শুনেছি শিক্ষা আনে চেতনা চেতনা আনে বিপ্লব,
তাই শিক্ষার অন্তরালেই আছে একটি জাতির বৈভব,
এই চেতনা অবিকশিত তাই চলে নিরক্ষরের কলরব;
সমগ্র জাতি সাক্ষর হলেই তবে দেশের উন্নয়ন সম্ভব।
আবার ‘জাতির মেরুদণ্ড হলো শিক্ষা’- গুণীজনের উক্তি,
তবু একশো তিরিশ কোটির দেশে এই ধারণা শুধুই অভ্যুক্তি,
সবার জন্য শিক্ষা এই সংকল্পে নেই তো কোন দ্বিরুক্তি;
তাও সাক্ষরতার প্রশ্নে এখনও সবার নেই দেখি আসক্তি।
তবু শিক্ষা বলতে যখন বুঝি সবার মৌলিক অধিকার,
তাই প্রত্যয় জাগে মনে নিরক্ষরতামুক্ত দেশ গড়ার,
শিক্ষায় সমৃদ্ধ হলে দেশের সমস্ত শিল্প,কৃষি ও খামার-
শিক্ষালব্ধ চেতনায় তখন ভরবে জাতির সম্পূর্ণ ভাঁড়ার।
উন্নত বিশ্বে সাক্ষরতা অর্থ লেখা ও পড়ায় সমান দক্ষতা,
আমাদের দেশে গরীবের নেই আহার সংস্থানের ক্ষমতা,
জুটলে অন্ন দুবেলা,তবেই তো এগোবে মিশন সাক্ষরতা,
তাই পেটের আগুন নিভিয়ে জ্ঞানের আলো পাবে সার্থকতা।
সবার প্রথমে প্রতিটি মাতৃ জাতিকে করতে হবে সাক্ষর,
সন্তানরা মাতৃ অনুগামী তাই মায়ের কাছে চিনবে অক্ষর,
সাক্ষরতার আঙ্গিকে জাতি বর্ণ নির্বিশেষে সমতা দরকার;
তাহলেই আপামর দেশবাসী পাবে শিক্ষিত হওয়ার অবসর।
শিক্ষা হলো জ্ঞানের আলো নিরক্ষরতায় শুধুই অন্ধকার,
পশ্চাৎপদ জাতিরা বিশ্বে এখনও সাক্ষরতাকে করেনি সাকার,
শিক্ষাক্ষেত্রে নারীজাতির মেধার বহুকাল ধরে অব্যবহার-
ভারতবর্ষকে বিশ্বের দরবারে নীচু হতে হয়েছে বারংবার।
এখনো এই দেশে সর্বসাকুল্যে ত্রিশ কোটি নিরক্ষর ,
বিশ্বদর্শন ঘটেনি তাদের বরং বিপর্যস্ত হয়েছে দেশের অভ্যন্তর,
অসাধু মহাজন টিপ সই’এর বদলে ঠকাচ্ছে নিরক্ষরদের বারবার;
আবালবৃদ্ধবনিতা সাক্ষর হলে কাটবে অজ্ঞতার আঁধার।
জাগরণের দিশায় একদা নারী জাতি ছিল অবহেলিত,
অতীতে তাই এই দেশের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছিল ব্যাহত,
বিভেদের বিষে শিক্ষাহীন জাতি আত্মকলহে হয়েছিল লিপ্ত;
তবু বর্তমানে সবাই সাক্ষরতার সাকারেই হয়েছে ব্যস্ত।
অন্তিমে তাই আশার দীপ বুকে এগোবো সাক্ষরতার দিশায়,
আমার দেশের ধনী-দরিদ্র, আবালবৃদ্ধবনিতা যেন শিক্ষা পায়,
সাক্ষরতা অর্থ শুধু অক্ষর পরিচয় বা নাম সহি করাই নয়;
প্রতিবাদে প্রতিরোধে জাগরণ ঘটুক দেশের মজ্জায় মজ্জায়।।