দুর্গাপূজার একটি অঙ্গ নব পত্রিকা
নিছক পাতা নয়, নয়টি উদ্ভিদে যেন নবরূপের মাতৃকা।
কদলি,কচু,হরিদ্রা, বেলপাতা-
দাড়িম্বা, অশোক,মান,ধান যথা।
সপ্তমীতে পূজার শুরু ,কলাবউয়ের সাথে-
স্নান করাতে নদীপথে সকল গৃহবালা, শঙ্খ নিয়ে হাতে।
একজোড়া বেল,লালপাড় শাড়ি, ঘোমটা টানা বঁধুর আকার নেয়-
কাষ্ঠমঞ্চে সিঁদুর দিয়ে কলাবউকে গণেশ পাশে দেয়।
তোমরা কি জানো – নয়টি উদ্ভিদে দেবীর আরাধনা ?
নবপত্রিকায় দুর্গামায়ের নয়টি রূপের কল্পনা।
কদলী গাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ব্রাহ্মণী –
কচুগাছে কালিকা মায়ের হয় গো আগমনী।
হরিদ্রাগাছের অধিষ্ঠাত্রী আমার মা উমা,
জয়ন্তীগাছেই থাকেন মা কার্তিকী ,করেন শুধু ক্ষমা।
বিল্বগাছে থাকেন মা দেবী শিবা, মানবের রক্ষিকা-
দাড়িম্বগাছেই অবস্থান মাতা দেবী রক্তদন্তিকা।
অশোক গাছের অধিষ্ঠাত্রী মাতা শোকরহিতা –
মা চামুন্ডা মান গাছেই থাকেন অন্তরিতা ।
বৈকুণ্ঠের লক্ষীদেবী ধানগাছের অধিষ্ঠাত্রী পুরান মনস্কাম,
নবপত্রিকার বাসিনি নয়দেবীর একত্রে নবদুর্গা নাম।
এইভাবেই দুর্গোৎসবের ভক্তি আরাধনার সূচনা –
কৃত্তিবাসে রাবনবধে রামচন্দ্রের অকালবোধনে প্রার্থনা।