আমার ঘরেতে মৃত্যু মিছিল বারেবারে ধেয়ে আসে ;
যা কিছু ঘটুক প্রকৃতির রোষ কিম্বা অমানুষ সন্ত্রাসে!
অনাহার সেতো আমার ঘরেই ছাদহীন কাটে রাত;
প্রতিকারহীন রোগের যুদ্ধে পাইনা তো কারও সাথ।
আমার ঘরেতে শিক্ষা বিহীন খেটে খাওয়া মজদুর;
ধর্ষিতা হয় আমার দুহিতা স্বপ্নেরা থাকে বহু দূর!
মোর সন্ততি রোদ বর্ষায় কাজ করে পথে প্রান্তরে;
তার ভিজে ঘামে সুখের প্লাবন তোমাদের সংসারে।
তুমি মনে করো জনগণ শুধু মানবে তোমার কথা;
তোমারই কথায় উঠবে বসবে করবে না অন্যথা!
তোমার মনেতে অগাধ দম্ভ ক্ষমতা তোমার হাতে;
না পাওয়া মানুষ তোমার দুয়ারে অভাবের হাত পাতে।
তোমার কথাই সব শেষ কথা তুমি জানো সবকিছু;
শাসন যন্ত্র শোষণ তন্ত্র ইশারায় ছোটে তোমার পিছু!
মসনদে বসে মনে মনে ভাব তুমি বিধাতার ধাতা;
রক্ষাকর্তা তুমি আমাদের তুমিই অন্নদাতা ।
রাজকীয় ব্যয় তোমার জন্য মন্ত্রী সান্ত্রী সঙ্গে;
রাজপথে যদি তুমি বের হও উত্তাল হয়ে রঙ্গে!
বিলায়ে প্রসাদ জনতার মাঝে প্রাসাদে ফিরবে তুমি;
ভুলে গেছ তুমি প্রাসাদ পথের সারথি ছিলাম আমি।
ভিক্ষা চেয়েছো প্রতি ঘরে গিয়ে মাথায় নিয়েছো হাত;
আজ বলে দিলে আমার ক্ষুধায় তুমিই জোগাও ভাত!
শিক্ষার নামে সদাগরী চলে আর স্বাস্থের নামে প্রহশন;
তোমার সুরক্ষা দিতে দিতে আজ দিশেহারা হয় প্রশাসন।
প্রয়োজনে আমি চলি একা একা রাজপথে রেলপথে;
শিয়রে শমন তবু নির্ভয় মৃত্যুকে নিয়ে হাতে !
আমার মৃত্যু হবে রাজনীতি তোমার চড়ার সিঁড়ি;
বাক্য বাগীশ স্তাবকের দল তোমাকে রেখেছে ঘিরি।
ভুলে গেছ তুমি দ্রুত উত্থান পতনের আর দিক;
তুমি শেষ নও শেষ কথা শুধু মানুষই বলবে ঠিক!
তোমার বাঁচার একটাই পথ দায় যদি বুঝে নেবে;
নচেৎ তোমার শোষণ যন্ত্র ঘুণপোকা কুঁরে খাবে।