আমাদের শিক্ষা শুরু সেই কোন প্রভাতে
মায়ের নৈতিক সুশিক্ষা ও ভালবাসা পেয়ে,
পাঁচবছর বয়সেই বাবার লিখতে শেখালেন
মা সরস্বতীর সামনে প্রথমে হাতেখড়ি দিয়ে।
তাই মা-বাবাই সবার জীবনের প্রথম শিক্ষাগুরু,
তারপরেতেই তো পাওয়া যায় শিক্ষাঙ্গন,
শিক্ষক-শিক্ষিকার আশীষেই বুঝিবা ধন্য হয়-
সব শিক্ষার্থীদের সরল, সুকোমল তনু-মন।
অতীতের গুরুগৃহের দৃশ্য আজ আর নেই,
শিক্ষাগুরুর অবস্থান এখন কেবল বিদ্যালয়ে,
তাই প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত-
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই পড়ান দায়িত্ব নিয়ে।
অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকার ভীড়েও
প্রকৃত শিক্ষকেরা সত্যিকারের মর্যাদা পেতেন,
উচ্চশিক্ষার জন্য তারা দূরে কলেজে গেলেও
শিক্ষার্থীর মনের মণিকোঠায় করতেন অধিষ্ঠান।
গুরুগৃহ থেকে পাঠশালার সেদিনের শিক্ষা-
আধুনিক যুগে সম্পূর্ণ হয়ে গেছে অবলুপ্ত,
নরমে-গরমে,আদরে-শাসনে শেখানোটা-
সার্থক শিক্ষকদের হৃদয়েই আছে সুপ্ত।
বর্তমানের শিক্ষা ক্রয়-বিক্রয়ের নিক্তিতে-
আজও পৌঁছোয় শিক্ষার্থীদের মানস পটে,
শিক্ষকদের ভালো-মন্দ বিচারের বহিঃপ্রকাশ-
শিক্ষার্থীদের সব পরীক্ষার ফলাফলে দৃশ্য বটে।
নামী বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্নও অর্থবলে সাকার,
অধিকাংশ শিক্ষক গৃহশিক্ষকতাকে দেন মান,
শিক্ষার্থীদের হচ্ছে লাভ কতোটা বলবে সময়,
কিন্তু শিক্ষকদের বেড়ে গেছে দ্বিগুণ উপার্জন।
আজ এই লকডাউনের পরিস্থিতির সুবাদে
শিক্ষাও এখন ফ্ল্যাটবন্দী এমনটাই প্রতীত হয়,
শ্রেণীকক্ষের সব আলোচ্য বিষয় আজ এ অদিনে-
গৃহবন্দী শিশুরা শিখছে তাই ডিজিটাল দুনিয়ায়।
তাই বর্তমানে শিক্ষা চলছে গড্ডালিকা প্রবাহে,
শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগুরু পাওয়া বড়োই মুশকিল,
যান্ত্রিক জীবন থেকে আবেগ ক্রমশঃ যাচ্ছে হারিয়ে-
শিক্ষাগুরুর অবধারণায় তাই প্রাক্তনীদের স্মৃতি সম্বল।।