লস্যি
গরমকাল। প্রখর রোদে পৃথিবী যেন তপ্ত মরুভূমি। কোথায় গেলে যে শীতলতা পাওয়া যাবে বোঝাটা বড়ই মুশকিল। কোথাও ছায়ার লেশমাত্র নেই। থাকবেই বা কি করে পথের পাশের বড় বড় গাছগুলো তো সেই কবে রাস্তা চওড়া করবার জন্য কেটে ফেলা হয়েছে। তারপর আর নতুন করে কোন বৃক্ষরোপণ করা হয় নি। তার ফল এই গরমে ভোগ করতে হচ্ছে মানুষকে।
একটি ছোট উঠতি কোম্পানির সেলসম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছে বীরেন। ওর প্রোডাক্ট বিপননের জন্য বেরিয়েছে। কিন্তু এই গরমে আর চলতে পারছে না। এদিকে ওদিকে তাকাচ্ছে যদি কোন ঠান্ডার দোকান চোখে পড়ে। তাহলে একটু গলায় ঢেলে শরীরটা ঠান্ডা করতো। একটু হাঁটাহাঁটি করতেই একটা দোকান চোখে পড়লো। ও সোজা দোকানে ঢুকে গেল। দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করলো “দাদা লস্যি পাওয়া যাবে কি”?
হ্যাঁ হবে।
“একটা দিন তো। মিষ্টিটা কম করে দেবেন। এই নিন টাকাটা নিয়ে নিন।”
দোকানদার লস্যি বানিয়ে দিল।
বীরেন একঢোক মুখে দিয়েই থু থু করে ফেলে দিল।
“এটা কি লস্যি? এ তো পচা দই। পচা পচা গন্ধ। বমি উঠে আসছে।দিন আমার টাকা ফেরত দিন। এইভাবে খদ্দেরকে ঠকাচ্ছেন। পচা জিনিস দিয়ে লস্যি বানিয়ে লোকের মাথায় বারি দিচ্ছেন। আমার টাকা ফেরত দিন।”
“আমাকে ক্ষমা করবেন বাবু। আমার টাকা ফেরত দেবার ক্ষমতা নেই। শুধু নেবার অধিকার আছে। আমি তো শুধু একজন কর্মচারী “।
“তোমার মালিক কোথায় ? ডাকো তাকে।”
“বাবু উনি পাশের দোকানে গেছেন।”
“কেন পাশের দোকানে কেন? “
“লস্যি খেতে বাবু” ।।।।