বহু চেষ্টা, বহু অনুসন্ধানের পরেও মানুষ
কোথাও পায় না খুঁজে অভীষ্ট জিনিশ
কখনো কখনো। খরতাপে
পুড়ছে চৌদিক, দুপুরের বুক ছিঁড়ে ক্রমাগত
ডেকে যায় পিপাসার্ত কাক।
গরু, মোষ অসহায় তাকায় রক্তিম চোখে এদিক ওদিক
জলহীনতায়,
মানুষের বুক জুড়ে ধূ ধূ হাহাকার,
অথচ কাছেই রয় স্নিগ্ধ জলধারা অবিরাম,
তালাশের পরেও পায় না খোঁজ পশু-পাখি এবং মানুষ।
শহরে শহরে বোমা ফাটে, অস্ত্র নাচে, রক্ত ছোটে
শহরে শহরে আততায়ীর মোচ্ছব, মানবতা
খুন হয় প্রহরে প্রহরে
ধর্মান্ধ খাঁড়ার কোপে। মৌলানা রুমির
কবিতার চোখ
জলে ভাসে যূথচারী বক ধার্মিকের আস্ফালনে।
রক্ত ঝরে, রক্ত ঝরে, উত্তর দক্ষিণে
পূর্ব ও পশ্চিমে,
ঘর পোড়ে হিংসার আগুনে
শান্তির পাড়ায়, নারী আর শিশু কাঁদছে নিয়ত।
বর্বরের অট্রহাসি ম্লান করে দেয় প্রতিদিন
জ্ঞানীদের মুখ।
বহু চেষ্টা, বহু অনুসন্ধানের পরেও মানুষ
পায় না সে বাগানের খোঁজ,
যেখানে গোলাপ
চকিতে প্রেমের পদাবলী হ’য়ে যায়,
ঝাঁক ঝাঁক প্রজাপতি ওড়ে,
শিশুরা কোমল হাত ধরাধরি ক’রে নাচে, প্রেমিক প্রেমিকা
জ্যোৎস্নারাতে অলৌকিক, কথোপকথনে মেতে ওঠে,
আহত কবির বুকে প্রলেপ বুলায় পুষ্পঘ্রাণ।