শত বর্ষ পরে,
কে তোমার কবিতা পড়বে,
তাই করতে চেয়েছিলে কল্পনা,
সে কল্পনা হয়ত তোমার ভুল |
বাতায়নে বসে
সেই ভাবীকালের কোনো তরুণী
তোমার কবিতার পাতা হয়ত ওল্টাবে না
অলস কৌতূহলে
সময় বড় উদাসীন, বড় অচেতন |
মেহগিনির মঞ্চ ‘পরে
পঞ্চ কি পঞ্চাশ হাজার
পুরানো পুঁথির স্তূপে
তোমার সব মুদ্রিত রচনা
হয়তো শুধু হয়ে থাকবে
পণ্ডিত গবেষকদের প্রলোভন |
থাক্ না তাই |
শুধু ছাপানো অক্ষরের বন্ধনে
পাঠ্য হবার পরমায়ু তোমার নয় |
শত বর্ষ পরেও তুমি থাকবে
আকাশের নীলের আরেকটু গাঢ়তা হয়ে |
থাকবে, আমাদের কন্ঠের সুর
আর আমাদের ভাষার আনন্দদান ঝংকারে |
যৌবনের চোখে তুমি তখন
অদম্য দিগন্ত-তৃষ্ণা,
চির বিপ্লবের উত্তেজনা
তার ধমনীর স্পন্দনে |
সব অসাম্যের বিরুদ্ধে
তুমি এক শাশ্বত বজ্রকঠিন শপথ,
অখণ্ড মানবতার দিশারী
এক প্রসন্ন উদার প্রশান্তি |