বর্তমানের গোলকধাঁধায় ;
দশচক্রে ভগবানও ভূত হয়!
তাই তোমার আমার ভবিষ্যৎ;
অতলান্ত কালের গভীরে নিমজ্জিত।
সেই কবে হয়েছিল সমুদ্র মন্থন;
বাসুকি নাগকে ভুল বুঝিয়ে•••
দুপক্ষের টানা হ্যাঁচরায়;
বেচারা এখনো অন্তিম শয়নে শায়িত!
দেবতা আর দৈত্য মিলে
যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ;
ভাগ বাঁটোয়ারা হবে সমান সমান ;
কিন্তু লাভের গুড় খেয়ে নিল দেবতারা!
সুরভি গাভী ; উচ্চশ্রবা ঘোড়া;
ঐরাবত হাতি ; পারিজাত পুষ্প
বৈজয়ন্তী মনি ; চন্দন বৃক্ষ
হারানো লক্ষ্মী; আর অমৃত!
সবই দখল করে নিল দেবতারা;
তাইতো দৈত্যকূল মাঝে মধ্যে•••
স্বর্গ আক্রমণ করে;
অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়!
পরের ধনে পোদ্দারী করতে পারলে
কেইবা ছাড়তে চায়;
ক্ষমতার অলিন্দে ঘোরাঘুরি করতে
সবার ইচ্ছে হলেও;
সূঁচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেড়ানোর ফন্দি;
সকলের জানা থাকে না!
তাই কবির কথায়;
“এ জগতে হায় সেই বেশি চায় •••”
অবশেষে অসহায় প্রজার দিকে
উচ্ছিষ্ট ছুঁড়ে দিয়ে;
“রাজার হস্ত করে সমস্ত
কাঙালের ধন চুরি”।