বৃষ্টির ফোঁটারা ছাদের আলসে বেয়ে-
নেমে আসে ধোঁয়া ওঠা মাটির বুকে,
এক হাঁটু জলে ছোট ছেলের কাগজের নৌকা ভাসে;
আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি আর ভাবছি,
আমার নৌকার মাস্তুলে ঘুণপোকাদের ব্যূহ,
যুদ্ধে মত্ত ওরা শেষ করেছে আমার গৃহপালিত চেতনা,
“আমার দুচোখে অস্ত যায়” জুয়াড়ি রাতের দৃশ্য-
দেখতে পাই না মায়ের বুকে লেপ্টে থাকা শিশুটিকে!
যে ভ্রুণ জন্ম নিয়েছিল এমন এক বৃষ্টি মুখর রাতে!
শুনতে পাই নাতো ঘুম পাড়ানি গানের কলিগুলো;
গোঙানির মতো গোঁ গোঁ আওয়াজে দু’কান চেপে ধরি,
ওতে রাগ রাগিনীর সুর-তাল-লয়-যাম কিছু নেই….
ক্ষুধার্ত প্রহরের হাতুড়ি পেটানো কর্কশ শব্দের ঝংকার;
এ সুরে ইন্দ্রিয়গুলো ঝিমোয় না,
সুষুপ্তি থেকে জেগে ওঠে,
আদিম লালসায় গুনগুন ভ্রমরের মৃত্যু-
বীভৎস রক্তস্রোতের বেঠিক দিগ্বিজয়।
পাইথনের করাল গ্ৰাসে বিমুখ নারীর নগ্ন আতংকিত শরীর,
উফ্…..!
কী ভীষণ নিষ্পেষণে নিংড়ে নেয় জীবনের সব রস!
বিষাক্ত রিপুর তীক্ষ্ণ দাঁতের ছোবলে
…..প্রাণহীন আদিম দেহ;
আদম-ইভের ভালোবাসার বুকে পৈশাচিক অকাল মৃত্যু,
-ভ্রুণের প্রশ্ন মাকে ঘিরে, এ কোন পৃথিবী দেখাবে আমাকে?
বিষের মতো রাতের ভালোবাসার পরিণতি!
পিচ্ছিল পথ ধরে অনাগত আমি,
কী পরিচয় দেবে আমার! নাম?….. “জারজ”!
চাইনি আমি, এমন নিশ্চুপ নিষ্ফল পৃথিবীর সম্ভাষণ-
“একা আমি মানবের বেলাশেষে নিজের গুহায় নিঃশব্দ প্রস্থান”
অতঃপর……!!
কিছু প্রশ্ন, কিছু বিবাদ, কিছু নিরুদ্দেশ শপথ!!