মেঘের ভাঁজে বকের পাখায় রবি গেল পাটে,
বসুন্ধরায় নামে আঁধার ব্যাপ্ত সুদূর বাটে।
ধেনু লয়ে রাখাল দলে আপন বাটে ফিরে,
কুলবধূর শঙ্খ ধ্বনি সাঁঝ বেলাকে ঘিরে।
ধূলো মাখা শিশুরা সব সাঙ্গ করে খেলা,
আকাশ গঙ্গায় যায় ওড়ে ওই বলাকাদের মেলা।
বাঁশের ঝাড়ে পাতার আড়ে চাঁদের হাসি ঝরে,
হিমেল হাওয়ায় বসুন্ধরার বুকখানা যায় ভরে।
নীল গগনে ঝিকিমিকি তারার মালা হাসে,
মায়ের কোলে খোকন সোনার মুখটি আলোয় ভাসে।
কেয়ার ঝোঁপে জোনাকিরা মিটিমিটি জ্বলে,
রূপবতী বসুন্ধরা রূপ বাহারে ঢলে।
গাছের শাখে বিহগ ছানা মায়ের আদর পেতে,
চঞ্চুতে তাঁর সোহাগ জানায় আহ্লাদেতে মেতে।
শ্রীময়ী যে প্রকৃতি হয় ঋতু রঙ্গে ভরে,
মুগ্ধ কবি কাব্য কথায় কলম তাঁহার ধরে।