Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » রামলীলা || Sankar Brahma

রামলীলা || Sankar Brahma

১).

বিমল সেদিন ঘর ছেড়ে বেরিয়েছিল, সেদিন ছিল শীতের রাত। মাঘের শীত বাঘের গায়ে। কিন্তু রাগে তার শরীর এমন জ্বলছিল যে বাইরের ঠান্ডার কথা তার মাথায় ছিল না। বাড়ির বাইরে বেরিয়ে সেটা টের পেয়েছিল। স্টেশনে বাইরে আগুন জ্বেলে কয়েকজন কুলি-শ্রেণীর লোক আগুনে শরীর সেঁকছিল। বিমলও নিরুপায় হয়ে তাদের পাশে গিয়ে বসে পড়ে। এইভাবে রাতটা পার করে, সে ভোরের প্রথম ট্রেনে উঠে পড়ে।কোথায় যাবে কিছুই সে জানে না।

বিমল স্বাধীনচেতা মানুষ। নিজেই নিজের মর্জি মাফিক জীবন গড়ে নিয়েছিল শেষে। পনেরো কী ষোল বছর বয়সেই বাবার উপর রাগ করে বাড়ি ছেড়ে দিয়ে চলে এসেছিল সে। মা অনেক বারণ করেছিলেন। কান্নাকাটি করেছিল অনেক ।
কিন্ত বিমল সে কথা কানে তোলে নি। মায়ের চোখের জল অগ্রাহ্য করে বেরিয়ে আসতে সেদিন কম কষ্ট হয়নি মনে। শেষপর্যন্ত মা যখন বুঝলো, তাকে আর বাড়িতে ধরে রাখা যাবে না। তখন বাড়ি থেকে বের হবার সময় মা জোর করে কিছু টাকা বিমলের হাতে গুঁজে দিয়েছিলেন। তা নিয়েই এক জামা কাপড়ে সে বেরিয়ে এসেছিল সেদিন সেই শীতের হিমেল রাতে।
ওরা তখন আসামে থাকতাে। তার বাবার ছিল রেলের চাকরী। সেখানে বিমল ক্লাস নাইনে পড়তাে। বাবার সাথে একদিন তার পড়াশুনা নিয়ে, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া নিয়ে প্রচুর ঝগড়াঝাটি অশাস্তির পর সে রাগে দুঃখে অপমানে ঘন ছেড়ে যা পরেছিল তাই পরেই, এক জামা কাপড়ে বেরিয়ে আসে।
আসাম থেকে ট্রেনে হাওড়ায় চলে আসে সে। সেখানে এসে প্রথম একটা চায়ের দোকানে পেট ভাতায় কাজ নেয় । দোকান বন্ধের সময় ভাড়া রিক্সায় কয়েক খেপ মেরে কিছু রোজগারের চেষ্ট করে সে। এই ভাবেই একদিন তার সাথে আলাপ হয় এক মাছের টুকরী ব্যাবসায়ী সঙ্গে। তার টুকরী সে রিক্সায় করে লঞ্চ ঘাটায় পৌঁছে দিতো। একদিন সে তার টাকা ভর্তি একটা ব্যাগ ভুল করে রিক্সায় ফেলে যায়।
পরদিন সে আবার মাছের টুকরী নিয়ে রিক্সায় উঠবে বলে রিক্সা খুঁজছিল। বিমল তাকে দেখতে পেয়ে, তার কাছে গিয়ে ব্যাগটা ফেরৎ দেয়। ব্যাগটা ফেরৎ পেয়ে সে বিস্ময়ে বিমলকে দেখতে থাকে। পড়ে ব্যাগ থেকে কিছু টাকা বের করে বিমলকে দিতে গেলে, বিমল বলে, না না ওই টাকা আমি কিছুতেই নিতে পারব না, বিনা পরিশ্রমের টাকা আমার কাছে হারাম। বিমল কিছুতেই সেই টাকা নেয় না।
লোকটি তখন তাকে একটি ভিজিটিং কার্ড দিয়ে বলে, আমার সঙ্গে দেখা বাড়িতে কোরো। বিমল কার্ডটি হাতে নিয়ে বলে, আচ্ছা।
তারপর সে কথা বিমল ভুলেই গেছিল। তারপর চায়ের দোকানের মালিকের সাথে একদিন বাকবিতন্ডা হওয়ায় সে সেখান থেকে কাজ ছেড়ে দিয়ে বেরিয়ে আসে। তারপর রিক্সা চালিয়ে চলছিল তার।
একদিন বিছানা ঝাড়তে গিয়ে কার্ডটি তার হাতে পড়ে।কার্ডটি এনে সে তার বিছানার তোষকের তলায় গুঁজে রেখে ছিল।

তারপর একদিন বিমল তার সঙ্গে দেখা করতে যায়। তার প্রস্তাব অনুযায়ী স্টীমারে মাছের টুকরী সাপ্লাই কাজে নেমে পড়ে। বিমল কিছুদিন তার কাছে থেকে সব কাজ-কর্ম ভাল করে বুঝে নেয়। সেখানে কিছু দিন কাজ করার পর, মালিককে বলে, সে নিজেই এই ব্যাবসা করতে চায়।
মালিক শুনে বলে, বেশ তো, ভাল সিদ্ধান্ত।
তারপর সে সেখান থেকে কাজ ছেড়ে দিয়ে, সঙ্গে যা টাকা ছিল, তাই সম্বল করে সে নিজেই নেমে পড়লাে ঐ টুকরী সাপ্লাইয়ের ব্যবসায়। মালিক তাকে সাহায্য করেছিল খুব।
বরাক উপতক্যায সব খরচ বাদ দিয়েও আয় তার মন্দ হতাে না। বেশ চলছিল ব্যবসাটা। ধীরে ধীরে প্রতিদ্বন্দী বাড়তে লাগলাে। লাভ কমতে লাগলাে।
তারপর যেমন আয় তেমন খরচ করায় অভ্যস্থ হয়ে পড়েছিল সে । দু’হাতে খরচ করার অভ্যাস এরমধ্যে রপ্ত করে ফেলেছিল । ব্যবসা ডাউন হতেই তখন মজা টের পেয়ে যায় বিমল। বন্ধু ইয়ার দোন্ত যারা সে সময় জুটে ছিল, তারা এক এক করে সব সরে পড়তে থাকে। তখন তার আশ্রয় হয় কপিল মুনির আশ্রম। সকাল বিকালে কাজের সময়টুকু ছাড়া, বাকী সময় তার মন্দিরে কাটত।
পড়াশুনায় খুব ভাল ছিল না সে। তবে গান বাজনা খুব ভাল জানত ! যাত্রা থিয়েটার ভালাে লাগত তার। আশ্রমেই একজনের সঙ্গে পরিচয় হয় তার, সে যাত্রা করত। তার সঙ্গে পরিচয়ের পর বছর দু-এক তাদেন দলের সঙ্গে থাকে সে । সেসময় সে রামলীলায় অভিনয় করার সুযোগ পায়। সেখানে অভিনয় করে বেশ সুনাম অর্জন করেছিল বিমল। রামলীলায় সে সাজতাে রাবণ । মানাতাে ভাল, অভিনয়ও করত বেশ দাপটের সঙ্গে। প্রতিবারই পুজোর আগে, রামলীলার সময় মাস দুয়েক আগে থাকতে তার ডাক পড়তাে। নিয়মিত রিহার্সালে যেতে পারত না সে, তার কাজের চাপে।
সে তার পার্ট বাড়িতেই মুখস্থ করে নিত। প্রাকটিশ করে নিতো আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে , কোথায় কোন কথার উপর ঝোঁক দিয়ে উচ্চারণ করতে হবে সুচারুভাবে রপ্ত করত। কোথায় একটু পজ দিয়ে ডায়লগ বলে ভাল শোনাবে এ নিয়ে সে ভাবনা চিন্তা করত । কোথায় আবেগ ঢেলে পরিবেশকে মাতিয়ে তুলতে হবে। বিহ্বল ভাষায় কথাগুলােকে ভাসিয়ে দিতে হবে। আবার কোথায়ও তার দার্শনিক ভঙ্গিতে কথাগুলােকে থেমে থেমে বলতে হবে, আবার কোথায় ধীর লয়ে দীপ্ত ভঙ্গীতে কাটা কাটা উচ্চারণে ডায়লগ বলতে হবে, সে আয়নার সামনে দাড়িয়ে রপ্ত করে নিত, সময় সুযোগ পেলেই। ফলে তার সাবলীল অভিনয়ে স্টেজ কেঁপে উঠতে হাততালিতে। অভিনয় করে কতাে মেডেল পেয়ে ছিল সে।

২).

বিমলের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে তার প্রেমে পড়েছিল, মৌমিতা ঘোষ। কিন্তু তা খুব বেশী দূর এগোয়নি।

সকালে ঘুম থেকে উঠে, জানলায় দাঁড়িয়ে বিমল দেখতে পেল, দুটো শালিক পাখি। নেচে নেচে খাবার খুঁটে খাচ্ছে। একটা উড়ে যেতেই, অন্যটাও তার পিছনে পিছনে উড়ে গেল। দৃশ্যটা দেখে মনটা তার ভার হয়ে গেল। হঠাৎ মৌয়ের কথা মনে পড়ে গেল তার।
মনে হল, কতদিন মৌয়ের কোন খবর নেই। কেমন আছে সে?
ভাবল কাল বিকেলে একবার ওদের বাড়ি যাবে। কতদিন যাওয়া হয় না সেখানে, একটা সংকোচ বোধ ভিতরে ভিতরে কাজ করছিল। হঠাৎ যাওয়াটা কি ঠিক হবে? কি ভাববে, মৌয়ের বাবা মা? অনেক ভাবল সে। শেষে ঠিক করল, সে যাবে একবার সেখানে, যে যা ভাবে ভাবুক।
রাস্তায় বেরিয়ে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছে বিমল।
বাসের দেখা নেই। ভাবল একটা সিগারেট ধরায়। পকেটে হাত দিয়ে দেখল, সিগারেট প্যাকেট আর দেশলাই ঘরে ফেলে এসেছে। বাস স্টপেজের উল্টোদিকেই একটা সিগারেটের দোকান দেখে সেদিকে এগিয়ে গেল সে। দোকানদারকে বলল, এক প্যাকেট ফ্লেক আর একটা দেশলাই দিন তো?
সিগারেট প্যাকেট আর দেশলাই নিয়ে, দাম দিতে গিয়ে দেখি, মানিব্যাগও আনতে ভুলে গেছি।
বের হবার সময় মনে এত টেনশনে ছিল, মৌয়ের বাড়িকে যাবার কথা ভেবে যে একটা ঘোরের মধ্যেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছে সে। সঙ্গে যে কিছু নিইনি সে খেয়ালই ছিল না। সে আবার দোকানদারকে সেগুলি ফেরৎ দিয়ে বলল, এ’গুলি রাখুন ভাই, আমি ফিরে এসে নিচ্ছি।
দোকানদারকে দেখল সে, তার মুখের দিকে রাগত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
এমন সময় পাশে এসে দাঁড়াল, বিল্টু।
তাকে দেখে বলল, কি গুরু কি হয়েছে?
বিমল ওকে সব ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলল।
ও শুনে বলল, ওহ্ এই ব্যাপার।
দোকানদারকে বলল, ওগুলি ওনাকে দিয়ে দিন।
আমি দাম দিয়ে দিচ্ছি।
বিমল বললাম, না না –
– আরে রাখ তো। বলে, বিল্টু সে গুলি তার হাতে গুঁজে দিল। তারপর বলল, চল আমার সঙ্গে। কতদিন তোর সঙ্গে দেখা নেই।
– না না, আজ নয়। আজ আমার একটা অন্য কাজ আছে, বিমল বলল।
– কাজ একদিন পরে করলেও কোন ক্ষতি হবে না। এখন চল আমার সঙ্গে।
– কোথায়?
– চল না। গেলেই দেখতে পাবি, আয় –
বলে সে তাকে নিয়ে চলল। একটু এগোতেই দেখল পাশে ওর গাড়ি দাঁড়িয়ে। দরজা খুলে দিয়ে বিল্টু বলল, আয় ভিতরে বস।
বিল্টু প্রোমটারী করে।
প্রথমে গেল ওর সাইটে। ওর একটা কমপ্লেক্স তৈরী হচ্ছে সেখানে। গাড়িতে আমায় একটু বসতে বলে, ও গাড়ি থেকে নেমে গেল সাইটের ভিতরের দিকে কোথায় গেল।
বিমল গাড়ির বাইরে এসে, একটা ফ্লেক ধরালো। আয়েস করে টানতে লাগল। আর ভাবতে লাগল মৌয়ের কথা।
বিল্টু ফিরে এলো কিছুক্ষণের মধ্যেই। তারপর তাকে নিয়ে গাড়ির ভিতরে বসল। গাড়ি আবার চলতে শুরু করল। বিমল মনে মনে ভাবছিলো, কোথায় আমার যাওয়ার কথা, আর কোথায় যাচ্ছি আমি? কোথায় যাচ্ছি, তাও অজানা।
কিছুক্ষণের মধ্যেই, গাড়ি এসে থামল ব্লু-ফক্স বারের সামনে। বিল্টু গাড়ি থেকে নেমে, তাকে বলল, আয় ভিতরে গিয়ে বসি। ড্রাইভারকে বলল – গাড়িটা স্ট্যন্ডে নিয়ে গিয়ে রাখ। আমি সময় মতো তোকে ফোন করে ডেকে নেবো।
বিমলকে নিয়ে ভিতরে ঢুকল বিল্টু।
এসব জায়গায় বিমল আগে কখনও আসেনি।
এই প্রথম। তাই, সে বিস্ময়ে চোখ ঘুরিয়ে সব দেখছিল। মোহময় শান্ত মৃদু লীল আলোয়, পরিবেশটা কেমন রমণীয় হয়ে উঠেছে।
উর্দিপরা বেয়ারা সামনে এসে দাঁড়াতেই,
বিল্টু বলল, দু-পেগ হুইকি দাও –
বিমল ভাবছিলাম বিল্টু কত পাল্টে গেছে। আগে ছিল হাবাগোবা গো-বেচারা ধরণের ছেলে। নাক দিয়ে সব সময়ই তার সিকনি ঝরত বলে, পকেটে রুমাল রাখত। কথা বলত, কেমন জড়িয়ে জড়িয়ে। আর আজ তাকে দেখে সে কথা ভাবা যায় না। টাকা কত বদলে দেয় মানুষকে।

পেগে একটা চুমুক দিয়ে, বিল্টু এ কথা সে কথা (তার ব্যবসার কথা, নিজের বর্তমান পরিস্থিতির কথা) বলার পর বলল, কী রে তোর ব্যাবসা কেমন চলছে।
বিমল পেগে এক চুমুক দিয়ে বলল , না রে, তেমন ভাল না। অনেক প্রতিদ্বন্দী ঢুকে গেছে। আগের মতন পরিস্থিতি এখন আর নেই। ব্যবসা নিয়ে পরস্পরের মধ্যে রেশারেশি, শত্রুতা, এমন কি খুন খারাপিও হচ্ছে। এই তো সেদিন মকবুল খুন হয়ে গেল। কে করেছে জানা যায়নি। ডকের পাশেই তার লাশ পাওয়া গেছে।
– তবে তোর চলছে কি করে?
– কোন মতে চলে যাচ্ছে। আগের মতো দেদার খরচ করতে পারি না। মেপে বুঝে চলতে হয়।
– হুম। তারপর তোর মালটার খবর কি?
– মালটা মানে?
বিমল দ্বিতীয় চুমুক দিয়ে জানতে চায়।
– আরে ওই যে, কটা কটা চোখ, রোগা মতন ফর্সা রঙ।
– তুই মৌয়ের কথা বলছিস?
– হ্যাঁ, হ্যাঁ….
– তা ওকে মাল বলছিস কেন?
– মাল বলব না তো কি বলব? এই তো সেদিন দেখলাম একটা ছেলের সঙ্গে সিটি- মার্টে ঘুরছে।
– তুই ভুল দেখেছিস
– হা হা হা……. আমার চোখ ভুল করে না।
– তাহলে হয়তো ওর ভাই-টাই হবে । বিমল বিল্টুকে বলল, কিন্ত মনে মনে ভাবল, মৌয়ের তো কোন ভাই-টাই নেই। তবে? বিল্টু বলল,ভাইয়ের সঙ্গে অমন ভাবে কেউ ঢলাঢলি করে চলে নাকি? শুনে মনটা খিঁচড়ে গেল বিমলের।

ফেরার সময় বিল্টু ড্রাইভারকে বলল, গোলপার্ক হয়ে যাস। গোলপার্কের মুখে, যেখান থেকে বিমলকে সে পিক আপ করেছিল, সেখানে বিমলকে নামিয়ে দিল। বিমল বাড়ি ফেরার সময় ভাবতে লাগল, এ কী শুনলো সে? যদি সত্যি হয় !

৩).

রাতে বিমল ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখল, সে রামলীলার রাবণ হয়ে গেছে সত্যিকারের। সে পুস্পক রথে করে, সিটি- মার্ট থেকে মৌকে তুলে নিয়েছে। মৌ আর সে মৌ নেই। সীতা হয়ে গেছে। গায়ে তার রত্নাভরণ, এক এক খুলে সে নীচে ফেলে দিচ্ছে। আর রাবণ (বিমল) হো হো হো করে হাসছে। পুস্পক রথ উড়েই চলেছে।
ওই বোধহয় জটায়ু আসছে ডানা মেলে বাধা দিতে, রাবণ (বিমল) কোমড় থেকে তরবারী বের করে ডানা দু’টি তার কেটে দিল। জটায়ু ধপ করে নীচে পড়ে গেল। পুস্পক রথ সামনে এগিয়েই চলছে।
বিমল বুঝতে পারছে না, এটা কী স্বপ্ন নাকি বাস্তব। স্বপ্ন হলে হলে তো এক সময় তা ভাঙত। কিন্ত পুস্পক রথ বনের উপর দিয়ে শ্রীলঙ্কার দিকে এগিয়ে চলেছে দ্রুত গতিতে। থামছে না। তবে এটা স্বপ্ন নয়, বাস্তব ঘটনা, মনে মনে ভাবল বিমল। আর যদি স্বপ্নও হয়, তা যেন আর না ভাঙে প্রার্থনা করল সে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *