ধূধূ প্রান্তর,কতো অজানা পথ,মাঠ ,ঘাট পেরিয়ে, তোমার টানে,
কবিতার কাছেই ছুটে গেছি শুধু, কবিতাকে ভালোবেসে।
শব্দ সাজিয়ে মনের দুচোখে তোমার জলছবি এঁকেছি চৈত্রের দহন বেলায় তপ্তনদীর জলে।
আমার তাই, তোমাকে মনে পড়লে কবিতাই মনে পড়ে।
খুঁজেছি তোমার পঙক্তিমালায়।
যেখানে তোমার সম্বল রাখো গোপনে।
তোমার প্রেম যেন কোন দূর দেশের দ্বীপবাসিনী।
কিংবা নাটোরের বনলতা সেন! খুঁজেছি তোমায়
রাতের আকাশে, দখিনা বাতাসে। পর্ণমোচীর
ফিসফাস শিল্পকলায় পাতার শরীরে।
অনেক পথ পেরিয়ে, বসে আছি তোমার দুঃখের পাশে।
সেও তোমার দেওয়া যন্ত্রণা আগলে রেখে ভালোবেসে, শুধু কবিতা লিখবো বলে।
কবিতাকে ভালোবেসে ছুটে গেছি কঠিনের কাছে।
কঠিন তো আমায় ফেরাবে না। পাথরের বুক, সামান্য জলের ছিটা, সামান্য আদরে!
বিন্দু থেকে সিন্ধুতে তোমার গভীরে যে জলরাশি তছনছ করি, দুঃখ নদীর বক্ষ ভরা প্রতিবাদ জেগে ওঠে।
নতূন ভোরের পবিত্র আলোয় জানান দেয়, বলো না কিছু। শব্দহীন হও।
না বলা কথা, আর সকল না পাওয়া গুলো সম্বল হয়ে থাক কবিতার শরীরে পরম আশ্রয়ে!
যেখানে অনন্ত আকাশ নেমে আসে নীল দুগ্ধ ফেনীল সাগরের বুকে!!