সচল জীবন
“বলি চাল নেই চুলো নেই তোর অভি, বিয়ে করে সংসার চালাবি কি করে শুনি!!দিদি সবসময় এরকম খোঁটা দিস না। আজকে না হয় তোর দুটো পয়সা হয়েছে কিন্তু কলেজে পড়ার সময় যখন প্রেম করে বিয়ে করলি,বলি জামাইবাবুর স্ট্যাটাস কি ছিল একটু বলবি !
“দেখ বড্ড বাড়াবাড়ি করছিস কিন্তু ভাই”!
মোটেও না এটাই বাস্তব ।তুই তখন যেমন জামাইবাবুকে উৎসাহ দিতিস,মনোবল শক্ত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা ঠিক তেমনি আমার পাশেও শর্মিষ্ঠা।
এ বাড়িতে হঠাৎ অতিমারীর ছোবল,মা-বাবা,দিদি জামাইবাবু বেসামাল।হন্যে হয়ে খুঁজছে ওরা অক্সিজেন, বেড।নার্স শর্মিষ্ঠা কোভিড যোদ্ধা হয়ে দিনরাত রোগীদের সেবায় নিয়োজিত।অভির সত্যি মুখ নেই ওদের বিয়েটায় মূল বাধা হয়ে দাঁড়ানো মানুষগুলোর জন্য কোনো সহায়তা চাইতে। আজকাল কেমন যেন একটা সম্পর্কে ধূলোর আস্তরণ জমেছে দুজনের মধ্যে।
শর্মিষ্ঠা কারুর থেকে খবর পেয়ে অভিকে ফোনে আশ্বস্ত করে মা,বাবা কে ভর্তি করিয়েই দিদির বাড়ি এম্বুলেন্স পাঠিয়ে দেয় । চরম শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি ও কোমায় চলে যাওয়া দিদিকে আপ্রাণ চেষ্টায় ফিরিয়ে আনে। আকালের দিনে শর্মিষ্ঠা যদি এভাবে পাশে না দাঁড়িয়ে প্রাণ সঞ্চার করতো হয়তো মৃত্যু মিছিলের স্রোতে সব শেষ!
“ভাই রে তুই ওকেই বিয়ে কর,সত্যি ওর মতো মানুষ হয় না”।হম দিদি, কিন্তু শর্মিষ্ঠা বলেছে ও বউ হিসাবে এলে প্রায়শই যে দিদি জামাইবাবু কয়েকমাস ধরে ঘরজামাই হয়ে থাকে সেটা ভালো দেখায় না । তাই বলি কি তোরা স্থায়ী একটা ব্যবস্থা কর কেমন।