যুগের অবক্ষয়ের সন্ধিক্ষণে পড়ন্ত বিকেলে
ক্লান্ত শরীরে হেঁটে চলে শহরতলির কোনো শ্রমিক,
যেন শোনে শুকনো ঝরাপাতার মর্মর ধ্বনি !
নির্লিপ্ত তার দৃষ্টি চিন্তার ভাঁজ কপালে
হাঁড়ি চলবে কি ভাবে?
প্রতিনিয়ত আপোষে অভ্যস্ত জীবন,
সংসারের চাহিদারা বাড়ন্ত,
কি ভাবে হবে তা পূরণ!
ক্ষতবিক্ষত পা, জীর্ণ শরীর টেনে এগিয়ে চলে,
কানে ভেসে আসে মিথ্যা প্রতিশ্রুতির আশ্বাস,
সাধারণ মানুষগুলো আজ হারিয়েছে বিশ্বাস!
দরমার ছাউনিতে মা বিছানায় শোয়া,
গুমোট গন্ধ আবর্তে পাক খায়,
তবু একটা ছোট্ট হাসিমুখ যন্ত্রণায় জোগায় প্রলেপ,
শিক্ষিত আগামীর ক্ষীণ আশায়,
আধপেটা শ্রমিকরা এভাবেই বেঁচে রয়!