Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » ষাট, ষাট, ষাট || Subodh Sarkar

ষাট, ষাট, ষাট || Subodh Sarkar

তখনও ওঠেনি চাঁদ; গুঁড়ি ধরে লাল জামা গায়ে আততায়ী
অপরাধবোধে কাঁদছে আর দূরে পুড়ছে টায়ার
শামুকের দাগ চিনে চিনে
বেলাতটে গণ্ডি কেটে ঘণ্টায় একশো কুড়ি কিলোমিটারের ঝড়
সহ্য করে অপেক্ষা করছি
তরুণী ভার্যার জন্য
পরিবর্তে দেখি এক মিশকালো তফসিলি নারী—
তার এক চোখ কানা
অশ্বের গ্যালপ্‌—একবার চাঁদ আছে, একবার নেই
এই করে করে আমাকে গুহার মধ্যে যেই ঠেলে ফেলে দিল
দেখি: একটা নয়, শত শত গুহা
প্রত্যেক গুহার মুখে একজোড়া জুতো উলটো করে রাখা, মানে
যে গেছে, সে
বেরিয়ে এলেই তবে আমি যাব।
মাথার ওপরে আঁকা কর্কটের ছবি, যার আঁকা তার হাত কুষ্ঠে ভরে যাক
তবু জুতোজোড়া কী আশ্চর্যের; পাশের অলিন্দ খুলে দেখি:
রক্তে ভিজে গেছে বেডশিট, মা বাবাকে জাপটে ধরে কাঁদছে আর বলছে:
এ কি রোগ তুমি নিয়ে এলে
এ বংশে! কত নম্বরে গিয়েছিলে?
অশ্বের গ্যালপ্‌—একবার চাঁদ আছে, একবার নেই
কাঁচা বাঁশে হলুদ মাখিয়ে
মা তাঁর ছেলের বউ ঘরে তুললেন
বছর যেতে না যেতে ছেলের ঘরের বন্ধ দরজায় এসে ভেঙে পড়লেন:
‘বউ, তুই আমার ছেলেকে ফিরে দে।’
উলটে দেখি: ১৩ নম্বর গুহার সামনে বুকে মুখ গুঁজে
পড়ে আছে এক অন্তঃসত্ত্বা
কটিদেশ মুক্ত, চাঁদের আলোয় মুক্ত লোয়ার অ্যাবডোমেন—
পাঁচ মাস হল
ফুলে ঢাকা ফোড়া, তার ভেতরেই চালু হয়ে গেছে হার্ট
ভয় নেই
একটুও লাগবে না, তুমি চন্দ্রের জাতক।
‘আমিই আমার শত্রু’—তোর মুখে ছাই, ছাই আমার মুখেও
দেখি রাসমণি পাটি পেতে বসে, সাতকাল গিয়ে আজ
জন্ধুবনে মেঘ, আজ আর চোখে দেখেন না
তবু ঝিকে লক্ষ্মীর বাতাসা আনতে খুঁট খুলে দুই হাত দিয়ে
ধরে ধরে দেখছেন: আধুলি না কাঁচা টাকা!
বারো মাসে তেরো ষষ্ঠী—যাট, ষাট, ষাট
সুখে থাক রাসমণি—যাট, ষাট, ষাট
সুখে থাক ১৩ নম্বর—ষাট, ষাট, ষাট
ফোড়ার ভেতর হার্ট—যাট, ষাট, ষাট
দুধে ভরে থাক বুক—যাট, ষাট, ষাট
শুকনো গুঁড়ি ধরে আততায়ী কাঁদছে আর দূরে পুড়ছে টায়ার
পেছনে দগদগে, চুলকে চুলকে রক্তঝরা ক্ষতের মতো দিকচক্রবাল
এই দুই দৃশ্যের মাঝখানে এসে দাঁড়িয়ে পড়েছি
ঘুরে দেখি: এক খঞ্জ তার ভিক্ষালব্ধ দিনান্তের চাল ও পয়সা
ছুড়ে মারছে আমাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *