোনো রং কোনো সাজ নেই।
পাহাড়ের গায়ে মঠের চূড়োটা ছাড়িয়ে,
মেঘগুলো যায় নীল দিগন্তে হারিয়ে।
মঠ থেকে বাজে ঘন্টা
মনটা কেমন করে,
মঠের মাঝের বুড়ো সাধুটিরে
থেকে থেকে মনে পড়ে।
মেঘের মতন সাদা চুল তার,
গোঁফ দাড়ি সাদা ধবধবে,
মুখে লেগে আঝে প্রাণের হাসির
ফেনাই বুঝি বা হবে।
পাথুরে সিঁড়ির ধারে বসে থাকে
মনে হয় কোনো কাজ নেই।
প্রীতির জারকে জরে’ জরে’ যেন
মনে আর কোনো ঝাঁজ নেই।
ঢিলে কোঁচকানো মুখখানি তার,
মনে শুধু কোনো ভাঁজ নেই।
কেউ যদি তারে শুধায় কখনো,
এ হাসি কোথায় পেলে ?
সাধু হেসে বলে,— পেয়েছি হৃদয়
আঁখি জলে ধুয়ে ফেলে।
যো-মেঘ ঝড়ের তাড়া খেয়ে ফিরে
কালো হয়ে নেমে আসে,
নিজেরে উজাড় করে’ ঢেলে সে-ই
সাদা হাসি হয়ে ভাসে।