ধমনী দিয়ে বয়ে চলে একই রক্তের ধারা
সম্পর্কের শাখা প্রশাখা জুড়ে ব্যাপ্ত দীর্ঘ প্রসারণ।
সৃষ্টির ব্যাকরণ মেনে জড়িয়ে রাখে ব্রততীর মতো নিরবধি,
শিকড়কে বৃত্তাকারে প্রদক্ষিণ সারে স্বজনের আপনজন।
চলার পথে বিপদের মুখে এগিয়ে আসে একরাশ হাত,
রক্ত মাংস অস্থি মজ্জায় যোগসুত্র খোঁজা মিথ্যে প্রয়াস।
কে সুজন কে দুর্জন প্রশ্ন অবান্তর!
তত্ত্ব কথা মিষ্টি ব্যবহারও হয় ছলের নামান্তর।
নাড়ির টান শ্রেষ্ঠ আপন কলুষতাহীন বন্ধন,
অদৃশ্য সুতোর টানে হয় আপনজন সম্পর্কের মানচিত্রে।
সবকিছু ছাপিয়ে মানবিক বন্ধন মেশে অস্তিত্বের সাথে,
চোরাবালির আবর্তে ঘুরপাক জীবনে যদি থাকে সাহচর্যে।
ছায়া প্রচ্ছায়া আলোয় সহযাত্রী প্রভূত সুখের দিনে,
আঁধারে যায় হারিয়ে দিশেহারা অন্তিম যাত্রাপথে।
পৃথিবীটা চরম স্বার্থপর স্বার্থের সংঘাতে,
কে আপন কেই বা পর দুদিনের জীবনে,
তবু কিছু সম্পর্ক নিঃস্বার্থে হয়ে উঠে যথার্থই আপনজন।