এক ছিল ছোট্ট শিশু
আর ছিল তার বিধবা মা।
মা ছাড়া তিন সংসারে
তার আর কেহ ছিল না।
মা ছিল ধার্মিক ও সৎ
তাই দারিদ্র্য ছিল তার সাথ।
কোনমতে কাটতো তাদের দিন
বনের ধারে বাস করতো
তালপাতার ছাওয়ানো কুটির।
বন পেরিয়ে এক পাঠশালায়
পড়তে যেতো শিশুটি একাই
পরের বাড়িই কাজ করে মা
তাই পারেনা ছেলেকে
দিয়ে আসতে পাঠশালায়।
বনের মধ্যে ভয় পেতো শিশুটি
বলতো এসে মাকে কেঁদেকেঁদে।
যাবো না আমি পাঠশালায়
যদি তুমি না যাও দিতে আমায় ।
মা শুনে কয় ভয় কি বাছা
বনের মধ্যে আছেন তোমার
এক মধুসূদন দাদা।
ভয় পেলে ডেকো তাঁরে
পার করে দেবে বনের রাস্তা।
শিশুটি ভয় পেয়ে সরল বিশ্বাসে
বনের মধ্যে ডাকে মধুসূদন দাদাকে
ভয় লাগে দাদা পার করো আমায় ।
ছুটে আসে দাদা মধুসূদন,
দিয়ে আসে ওকে পাঠশালায়।
ফিরে এসে মাকে বলে খোকা
ঠিক বলেছো মা সত্যি কথা
পাঠশালায় দিয়ে এলো আজ দাদা।
অবাক হয়ে শোনে মা ছেলের কথা
মনে মনে ধন্যবাদ জানাই প্রভুরে।
সত্য তুমি দয়াল হরি দয়ার সাগর
বিশ্বাসে দেখা দিলে তুমি মধুসূদন।
অন্তিমকালে পাই যেন তোমার শ্রীচরণ।।