যে কোনো দেশেই শ্রমিক শ্রেণী অর্থনীতির ভিত,
শিল্প ক্ষেত্রে , নির্মাণ, উৎপাদনে শ্রমিকর করে দেশের হিত।
অক্লান্ত পরিশ্রম করে যেটুকু মজুরি পায় জোটেনা ঠিকমত আহার,
তবুও বুভুক্ষু তারা পেটের দায়ে করে কাজ সহে বাজে ব্যবহার।
মালিক শ্রেণী শোষন যন্ত্র তারা নিঙড়ে আদায় করে শ্রম,
প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাটায়, করে নিপীড়ন যদি কাজ করে কম।
স্বার্থের দাঁড়িপাল্লায় মনুষ্যত্ব বিবেক পৃথিবী জুড়ে,
অদৃশ্য কালো হাত প্রশস্থ সহজে করবে অত্যাচার নির্জন পুরে।
স্বেদবারি গায় কষ্টে বেজায় নীরবে শ্রমিক দল,
খেটে খায় শুধু থাকতে সুখে নিয়ে ঝুঁকি প্রতি পল।
জীবন প্রচ্ছদে রক্তে লেখা প্রকৃত শ্রমের দাম,
অসহায় ওরা কলুর বলদ খাটে তবু নেই নাম।
পুঁজিবাদী সমাজ মেহনতিদের নিষ্ঠুরতার সাথ,
খাটায় সতত দেয়না যথোচিত মজুরি তাদের হাত।
শ্রমিকের শ্রম বিশ্ব মাঝারে উন্নয়নের জোয়ার স্রোত,
মালিক পক্ষ শোষন করে বানিয়ে হালের জোত।
আট ঘন্টা কাজের দাবিতে শ্রমিক আমেরিকার হে মার্কেটে জমায়েত হলে,
মালিক শ্রেণী নির্বিচারে করে অত্যাচার চালায় গুলি বন্দুক নলে।
ভূলুন্ঠিত শহিদ শ্রমিক দেহের রক্তে ভেসে যায় ধরাতল,
বাধ্য হয়েই মালিক মেনে নেয় দাবি কৌশলে।
সময় নির্দিষ্ট হলেও আজও শোষণ নিপীড়নের চলছে রাজ,
নিরুপায় শ্রমিক জঠর জ্বালায় শিশু -পরিবার নিয়ে করে কাজ।