শিক্ষামনা
সেই কবেকার কথা। জীবনের কঠিন সংগ্রামে সুষমাকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সুকল্যাণ আর অসীমার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হয়েছিল।মা-বাবা মাধ্যমিক পাস হতেই সুষমার বিয়ের তোড়জোড় শুরু করে।কিন্তু মেয়ে আরো পড়াশোনা করতে চায়।তাই বেঁকে বসে।স্পষ্ট বলেছিল, আমি এখন বিয়ের পিঁড়িতে বসব না।আরো লেখাপড়া করতে চাই। অন্ততঃ গ্র্যাজুয়েট হতে চাই।
ধমকে উঠেছিল সুকল্যাণ-অসীমা, বেশী শিক্ষিত হয়ে সেই তো হেঁসেলের জোয়াল কাঁধে নিতে হবে।
নিরুত্তর সুষমার সমাজসেবিকা বিশাখার কথা মনে পড়েছিল। একদিন চুপিসারে তার কাছে এসে শিক্ষিতের ইচ্ছা ব্যক্ত করে।
বিশাখা বলেছিল,ভালো কথা। কিন্তু তোর মা-বাবা যদি এখানেও হামলে পড়ে।তোকে বরং লোকাল থানার বড়বাবুর কাছে নিয়ে যাই।উনি একটা ব্যবস্থা করবেনই।
কথামতন কাজ। থানার বড়বাবু ২০ কিমি দূরে একটি হোমের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।
তন্নতন্ন খুঁজেছিল তাকে মা-বাবা। থানায় গিয়েও লাভ হয় না।
বিশাখা দিদিমণির সহায়তায় এক সময়ে গ্র্যাজুয়েট হয়ে চাকরীরও ব্যবস্থা হয় সুষমার একটি প্রাইমারী স্কুলে।
সে এবার বাবা-মার কাছে ফিরে এলে হারানিধি পেয়ে আনন্দে তারা আত্মহারা।সে সব মনে পড়লে সুষমার দুটি চোখ জলে ভরে ওঠে।