বিগত প্রহর গিয়েছে ফুরিয়ে আগতও যাবে চলে !
হে কবি তুমি যে অন্তর জুড়ে রয়েছ মর্মমূলে।
প্রাণের প্রদীপ জ্বালিয়ে প্ঁচিশে বৈশাখে আগমন,
প্রখর তপ্ত দহনের দিনে পেয়েছ আমন্ত্রণ।
সে মহোৎসবে বড়ো গৌরবে শঙ্খ ধ্বনির রব,
প্রকৃতির বুকে সেদিন ছিল যে অনন্য অনুভব।
কৃষ্ণচূড়ার রঙ নিয়ে বুকে মেতেছি সারাক্ষণ,
আনন্দ গানে পঁচিশের ঘ্রাণে মেতে ওঠে তাই মন।
নৌকোয় বসে নদীজলে ভেসে বাতাসের গান শুনি,
তোমার হৃদয়ে হৃদয় ছুঁয়ে যে ‘রচি মম ফাল্গুনী!
ঠাঁই মেলেনিকো সে তরী তোমার সোনার ধানেতে ভরা,
তোমার নামের অন্তিম চিঠি দেয়নিকো হরকরা।
ভেবেছিলে বুঝি খেয়া পাড়ি দেবে সোনার তরীটি বেয়ে,
ঝিনুকের বুকে মুক্তোর মতো রয়েছ হৃদয় ছুঁয়ে।