সমুদ্র যাত্রা (Samudra Jatra) : 05
সেই দাদা প্রেম করছে? ভিন্ন প্রদেশীয় মেয়ের সঙ্গে? আমার কী রকম অদ্ভুত লাগল। দাদা আমাদের বাড়িতে আলগা। সেভাবে দেখতে গেলে আমিও আলগা। মা-ই কি আলগা নয়? বাবা তো বাড়িটাকে হোটেলের মতোই ব্যবহার করেন। বাড়ির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক একমাত্র দাদু আর ফিনকির। কিন্তু যারা আলগা তারা স্বভাবেও আলগা, একা বলে আমার ধারণা ছিল। দাদা এই বাড়ি ছেড়ে অনেক দূরে তার একাকিত্ব ঘোচাবার চেষ্টা করছে? যে দাদা সিনেমা পর্যন্ত একা-একা যেত, তার প্রথম বন্ধুই একজন মেয়ে, ভিন্ন সংস্কৃতির, ভিন্ন আচার-আচরণের মেয়ে! তা ছাড়া, দাদা যতই যা-ই হোক, যেটুকু ভরসা করে আমাকেই করে, আমাকে ঘুণাক্ষরেও জানাল না! তবে কি যেটুকু বাঁধন ছিল সেটুকুও এবার ছিঁড়ল। আমাকে খুব আশ্চর্য করে আমার বুকের পেশিতে একটা টান ধরল। দাদা চলে যাচ্ছে। দাদা চলে যাচ্ছে। অথচ দাদার কত ডায়াগ্রাম এঁকে দিয়েছি, দাদা আমার কত প্রবলেম দেখে দিয়েছে। এক ঘরে থাকতুম, পাশাপাশি তক্তপোশে শোওয়া, মাঝখানে জানলা ঘেঁষে বড় টেবিল। তার একদিকে আমি আর একদিকে দাদা। জলবসন্তের রাত আমি দাদার পাশে। দুজনের কপালে একই স্পর্শ। ‘তুই থাকলেই আমার বেশি সোয়াস্তি’ দাদা বলছে। অথচ দাদা আমাকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে চলে যাচ্ছে।
যথেষ্ট আলোড়ন ভেতরে। আমি আমার নিশ্চিন্ত রুটিন মানতে পারছি না। এতই উদ্বেগ যে পুলক লক্ষ করেছে।
—কী হয়েছে রে তোর, সমু?
—কিছু না তো!
—ঠিক জানতুম এই কথাই বলবি। থাক, আমাকে কিছু বলতে হবে না তোর।
রাগ করে পুলু চলে যায়।
তখন বুঝতে পারি, হঠাৎ-ই, যে একটা মানুষের আর একটা মানুষের যতখানি কাছে আসা সম্ভব, পুলক আমার কাছে এসেছে। এর কারণ কী আমি জানি না। কেন না আমাদের রুচি, স্বভাব কিছুই এক রকমের নয়। এক স্কুলে পড়েছি, এক ক্লাবে ব্যায়াম করেছি, দুজনেই এঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি। যদিও আলাদা আলাদা বিষয়। তো কী? এইগুলোই যদি ঘনিষ্ঠতার কারণ হয়ে থাকে তা হলে তার গভীরতা বেশি নয়। আমি কোনও হিরো নই। তবু পুলক আমার শাগরেদ। আমাকে ও সমর্থন করে, কতবার বাঁচিয়েছে, কেন না সমবয়সিরা আমাকে বড্ড ভুল বোঝে।
—এই পুলু শোন।
চৌকাঠে পা দিয়েছিল, বলল—বল শুনছি, এ ঘরে আবার বহু দূর অতীতের কোনও ক্ষুধিত পাষাণটাষাণ শুনতে পাচ্ছিস, না কী?
—নাহ্। চলে যাওয়ার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি। কাছ থেকে দূরে মিলিয়ে যাচ্ছে পায়ের শব্দ।
—অনেক পা! না এক জোড়া? এক জোড়া যদি হয় তো সেটা আমার। আর অনেকের যদি হয় তা হলে নতুন ফার্স্ট ইয়ারের। করিডর দিয়ে এক্ষুনি চলে গেল।
—ঠাট্টা নয়, শোন না।
—বল। পুলু উৎসাহিত হয়েছে খুব কিন্তু সেটা দেখাবে না।
—পুলু। দাদা বোধহয় বিয়ে করছে।
—বলিস কী রে? পুলু লম্ফ দিয়ে উঠল— তবে তো ভোজ ভোজ মহাভোজ।
আমার মুখে ফিকে হাসি দেখে ও রেগে উঠল— দাদা কি তোর প্রেমিকা? যে দাদার বিয়ে হচ্ছে বলে কাঁদতে বসেছিস?
—কাঁদলুম আবার কই? কী যে বলিস! দাদা তো দূরেই থাকে, আরও দূরে চলে যাবে। এই!
—দূরে মানে? দিল্লিতে চাকরি, যাবে না? তুই যদি এখন তিরুবনন্তপুরমে চাকরি পাস— যাবি না? আরও দূরে মানে? তোর দাদার শ্বশুর কি জামাইকে বিলেত পাঠাচ্ছে? বিলেত একবার গেলে অবশ্য ফেরা শক্ত। আমাদের যে যেখানে বিলেত-আমেরিকা গেছে আর ফিরে আসেনি, মায়াবিনীর দেশ মাইরি। থাক ডিটেল বল।
—ডিটেল কিছু নেই। অন্তত জানি না।
—কবে, কার সঙ্গে, কী দিচ্ছে থুচ্ছে…
আমি হাসি— কিছুই জানি না।
—এই যে বললি বিলেত যাচ্ছে।
—ওটা তুই বলেছিস পুলু, আমি নই।
—তো আমি যেগুলো বলিনি সেগুলো বল। কবে ডেট ঠিক হল!
—কিছুই হয়নি। দাদার চিঠি পড়ে দাদুর মনে হয়েছে, দাদা বিয়ে-টিয়ে করতে চায়।
—এই, ব্যস? তুই দেখালি একখানা সমু। চাকরি-বাকরি করছে। সোমত্থ ছেলে হাত পুড়িয়ে রান্না করে খেতে হচ্ছে। বিয়ে করতে চাইবে না?
আমি চুপ করে যাই। বীজ থেকে গাছ হল, গাছ থেকে ডালপালা, পাতাপুতি, ফুলফল, বনস্পতি হলে তার আর ফুল নেই শুধু ফল। ফুলন্ত বৃক্ষের শোভা কি কোনওদিন আমার দাদুর বাড়িতে ছিল? দাদুর বড় দুই ভাই ঝরে গেছেন, দুই ঠাকুমা দুটো অর্ধছিন্ন শাখা, দাদুর ছোট ছেলে কতদিন মাদ্রাজ-প্রবাসী। আগে আসতেন, ফিনকিকে জন্ম দিয়ে কাকিমা মারা গেলেন তখন সেই শিশুকে আমার মায়ের কাছে জমা রেখে তিনি ফিরে গেলেন, ওখানকারই একজন মেয়েকে বিয়ে করলেন। আর এলেন না। ফিনকি জানেই না কাকা ওর বাবা। পাছে ওকে নিতে হয়, চেনা দিতে হয় তাই-ই হয়তো কাকা… একপক্ষে ভালই। কিন্তু সেই কাকিমা আর তাঁর ছেলেমেয়েরা যদি এখানে মাঝে মাঝে আসত আমরা যেতুম, ফিনকি যদি ছোট্ট থেকেই জানত যাকে মা বলে ডাকে তিনি ওর জ্যাঠাইমা, তবে কী ক্ষতি হত? এত লুকোছাপা কীসের?
আর জ্যাঠামশাই? খুব রেগে যেতেন, লাল চোখ ঘুরত, যেটুকু মনে আছে, জ্যাঠামশাই আছেন আছেন বেশ আছেন, হঠাৎ প্রচণ্ড হয়ে উঠতেন, জিনিসপত্র ভাঙচুর, সে এক ভীষণ কাণ্ড। এখন শুনতে পাই জ্যাঠামশাইকে কোনও মানসিক হাসপাতালে রাখা হয়েছে। দাদু দেখতে যান খুব মাঝে মাঝে। আর কেউ না, কখনও না। আমার খুব ছোটবেলার স্মৃতিতে ছাড়া জ্যাঠামশাই আর কোথাও নেই। অথচ জ্যাঠামশাই ছিলেন দাদুর ছেলেদের মধ্যে সবচেয়ে মেধাবী।
এত কথা তো পুলু জানে না, জানার দরকারই বা কী! কিন্তু আমার সেই ভগ্নশাখা বনস্পতির কথা মনে হয় যার ডালের পর ডাল ভেঙে পড়ছে। সব সময়ে যে কালের প্রকোপে তাও নয়। কোথা থেকে কুঠার চালাচ্ছে কেউ।
অবশেষে একদিন চিঠি পাই। দাদার।
সমু,
কেমন আছ? ভালই করছ শুনছি। আমার পিএইচ. ডি গতকাল পেলুম। থিসিস উচ্চ-প্রশংসিত। প্রকাশ করবার চেষ্টা চলছে। রীডার হয়ে গেছি। এখানে ক্যাম্পাসে আঁতেল স্নবারি খুব। মেলামেশা করতে গেলে লাইফ-স্টাইল মেনটেন করতে হয়। খরচে কুলিয়ে উঠতে পারছি না। তোমার আর এক বছর এটাই ভরসা। আমার গাইড দলজিৎ অরোরা খুব বিবেচক। একলা কিছুই চালিয়ে উঠতে পারছিলুম না। টাকাপয়সা, জিনিসপত্র সব চুরি হয়ে যাচ্ছিল। এখন পেয়িং গেস্ট হয়ে আছি অরোরাজির বাড়িতেই। ওঁর কেউ নেই এক মেয়ে আর স্ত্রী ছাড়া। ভদ্রমহিলা খুব স্নেহময়ী। পঞ্জাবি রুটি খেলে তুমি আর ভুলতে পারবে না। এখানে চলে এসো একবার। ছুটিতে। সিরিয়াসলি বলছি। আমার পি জি অ্যাকমোডেশন ঠিকই, কিন্তু কুল্যে দু’খানা ঘর, একটা টয়লেট, একটু বারান্দা। ভদ্রমহিলা আর তাঁর মেয়ে সবই টিপটপ রাখেন, আমি শুধু মাসান্তে টাকাটা দিয়ে খালাস। দ্বিতীয় ঘরটাতে একজন গেস্ট রাখতেই পারি। কোনও অসুবিধে নেই।
চিঠিটা এইটুকুই। কিন্তু চিঠির লাইনের মাঝে মাঝে আরও অনেক না-বলা কথা উঁকিঝুঁকি মারছে। যেমন, তুমি তাড়াতাড়ি পাশ-টাশ করে সংসারের দায়িত্ব নাও। আমি পেরে উঠছি না। যেমন, আমার লাইফ-স্টাইল অন্য রকম হয়ে যাচ্ছে। তার যা যা ফলাফল তা-ও ক্রমশ প্রকাশ্য। যেমন, বাড়িতে আমি যে স্নেহ-যত্ন পাইনি, এখানে তা পাচ্ছি। এবং সমু একবার এসো, মুখোমুখি তোমার সঙ্গে কিছু দরকারি কথা বলা দরকার, যে কথাগুলো দাদুকে লিখতে পারছি না।
সেই রবিবার আমি বাড়ি গেলুম না। ফোন করে দিলুম। কাজ জমে গেছে বাজে কথা। আমার কাজ কোনওদিনও জমে না। আসলে দাদার চিঠি পাবার পর থেকে একটা ভীষণ মানসিক অস্বাচ্ছন্দ্য শুরু হয়, যার পরিণতি হয় এক প্রবল শরীরী আলোড়নে। ঘুমের মধ্যে নিম্নাঙ্গের এই কঠিনতা এই প্রবল আবেগ যে জানিনি তা তো নয়! কিন্তু এ ক’দিন যা হচ্ছে তা অসহ্য। শরীর গরম। এখুনি কাউকে আক্রমণ করতে না পারলে যেন শান্ত হতে পারব না। হস্টেলের সবচেয়ে তুখোড় ছেলে মৃণাল। ওদের ঘরে গেলাম।
—কী রে ভাল ছেলে? বাড়ি যাসনি?
—নাঃ, তোদের সঙ্গে বেরোব।
—আমাদের সঙ্গে? —ওরা মৃণাল, সুজন, নৃপেশ চোখ চাওয়া-চাওয়ি করল।
—পুলককে ডেকে নে, তোর বডিগার্ড!
—পুলক বাড়ি গেছে।
—ভাল ছেলে ডুডু খাবে।
—বাজে কথা রেখে চল—বেরো।
সুজন বলল মৃণালকে, মদনার ঠেকে যাবি? না গোবরদার!
কার ঠেক নিয়ে বেশ মতবিরোধ হল ওদের।
মদনার ঠেকে মাল্লু ভাল, না গোবরদার, এই নিয়ে বিতণ্ডা হল। নতুন শিক্ষানবিশকে নিয়ে যেতে হবে তো!
—পয়লে তো মদনার ঠেকে চল, আড় ভাঙতে হবে না?
—হ্যাঁ, আড়মোড়া।
আমি বললুম— আমাকে নিয়ে ইয়ার্কি-ফিয়ার্কি মারিসনি। কোথায় যাস চল।
একটা ছোট দোকান। পেছন দিকে লম্বা। অর্থাৎ ঢোকবার দরজাটা ছোট। মাথা নিচু করে ঢুকতে হয়। টিমটিম করে আলো জ্বলছে।
আমরা কয়েকজন গোল হয়ে মেঝেতে বসেছি। কেরোসিনের কুপি জ্বলছে। প্রচণ্ড গন্ধ। তার সঙ্গে চোখ জ্বালা করা ধোঁয়া। ওরা প্রত্যেকে সিগারেট ধরাল। আমাকেও একটা দিল।
মৃণাল বলল— লেসন ওয়ান।
—কী আছে এতে? কী ভরেছিস?
—কী আবার? গঞ্জিকা? সাধু-মহাত্মারা খেয়ে থাকে। আস্তে টান দিবি।
টান দিই আস্তে। মাথাটায় ঝিম ধরে যায়। আস্তে আস্তে ছড়িয়ে যাচ্ছে ঝিমুনিটা। সব ভুলে যাচ্ছি। দাদা, সন্তোষ অরোরা, ফিনকি, দাদু, বাড়ি, বাড়ির পেছনে বাড়ি, আরও বাড়ি, ঘরের শেষ নেই। অফুরন্ত বারান্দা। হঠাৎ খেয়াল করি আমি আসলে ভুলতে ভুলতে ফিরে গেছি সেই বারান্দাতেই। ছাতিম ফুলের গন্ধ বেরোচ্ছে। আমি হাঁটতে পারছি না, গড়িয়ে যাচ্ছি, গোল একটা বেলনের মতো গড়িয়ে গড়িয়ে…।
চোখ লাল, মাথা ভোঁ ভোঁ করছে। টলতে টলতে উঠে দাঁড়াই। ওরা আমাকে ধরে ধরে হস্টেলে নিয়ে আসে। সারারাত মড়ার মতো ঘুমোই। সকালে ওরা এসে জিজ্ঞেস করে —কেমন আছিস?
—ভাল।
—কেমন লাগল?
—ভাল।
—আজ যাবি?
—যাওয়া যায়।
এইভাবে আস্তে আস্তে আমার প্রোমোশন হয়। দ্রুত শিখে ফেলি। বিশেষ কষ্ট করতে হয় না। সিগারেট প্যাকেটের রাংতার ওপর সাদা সাদা গুঁড়ো। সরু চোঙানল দিয়ে হুস করে টেনে নিই। প্রচণ্ড একটা ধাক্কা, মাথাটা ফেটে যায়। তারপর শূন্যে সাঁতার কাটতে থাকি।
শনি রবি এইভাবেই কেটে যায়। বাড়ি যাওয়া হয় না। খচ খচ করে মনের মধ্যে। দাদু বাইরের দিকে চেয়ে বসে আছেন। ফিনকি ঠোঁট ফোলাচ্ছে। ফোন করে দিই। বড্ড বেশি কাজের চাপ পড়েছে। দু’ তিন সপ্তাহ যেতে পারব না।
পুলু বলল —তোর কী হয়েছে রে?
—কী আবার হবে? তুই তো সব সময়েই আমার কিছু না কিছু হতে দেখছিস।
—হয়েছে বলেই দেখছি। দেখছি বলেই বলছি। চোখ লাল, বিড়বিড় করে বকিস। বাড়ি যাসনি কেন?
—কাজ পড়েছে।
—কাজ তো আমারও। ভাল লাগে উইক-এন্ডে হস্টেলে থাকতে? জঘন্য খাওয়া!
পুলু চলে যায়। আমি মৃণালদের সঙ্গে বেরিয়ে পড়ি। বাসে চড়ে একবার বদল করে চলে আসি। ওরা টেপা হেসে বলে— এ জায়গাটার নাম বাঁধাঘাট। ওদিকে গঙ্গা, ফেরিঘাট, স্টিমার চলছে, কিন্তু বাঁধাঘাটে একবার এলে বাঁধা পড়তে হবে।
কাছেই একটা সিনেমা হলে আমরা ছবি দেখি। মাঝ-সময়ে ওরা আমাকে টেপে, উঠে পড়ি।
সরু গলি, কাদা-কাদা, ভাঙা ভাঙা বাড়ি, দরজায় একজন নথ পরা গিন্নিবান্নি দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের দেখে বলে —এসো খোকাবাবুরা—
—এই খবর্দার খোকাবাবু বলবে না।
—আচ্ছা আচ্ছা মরদের বাচ্চা সব, এ বাবুকে নতুন দেখছি!
—আজ ওর হাতেখড়ি। এই সমু যা! মাসির সঙ্গে যা!
একটা নিচু মতো ভাঙা ভাঙা ঘরে মাথা নিচু করে ঢুকি। কড়া দেশি মদ এক গেলাস রাখে মাসি।
—ওব্যেস আছে নিশ্চয়ই। দেখো বাপু, ঘরদোর ভাসিও না। মাসি চলে যায়। আমি গেলাসে একটু চুমুক দিয়ে নামিয়ে রাখি। তার পরেই ভেতরের দরজা খুলে ঘরের মধ্যে এসে দাঁড়ায় নাঙ্গা এক দুঃস্বপ্ন। ডাকিনী যোগিনী ঘিরে আছে কালীমূর্তিকে। গলায় নরমুণ্ডের মালা। আমি কোনওক্রমে বেরিয়ে আসি। টেনে এক চড় মারি মৃণালকে তারপরে ওইভাবেই টলতে টলতে একলা ফিরে আসি হস্টেলে।