Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » সমুদ্র যাত্রা || Bani Basu » Page 18

সমুদ্র যাত্রা || Bani Basu

বোশেখ মাসের এক সন্ধেয় ফিনকিকে নিয়ে আমি বেরোই। খুব হাওয়া দিচ্ছে, চতুর্দিকে কৃষ্ণচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, যেন লাল হয়ে রয়েছে আকাশ মাটি। ফিনকি খুব উচ্ছল, উজ্জ্বল, ডগডগে সবুজ রঙের শাড়ি পরেছে। ছাপা। কী শাড়ি, কী ব্যাপার অতশত জানি না। মুখটা খুব পরিষ্কার মাজা। গোলাপি লিপস্টিক লাগিয়েছে। ক্লিপ দিয়ে আটকানো। চুলগুলো ঢেউয়ে ঢেউয়ে ফুলে রয়েছে।

—এত সেজেছিস কেন? বিউটি কমপিটিশনে যাচ্ছিস না কি?

—আশ্চর্য, এরকম আমি রোজই সাজি। এই শাড়িটা নববর্ষে তোরই টাকা দিয়ে কিনেছি, তা জানিস?

আসলে আমরা আজ অভিযানে বেরিয়েছি। সেই, জেঠুর প্রেমিকার ঠিকানা খোঁজার অভিযান। সত্যি বলতে কি আমার রাগের আঁচ কবে ছাই হয়ে গেছে, উৎসাহও নিভে গেছে। মনেই ছিল না আমার। ফিনকিই ডাকাতের মতো চড়াও হল।

—কোনও প্রতিজ্ঞা রাখতে পারিস না, না?

—কী আবার প্রতিজ্ঞা?

—সেই হাজরায় যাওয়া, আমাকে নিয়ে, ঠিকানা…

—হাজরা?— আমি আকাশ থেকে পড়ি।

—সব ভুলে গেছিস? সেই ভদ্রমহিলার ঠিকানা বার করতে হবে না? ইংল্যান্ডে না কোথায়? জেঠুর সেই রে?

—ওহ্, দূর, ওসব ছাড়।

—ছাড়িব না, ছাড়িব না— সুর করে বলল ফিনকি।

তাই ফিনকির নির্বন্ধেই বেরিয়ে পড়া। মনটা মাঝে মাঝে সায় দিচ্ছে, মাঝে মাঝে দিচ্ছে না। কী হবে ও সব করে? অত বছর আগেকার প্রেম, বিশ্বাস, বিশ্বাসাঘাত সব এখন সময় মুছে দিয়েছে। সে দেবকুমারও নেই, সে সৃষ্টিও নেই। দেবকুমার একজন ভেঙে-যাওয়া প্রায়-বৃদ্ধ যিনি বাকি জীবনটা মোটামুটি শান্তিতে কাটিয়ে যেতে চাইছেন। সৃষ্টি নিশ্চয় এখন মেমসাহেব। এত বছর ধরে যিনি বিদেশে কাটিয়েছেন, সেখানেই যাঁর ছেলেমেয়ে হয়েছে তাঁর মধ্যে কোথাও কি পুরনো প্রেমের স্মৃতি বেঁচে আছে? উনি সব ভুলে গেছেন। চিঠি একটা লিখব নিয়মরক্ষা, উনি জবাব দেবেন বলে মনে হয় না।

—কী রে ট্যাক্সি নেব?

—তা নিবি না? আচ্ছা কিপটে তো।

সুতরাং একটা ট্যাক্সি নিই।

হাজরা বেশ গোলমেলে রাস্তা। ট্যাক্সিচালক না থাকলে ঠিকানাটা খুঁজে বার করা আমাদের সাধ্য ছিল না। কিন্তু কলকাতার ট্যাক্সিচালকরা সব জানে। একটা দোতলা বাড়ির সামনে দাঁড়াই। রং হচ্ছে, সাদা রং। ভারা বাঁধা, একদিকে এক মিস্ত্রি সিমেন্ট ছুড়ছে তাল তাল, কর্নিক দিয়ে সমান করছে, আরেক দিকে রং হচ্ছে। সদর দরজা খোলা, সেখান দিয়েও মাথায় সিমেন্টের কড়াই নিয়ে বেরিয়ে আসছে মজুরনিরা। ওদের বোধহয় ফুরনের কাজ। সাতটা বেজেছে, এখনও কাজ চলছে।

আগেকার বাড়ি, খুব শক্তপোক্ত, মোটা দেয়াল, কুড়ি ইঞ্চি হবে। এসব বাড়ি আজকাল আর লোকে সারাচ্ছে না। প্রোমোটারকে দিয়ে দিচ্ছে। বেশ বনেদি বাড়ি মনে হয়। আমাদের বাড়িটার মতো গেরস্থ-গেরস্থ নয়। বেশ চওড়া ঝুল বারান্দা। তলার লোহার স্ট্রাকচারটা রং করা হয়ে গেছে। গাঢ় সবুজ রং।

মজুরনিদেরই জিজ্ঞেস করে ফিনকি—ভেতরে কেউ আছেন? কোই হ্যাঁয়? উদাসীন ভাবে মাথার কড়াই সামলাতে সামলাতে ঘাড়ের একটা ভঙ্গি করল মেয়েটি।—অর্থ, ভেতরে যাও, নিজে খোঁজ করো।

আমরা উঠোন পেরিয়ে, নিচু রোয়াকের ওপরে উঠি। অগত্যা।

—কেউ আছেন, বেশ কয়েকবার ডাকবার পর সাড়া মিলল।

এক মাথা সাদা চুল, বেশ ফিট চেহারার এক বৃদ্ধ বেরিয়ে আসেন।

—কে?

—আপনি আমাদের চিনবেন না, আমরা আসলে একটা কাজে এসেছি।

—কী কাজ? এ-বাড়ি আমরা বিক্রি করব না। ভুল খবর পেয়েছ তোমরা।

—বাড়ি নয়, কথাবার্তার ভারটা ফিনকিই তুলে নিয়েছে,— আমরা সৃষ্টিদেবীর বর্তমান ঠিকানাটা জানবার জন্য এসেছি।

—সৃষ্টিদেবীর ঠিকানা? কে তোমরা? কেন?— চূড়ান্ত বিস্ময়ের সঙ্গে ভদ্রলোক বললেন।

—কারণটা একেবারেই ব্যক্তিগত।

উনি হঠাৎ অ্যাবাউট টার্ন করে ভেতরে ঢুকে গেলেন। একটু পরে বেরিয়ে আমাদের বললেন— এসো।

ভেতরে ঢুকে খুব পুরনো বেত-কাঠের ঢাউস ঢাউস কৌচে বসলুম। ভদ্রলোক হুইল-চেয়ার ঠেলতে ঠেলতে ভেতরের ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন। হুইল-চেয়ারে এক শীর্ণ ভদ্রমহিলা। চুল কাঁচা-পাকা, মুখটা এই বয়সেও খুব মিষ্টি, স্নেহশীলা স্নেহশীলা মনে হয়। সুন্দর দাঁত, কথা বললেই ঝিলিক দেয়। আমাদের দেখে কেমন একটা দুর্বোধ্য যান্ত্রিক হাসি হাসলেন।

—ওঁর একটা সেরিব্র্যাল স্ট্রোক হয়েছিল, এখন ফিজিয়োথেরাপি চলছে।

আমি ফিনকির দিকে তাকাই। ফিনকি আমার দিকে।

আমি ইতস্তত করে বলি— উনি ইংল্যান্ডে কোথাও থাকতেন না?

—হ্যাঁ, সে অনেকদিন হল, শেষ বছর পাঁচেক উনি এখানেই থাকেন।

—আপনি?

—আমি ওঁর হাজব্যান্ড। তোমরা কী কারণে এসেছ বলো এবার।

এখন কী বলব? সেরিব্রাল স্ট্রোকে পঙ্গু ভদ্রমহিলা, বৃদ্ধ স্বামী সেবক। আর কেউ আছে বলেও মনে হচ্ছে না। ওঁরা কি একা? ছেলে মেয়ে? আমি তো আর গিন্নিদের মতো জিজ্ঞেস করতে পারি না—‘ছেলেপিলে কটি?’

খানিকক্ষণ মুখ নিচু করে থাকি, ফিনকি হঠাৎ বলে— কিছু না আমরা দেবকুমার সেনের ভাইপো-ভাইঝি। তাই….

ভদ্রমহিলার কোনও ভাবান্তর হল না। অর্থাৎ ওঁর মস্তিষ্কও ঠিক নেই। আমার দিকে আঙুল দেখিয়ে ভদ্রলোক বললেন—তাই তোমাকে বড্ড চেনা চেনা লাগছিল। যেন কোথায় দেখেছি, কোথায় দেখেছি। আমি সঞ্জীব সাহারায়। দেব এখন কেমন আছে?

—কী রকম আর থাকবেন? বহু বছর উন্মাদ ছিলেন, অ্যাসাইলামে ছিলেন, এখন সবাই বলছে সেরে গেছেন। বাড়ি নিয়ে এসেছি।

—ওই কি আমাদের খোঁজ করতে বলেছে তোমাদের?

—না না। এসব উনি… আমরা ওঁকে কিছু বলিনি, ফিনকি বলল— আমার এই ছোড়দা বলছিল ওঁর মানে জেঠুর সারা জীবনটা নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের বাড়ির পনেরো লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। তাই ওঁকে…

—ওঁকে কী? ভদ্রলোক যেন বিদ্রূপের হাসি হাসলেন। পনেরো লাখ টাকা ওঁর থেকে দাবি করবে?

আমি এবার গলা ফিরে পাই, বলি, না, কিছুই দাবি করব না, শুধু যাঁর জন্যে ওঁর জীবনটা গেল তাঁকে দেখতে এসেছিলুম। অবশ্য দেখা পাব ভাবিনি। ইংল্যান্ডের ঠিকানাটা চাইছিলুম, একটা চিঠি দেব বলে।

—কীসের চিঠি?

—কিছু না, আমি ওঠবার ভঙ্গি করি।

ফিনকি বলে—জানাতে চেয়েছিলুম, ওঁর জানা উচিত জেঠু এত কষ্ট পেয়েছেন এখন ফিরে এসেছেন। এ সব কেন?

দুজনেই উঠে দাঁড়াই। জানি আর কোনও উত্তর নেই। আর কোনও জবাবদিহিরও সময় চলে গেছে। এ একটা আনপড় ছেলেমানুষি। আমি এমন করি না, কেন করলুম জানি না।

উনি হঠাৎ হাত তুললেন— দাঁড়াও দাঁড়াও। যেয়ো না। বসো আমি আসছি।

—আমরা যাই। উনি অসুস্থ, আমাদের আর কিছু বলবার নেই— আমি বলি।

—আমার বলবার আছে মাই ডিয়ার ইয়াং ম্যান। তোমরা বসো, আমি ওঁকে ভেতরে পৌঁছে দিয়ে আসছি।

ভেতরে চলে গেলেন। দূর থেকে ওঁর গলার আওয়াজ ভেসে এল গীতা …গীতা…।

একটু পরে এসে বসলেন।— বলো এবার কী বলছিলে।

আমি বললুম—বলেছি তো! এর চেয়ে বেশি কিছু নয়। উই আর স্যরি ফর হার। খুব খারাপ লাগছে।

—তোমরা তা হলে এতকাল এই গল্পটা বিশ্বাস করে এসেছ যে সৃষ্টির জন্যেই, অংশত আমার জন্যেও, দেব মানে তোমাদের জেঠু উন্মাদ হয়ে গিয়েছিলেন।

আমরা কথা না বলে ওঁর দিকে চেয়ে থাকি।

—আমার স্ত্রীকে একটা মিথ্যে রটনার হাত থেকে রক্ষা করা আমার কর্তব্য বলে আমি মনে করি। কী নাম তোমার?

—মনীষা।

—তোমার?

— সমুদ্র।

—বিশ্বাস করা না করা তোমাদের ইচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘদিন আগেকার ভুল বোঝাবুঝি আজ শেষ হোক। সৃষ্টিকে দেব পড়াত, অত্যন্ত মেধাবী ছেলে, সৃষ্টিও ছিল এক নম্বর। আমি দুই কি তিন নম্বর হওয়া সত্ত্বেও সৃষ্টি আমাকেই ভালবেসেছিল। গড নোজ হোয়াই। এ সবের কোনও ব্যাখ্যা হয় না। আমাদের ব্যাপারটা ছিল পারস্পরিক। একদিন এই বাড়িতে, সৃষ্টির মা-বাবার বাড়িতে দেব ওকে আক্রমণ করে। ভয়ে দিশেহারা হয়ে ওর মা-বাবা আমাকে ফোন করেন। আমি এসে দেবকে সামলাই। দেখি ওর চোখ অস্বাভাবিক লাল, ঠোঁটের পাশ দিয়ে লালা গড়াচ্ছে। দেখেই বুঝতে পারি ও পাগল হয়ে গেছে। সৃষ্টির জন্যে পাগল নয়, পাগল বলেই আক্রমণটা ও করে। দেব ছিল অস্বাভাবিক মেধাবী। তার ওপর অঙ্ক-পাগল। যে সব প্রবলেম কেউ আজ পর্যন্ত সলভ্‌ করতে পারেনি, ধরো কোয়ান্টাম মেকানিক্সের সূক্ষ্ম সব প্রবলেম… সে সব নিয়ে দিবারাত্র ভাবত। আমার মনে হয় তাইতেই ব্যালান্সটা নষ্ট হয়ে যায়। সৃষ্টি মানে লাভ্‌-টাভ্‌ কোনও ফ্যাক্টরই নয়। খুব খুউব স্যাড মনীষা, তোমার নাম কী বললে?— সমুদ্র? উই ওয়্যার গ্রেট ফ্রেন্ড্‌স বুঝলে! কিন্তু সৃষ্টি আমাকেই… কিছু তো করার থাকে না। আমরা বিশেষত আমি কিন্তু বহুদিন ওর খবরাখবর রেখেছি। আমাদের বিয়ের তারিখটা… তারিখটা লক্ষ করো ১১ই জুলাই, ও অ্যাসাইলাম যাবার পাঁচ মাস পরে। ফ্রেব্রুয়ারি, মার্চ… ভদ্রলোক গুনতে লাগলেন, হ্যাঁ, পাঁচ মাস পর, আর তারপরই এডিনবরায় একটা টিচিং অ্যাসাইনমেন্ট পাই। এই। ও সেরে গেছে, এর চেয়ে ভাল খবর….

কিছুক্ষণ মুখটা নিচু করে রইলেন, সামলাচ্ছেন নিজেকে, বাইশ-চব্বিশ বছর আগে খোয়ানো বন্ধুর জন্য এত?

—আমি তেমন কিছু ছিলুম না, তবু আমিই ছিলুম ওর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু, সৃষ্টিও… মানে জুনিয়র তার ওপরে মেধাবী ছাত্রী তো!

…ওর সঙ্গে একটা ইনটেলেকচুয়াল বন্ড ছিল কিন্তু ও আমাকেই… আমি দেবকে দেখতে যাব। দিন পাঁচেক পর আমার মেয়ে আসবার কথা আছে। তখন তার কাছে তার মাকে রেখে…।

আমি বললুম— না।

—কী না?

—যাবেন না।

—তুমি কি আমার কথা বিশ্বাস করছ না?

—অবিশ্বাসও করছি না। কিন্তু ব্যাপারটা অত সরল নয়। আপনাকে দেখে ওঁর কী রি-অ্যাকশান হবে… যদি খারাপ কিছু হয়? সেক্ষেত্রে ক্ষমা নেই, মানে আপনাদের বা আমাদেরও।

—ঠ্‌ ঠিক আছে যাব না। তোমাদের ফোন নাম্বারটা দিয়ে যাও, আমি খোঁজ নেব।

—খোঁজ নেবার কিছু নেই। উনি শান্ত হয়ে গেছেন, কোচিং-টোচিং নিয়ে ভালই আছেন।

—বলো কী? মাথার কাজ ওকে করতে দেওয়া ঠিক নয়।

—জানি। উনি স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের পড়ান। আমরা খেয়াল রাখি।

—আমাদের নম্বরটা নিয়ে রাখো। মাঝে মাঝে খবর দেবে।

ফিনকি বলে উঠল— এ সব আর দরকার নেই। কী থেকে কী হয়! আমরা শান্তি চাই।

—বেশ।

ট্যাক্সি পেতে অসুবিধে হল। নর্থে অনেক ট্যাক্সিই যেতে চায় না। খুব হাওয়া দিচ্ছে। প্রচুর হাওয়ার একটা সন্ধে রাতে মিশতে চলেছে বহু কোটি বারের পর আরও একবার। আমার চুল এলোমেলো ওড়ে, আমার দিকে কাচটা তুলে দিই। ফিনকি একেবারে চুপ। ওর চুল ওড়ে না, কোঁকড়া জমাট চুল।

এসপ্লানেড অবধি আসার পর ও বলল— তোর দুঃসাহসিক অভিযানের অপমৃত্যু হয় গেল ছোড়দা। দেবকুমার সেনের জীবনীতে লেখার মতো কোনও ইন্টারেস্টিং চ্যাপটারই আর রইল না।

—দারুণ একটা কথা কাটাকাটি, ঝগড়া-কাজিয়া হলে কি তুই খুশি হতিস?

—তা নয়। কিন্তু ‘জাস্টিস’? ‘জাস্টিস’ এমনই একটা নেশা যে সে সব সময়ে ইনজাস্টিস খোঁজে। একটা ভারী বই তুই সমস্ত শক্তি দিয়ে তুলতে গেলি, হুস করে বইটা উঠে এল। কী রকম বেকুব লাগে না?

আমি কিছুক্ষণ পর বলি— একটা ছেলেমানুষিই হয়তো করে ফেলেছি ঝোঁকের মাথায়। কিন্তু কতকগুলো জিনিস তো ক্লিয়ার হয়ে গেল। আমরা তো জানলুম জেঠুর দুর্গতির পেছনে কারও নিষ্ঠুরতা নেই। ওঁরাও জানলেন এতদিন আমরা ওঁদের দায়ী করে এসেছি এজন্য।

—তুই কি ওঁর সবটাই বিশ্বাস করে এসেছিস? ফিনকি অবাক চোখে বলল—আমি কিন্তু করিনি। এর ভেতরে ডেফিনিটলি আরও কথা আছে।

আমি বললুম— ইচ্ছে হলে সন্দেহটাকে পুষে রাখতে পারি। কিন্তু বিশ্বাস করে নেওয়াটাই বোধহয় বেশি স্বাস্থ্যকর। কী হবে আর?

Pages: 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Powered by WordPress