আকাশের বুকে পেঁজা তুলোর সোহাগ কথা
মেঘবালিকা উড়ে বেড়ায় টুকরো টুকরো মেঘে তথা।
ময়ূরপঙ্খী নাও যে ঘোরে বনবনিয়ে নীল আকাশে,
পুজো পুজো গন্ধ কেমন মনটি ভরায় খোলা বাতাসে।
দুর্গা আসবে লক্ষ্মী বাণী স্কন্দ গনেশ সাথে নিয়ে
ঘোড়ায় চড়ে টগবগিয়ে ধুলোর ঝড়ে দিক্ কাঁপিয়ে।
শঙ্কা বুকে মর্ত্যবাসী ; কি হবে ভেবে আকুল,
ভাসবে নাকি জলের তোড়ে পুজোর সময় রবে ব্যাকুল।
বছরে তো মা আসবি একবার বাপের বাড়ি মর্ত্যমাঝে
সুখের নামে কাটবে যে দিন নন্দ ধরবো সকাল সাঁঝে।
অফিস দপ্তর ইস্কুল কলেজ বন্ধ থাকবে পুজোর তরে,
পাড়ায়পাড়ায় ঠাকুর দেখা,ফুচকা খাওয়া থাকবে পরে।
কাশের বনে হাওয়ার দোলা মাথা নেড়ে দেয় যে দোল
বলছে হেলে দুর্গা আসবে, দুর্গা মাঈ কি, দে রে বোল।
শিউলি বিছায় সাদা চাদর কমলা বোটা রঙে ধরা
আদর করে গলায় মাথায়, মালা হয়ে উঠবে ত্বরা।
শতদলে ভরা দিঘি পদ্ম পাতায় ঢাকা জলে,
শালুক শ্যাপলা সাথে আছে জটলা বড় করে দলে।
ছোট্ট মিনি নৌকা বেয়ে যতন করে নিচ্ছে তুলে
গাঁথবে মালা একশো আটে মন যে কাড়ে আপন ভুলে।
তরতরিয়ে সাঁতরে চলে সারি দিয়ে হাঁস মরালে
সোহাগ ভরা আদর দিয়ে পানা কলমি পাতা ভরালে।
ঋতুরানির অপূর্ব খেলায় শরৎ হাসে সোহাগ ভরে,
ফুলে ফলে অলির খেলা পরাগ মিলন পুষ্প পরে।
আগমনীর সুর বেজেছে নবীন সাজে ভোরের বেলায়,
শারদা মায়ের আবাহনে শঙ্খধ্বনির সুরের খেলায় ।