Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » রহস্যের জাল ছিঁড়ে || Soma Bhattacharyya

রহস্যের জাল ছিঁড়ে || Soma Bhattacharyya

অঙ্কুষ প্রীতি দুই ভাই বোন বিকালবেলা বাড়ির সামনের মাঠে খেলতে যায়, ওখানে পাশের বাড়ির রাজ,পান্না ও আসে, একইসাথে কখনো ফুটবল, কখনো ক্রিকেট খেলে ওরা। প্রীতি এবার ক্লাস টেন এ উঠেছে তাই পড়ার চাপ বেড়েছে, সেদিন বিকালবেলা ভাইকে বলে তুই খেলতে যা আমি আমার হোমওয়ার্ক করে যাচ্ছি। অঙ্কুষ আগে যায় মাঠে কিছুক্ষণ পর প্রীতি মাঠে গিয়ে দেখে ওরা ক্রিকেট খেলছে,সন্ধ্যা হয়ে এসেছে রাজের জোরে শট বলটা মাঠের পাশের পুরানো বাড়িটার পাঁচিল টপকে ভিতরে পড়ে যায় ।
মাঠের পাশের এই বাড়িটা পরিত্যক্ত বাড়ি,বাড়ির মালিক দিল্লীতে থাকেন,অনেকে বলে ভুতুড়ে বাড়ি । পান্না বলে ওঠে ব্যাস হয়ে গেল ভুতেরা এবার আমাদের বল নিয়ে ক্রিকেট খেলবে। অঙ্কুষ বলে তুই থাম,আমি দেখছি ,প্রীতি বলে সাবধানে ওই বাড়ির কেয়ারটেকার খুব খিটখিটে, যদি থাকে চেঁচিয়ে পাড়া মাথায় করবে । অঙ্কুষ সাবধানে পাঁচিল ডিঙিয়ে বলটা দেখতে পেয়ে তুলে নেয়,তারপর যেন চাপা ফিসফিস শুনতে পায় । একটু সন্দেহ হয়, সন্তর্পনে জানলার পাশে এসে উঁকি দিয়ে দেখে কয়েকজন কথা বলছে,ওদের একজন বলছে মুক্তিপণ কত বলব?
কিছুটা ভয় পেলেও অঙ্কুষ বাড়ির ভিতরে ভালো করে দেখতে চেষ্টা করে, একি টেবিলের উপর ওগুলো কি?
বন্দুক! আস্তে আস্তে পাঁচিল টপকে বাইরে এসে প্রীতিকে জানায়। রাজ পাশ থেকে বলে এখন এখানে থাকা ঠিক নয়,বাড়ি ফিরে চল।
ওরা একসাথে ঠিক করে পরেরদিন সন্ধ্যাবেলা ওখানে গিয়ে ব্যাপারটা তলিয়ে দেখবে, পান্না বলে লোকাল থানার সাথেও ওদের ষড় থাকতে পারে, লালবাজারের ফোন নাম্বারে দরকার পড়লে ফোন করবো । কথা অনুযায়ী ওরা বাড়িটার পাঁচিল টপকে ভিতরে প্রবেশ করে, পিছনের দিকে একটু এগিয়ে দেখে একটা ছোট দরজা, বন টপকে এখান দিয়ে বড় রাস্তায় যাওয়া যায় । প্রীতি বলে এখান দিয়েই নিশ্চয়ই ওরা আসা যাওয়া করে, পাশের জানলা দিয়ে উঁকি দিয়ে মনে হল কাউকে বাঁধা আছে ,চাপা গলায় অঙ্কুষ বলে আর দেরি না করে বাড়ি চল। কথামত ওরা পাঁচিল টপকে খানিক এগিয়ে দেখে বাড়ির কেয়ারটেকার আসছে, ওরা গাছের আড়াল নেয়।
লালবাজারে ফোনটা প্রীতি করে, ঘন্টাখানেকের মধ্যেই পুলিশ এসে বাড়িটা ঘিরে ফেলে, বাড়ি তল্লাশি করে কিছু আর্মস উদ্ধার করে একইসাথে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকেও মুক্ত করে, ধরা পড়ে দুষ্কৃতিরা । পুলিশ অফিসার ওদের বলেন তোমাদের মত সাহসী দরকার দেশের,তবেই ছিঁড়বে দুষ্কৃতিরদের জাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Powered by WordPress