Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।

ষোড়শোপচারে ডিনার সেরে আমরা সোয়া দশটা নাগাত ফুলবেড়িয়া গ্রামে হাজির হলাম। পূর্ণিমা রাত, তা ছাড়া এখানে ওখানে মশাল জ্বলছে, তাই দেখার কোনও অসুবিধা নেই। গ্রামের একপাশে একটা মাঠ, সেখানেই লোকের ভিড়। এরা সাঁওতাল নয়–বেশির ভাগই শহরের লোক, নাচ দেখতে এসেছে। তাদের মধ্যে মেয়ে-পুরুষ দুইই রয়েছে।

ভিড়ের মধ্যে থেকে দেখি ইন্সপেক্টর চৌবে বেরিয়ে এলেন।

শুধু আমি নয়, বললেন চীবে, আপনাদের অনেক পরিচিত ব্যক্তিই এখানে উপস্থিত।

কী রকম? জিজ্ঞেস করল ফেলুদা।

কিশোরীলাল আর চাঁদু মল্লিককেও দেখলাম। সেই বীরভূম বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিও রয়েছেন।

সে তো ভাল কথা। নাচটা আরম্ভ হবে কখন?

সব লাইন করে দাঁড়িয়ে পড়েছে তো। যে কোনও মুহূর্তেই শুরু হবে।

পিটারকে দেখে ফেলুদা এগিয়ে গিয়ে বলল, কাছাকাছির মধ্যে থেকে, না হলে ফেরার সময় খুঁজে বার করা মুশকিল হবে।

টম ম্যাক্সওয়েল ক্যামেরা বার করে তাতে ফ্ল্যাশ লাগাচ্ছে। নস্করকে দেখুলাম তিনিও একটা ছোটখাটো ফ্ল্যাশ ক্যামেরা নিয়ে রেডি। তিনি টমের দিকে এগিয়ে গিয়ে ফোটোগ্রাফি সম্বন্ধে আলোচনা শুরু করলেন। আমি কাছেই ছিলাম, তাই কথাগুলো শুনতে পাচ্ছিলাম। নস্কর জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কি স্টুডিয়ো আছে?

না, বলল। টম ম্যাক্সওয়েল। আমি স্টুড়িয়ে ফেটাগ্রাফার নই। আমি দেশ-বিদেশে ঘুরে ঘুরে ছবি তুলি। ফ্রি ল্যান্স। আমার ছবি বহু পত্র-পত্রিকায় বেরিয়েছে। ভারতবর্ষে যা ছবি তুলিব তা ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিন নেবে বলেছে। তারাই আমার খরচ বহন করছে।

মাদলে চাঁটি পড়ল। টমের সঙ্গে আমরাও নাচের দলের দিকে এগিয়ে গেলাম।

নাচ শুরু হয়ে গেছে। জনা তিরিশেক সাজগোজ করা মেয়ে পরস্পরের হাত ধরে দুলতে শুরু করেছে। তিনটে মাদলের সঙ্গে তিনজন বংশীবাদক রয়েছে। মাদল যারা বাজাচ্ছে তাদের পায়ে ঘুঙুর।

লালমোহনবাবু আমার পাশে এসে ঘেঁষে দাঁড়িয়ে বললেন, এখন আবার বাঁ। চোখটা নাচছে। কপালে কী আছে কে জানে।

হিপূনোটাইজড হয়ে শরীর খারাপ হয়নি তো?

নাঃ। অদ্ভুত অভিজ্ঞতা, জানো ভাই তপেশ। কী যে করেছি। আর কী যে বলেছি তার কিছু মনে নেই।

এবার মশালের আলোয় হঠাৎ চাঁদু মল্লিককে দেখতে পেলাম বিড়ি কুঁকছে। এক পা এক পা করে সে নাচের দলের দিকে এগোচ্ছে।

না, নাচের দিকে নয়, টমের দিকে।

আমি লালমোহনবাবুকে ফিসফিসিয়ে বললাম, ওকে চোখে চোখে রাখা দরকার।

যা বলেছি।

টম কিন্তু এক জায়গায় দাঁড়িয়ে নেই। সে এবার পিছন দিকে চলে গেল, বোধহয় নতুন দৃষ্টিকোণ খোঁজবার জন্য। সব ফেটাগ্রাফারই কি এই রকম ছটফটে হয়?

চাঁদু মল্লিক একটা জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে, তার দু হাত সরু প্যান্টের পকেটে গোঁজা।

ক্রমে আমাদের দলের লোকেরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ল। লালমোহনবাবু অবশ্য আমার পাশ ছাড়েননি। আমি বাকি সকলের উপর দৃষ্টি রাখতে চেষ্টা করছিলাম, কারণ ফেরার সময় সকলকে এক জায়গায় জড়ো হতে হবে। ওই যে ফেলুদা, চৌবেকে একটু আগে ওর। পাশে দেখেছিলাম, এখন আর নেই। ওই যে নস্কার-ওঁর ফ্ল্যাশ জ্বলে উঠিল। অলস ছন্দে নাচ হয়ে চলেছে।

ওই কিশোরীলাল। সে পিটারের দিকে এগোচ্ছে। ওদের মধ্যে কিছু কথা হয় কি না। জানিবার জন্য আমি জটায়ুকে ছেড়ে ওদের দিকে এগিয়ে গেলাম।

কিশোরীলাল পিটারকে সামনে পেয়ে বলল, গুড ইভনিং।

পিটার বলল, কালকে আমাদের অ্যাপিয়েন্টমেন্টটা ঠিক আছে তো?

ইয়েস স্যার।

আশা করি তোমার বাবা মত বদলাবেন না।

নো স্যার। হি হ্যাঁজ মেড আপ হিজ মাইন্ড।

ভেরি গুড।

কিশোরীলাল চলে গেল।

এবার জগন্নাথবাবুকে দেখলাম তাঁর জায়গা নিতে। পিটার হ্যালো বলে বলল, আমাকে এই নাচের ব্যাপারটা একটু বুঝিয়ে দেবে?

সার্টেন্‌লি।

জগন্নাথবাবু পিটারের পাশে ঘন হয়ে দাঁড়িয়ে কানের কাছে মুখ এনে নাচের ব্যাপারটা. বোঝাতে আরম্ভ করল। আমি আর শুনতে না পেয়ে লালমোহনবাবুর দিকে এগিয়ে গেলাম।

এবার ফেলুদাকে দেখলাম একটা মশালের আলোয়। সে একটা চারমিনার ধরাল।

প্ৰথম নাচ শেষ হয়ে দ্বিতীয় নাচ শুরু হল। এর তাল একেবারে অন্য, আগেরটার চেয়ে অনেক দ্রুত। মেয়েরা একবার নিচু হচ্ছে পরস্পরের হাত ধরে, তার পরেই সোজা হয়ে উঠছে, তালে তালে, মাদল আর বাঁশির সঙ্গে। সেই সঙ্গে একটানা সুরে গান। ভেরি এক্সাইটিং মন্তব্য করলেন জটায়ু।

আমাদের সামনে দিয়ে মিঃ নস্কর ক্যামেরা নিয়ে বেরিয়ে গেলেন আমাদের দিকে একটা প্রশ্ন ছড়ে দিয়ে— কেমন লাগছে?

কী ব্যাপার? এমন জোর নাচ চলেছে আর আপনার কপালে খাঁজ?

প্রশ্নটা জটায়ু করলেন আমাদের দিকে এগিয়ে আসা ফেলুদাকে।

ভ্রূকুটির কারণ আছে। পরিবেশটা ভাল নয়, ভাল নয়। —ম্যাক্সওয়েলকে দেখেছিস, তোপ্‌সে?

কিছুক্ষণ আগেও দেখেছি, কিন্তু এখন আর দেখছি না।

ছাকরা গেল কোথায়? বলে আমাদের ছেড়ে ফেলুদা বা দিকে এগিয়ে গেল।

লালমোহনবাবু বললেন, তোমার দাদাকে হেলপ করবে? চলো আমরাও গিয়ে দেখি ম্যাক্সওয়েল গেল কোথায়।

চলুন।

লালমোহনবাবুর হাত ধরে এগিয়ে গেলাম নাচের দলের পিছন দিকটায়। চাঁদু মল্লিক। কিশোরীলাল। এক ঝলক এক ঝলক দেখছি। একেকটা চেনা মুখ। কিন্তু টম কই?

ওই যে পিটার। সেও এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ভ্রূকুটি করে এদিক ওদিক দেখছে।

হ্যাভ ইউ সিন টম?

আমরাও ওকেই খুঁজছি।

আই ভেন্ট লাইক দিস অ্যাট অল।

পিটার টমকে খুঁজতে ডাইনে চলে গেল। আমরা বাঁয়ে এগিয়ে গেলাম। নাচ এখন আরও দ্রুত, মাদল বেজে চলেছে। নীচের দল গাইছে, দুলছে আর ঘুরছে।

হঠাৎ ভিড়ের মধ্যে থেকে ফেলুদা বেরিয়ে এল।

চৌবেকে দেখেছিস?

সে গম্ভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

উত্তরের অপেক্ষা না করেই সে এগিয়ে গেল। দুবার তাকে গলা তুলতে শুনলাম।

ইন্সপেক্টর চৌবে! ইন্সপেক্টর চৌবে।

এক মিনিটের মধ্যে ফেলুদাকে আবার দেখলাম, সঙ্গে চোবে। তারা দ্রুত এগিয়ে গেল ডান দিকে।

কী ব্যাপার? লালমোহনবাবু প্রশ্ন করলেন।

সংক্ষেপে ম্যাক্সওয়েল বলে ফেলুদা আর চৌবে এগিয়ে গেল।

এবার আমরা ফেলুদা আর চীবেকে অনুসরণ করে দৌড় শুরু করলাম।

একটা গাছের ধরে গিয়ে ফেলুদা থামল। হাত দশেক দূরে একটা মশাল জ্বলছে। তাঁর আলোয় দেখলাম ম্যাক্সওয়েল মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে আছে। তার পাশে ঘাসের উপর লুটাচ্ছে তার ব্যাগ আর ফ্ল্যাশাসমেত ক্যামেরা।

ইজ হি ডেড? চৌবের প্রশ্ন।

না। অজ্ঞান। পালস আছে।

চৌবের কাছে দেখলাম একটা ছোট্ট টর্চ রয়েছে। সেটা জ্বলিয়ে টমের মুখের উপর ফেলতে টমের চোখের পাতাটা যেন নড়ে উঠল। ফেলুদা এবারটমের কাঁধ ধরে ঝাঁকুনি দিল।

ম্যাক্সওয়েল। টম!

ঠিক সেই মুহূর্তে অন্ধকার থেকে মশালের আলোয় ছুটে বেরিয়ে এল পিটার।

হোয়াটস দ্য ম্যাটার উইথ হিমা? ইজ হি ডেড?

না। অজ্ঞান, বললেন চৌবে। তবে জ্ঞান ফিরছে।

ইতিমধ্যে টম চোখ খুলেছে। তার মুখ যন্ত্রণায় বিকৃত।

কোথায় লেগেছে তোমার? ফেলুদা জিজ্ঞেস করল।

টম কোনওরকমে হাত দিয়ে মাথার পিছনটা দেখিয়ে দিল।

এবার পিটার মাটি থেকে ব্যাগটা কুড়িয়ে নিয়ে সেটা খুলে ভিতরে হাত ঢোকাতে তার মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে গেল।

দ্য রুবি ইজ গান, ভারী গলায় বলল পিটার।

টমকে গাড়িতে তুলে নিয়ে আমরা আবার নস্করের বাড়িতে ফিরে এলাম। রুবি উধাও শুনে নস্করের অবস্থা দেখবার মতো হয়েছিল। সে শ্লেষ মেশানো গলায় বলল, তোমরা যা চেয়েছিলে তাই হল। ভারতবর্ষের রুবি ভারতবর্ষেই ফিরে এল, তবে তোমাদের পৃথিবী ভ্ৰমণ আমার হল না।

পূৰ্বপল্লীর ডাক্তার সিংহ টমকে পরীক্ষা করে বললেন, মাথার পিছনের একটা অংশ ফুলেছে। কোনও ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করার ফলে টম সংজ্ঞা হারায়।

এই আঘাত থেকে মৃত্যু হতে পারত কি? পিটার জিজ্ঞেস করল।

আরেকটু জোরে হলে হতে পারত বইকী? বললেন ডাঃ সিংহ। আপাতত ওখানটায় বরফ ঘষে দেওয়া ছাড়া আর কোনও চিকিৎসা নেই। ব্যথা বেশি হলে একটা পেন। কিলার খেয়ে নিলে কাজ দেবে।

ডাঃ সিংহ চলে যাবার পর চৌবে মুখ খুললেন।

মিঃ ম্যাক্সওয়েল, আপনাকে যে আঘাত করেছে তাকে তো আপনি দেখতে পাননি বলে বললেন।

না। সে লোক আমার পিছন দিক দিয়ে আসে।

যতদূর বুঝতে পারছি, বললেন চৌবে, মাথার পিছনে বাড়ি মারার কারণ ওই পাথর চুরি করা। টম ম্যাক্সওয়েলের ব্যাগে এরকম একটা পাথর ছিল সেটা অনেকেই জানত না, যদিও রবার্টসনস রুবির কথা অনেকেই এর মধ্যে জেনে গেছে। যাঁরা টমের ব্যাগে পাথর আছে জানতেন তাঁরা হলেন আমি, মিস্টার মিত্তির, তাঁর ভাই, তাঁর বন্ধু লালমোহনবাবু, জগন্নাথ চাটুজ্যে, কিশোরীলাল এবং মিঃ নস্কর।

মিঃ নস্কর হা হাঁ করে উঠলেন। –পাথরটা তো আমার হাতে চলেই আসত; সেখানে আমি এ রাস্তা নেব কেন-যেখানে আমার বাড়ি খেয়ে টম খুনিও হয়ে যেতে পারত?

ও সব বলে লাভ নেই, মিঃ নস্কর। আপনি প্রাইম সাসপেক্ট। হিপূনোিটাইজড অবস্থায় মিঃ গাঙ্গুলী যা বলেছেন সেগুলো যে ফলবেই এমন কোনও গ্যারাস্টি নেই। এ রুবি যেমন তেমন রুবি নয়, আর আপনিও যেমন তেমন কালেক্টর নন। সে রুবি বৃহীত হয়ে যেতে পারে জেনে আপনি সেটা বিনা পয়সায় হাত করার চেষ্টা করবেন না? কী বলছেন। আপনি?

ননসেন্স! ননসেন্স! বলে নস্কর চুপ করে গেলেন।

চৌবে বলে চললেন, এ ছাড়া আছে কিশোরীলাল। তার বাপ পয়সা দিয়ে জিনিসটা কিনতে চেয়েছিলেন। তাতে ছেলের কোনও লাভ হত না। অথচ ছেলে রুবির মূল্য জানে, সেটা কোথায় থাকে তা জানে। এই অবস্থায় সেটাকে হাতাবার চেষ্টা করাটা কি খুব অস্বাভাবিক?..টমের উপর আক্রোশ ছিল এমন এক ব্যক্তি ওখানে উপস্থিত ছিলেন। সে হল চাঁদু মল্লিক। মাথায় বাড়ি মারাটা চাঁদুর পক্ষে অত্যন্ত স্বাভাবিক, কারণ সে বদলা নেবে। বলে শাসিয়েই রেখেছিল। প্রশ্ন হচ্ছে, সে কি রুবিয়া ব্যাপারটা জানত? মনে তো হয় না। এখানে টমকে মাথায় আঘাত মেরে অজ্ঞান করে স্রেফ টাকাকড়ির লোভে ব্যাগে হাত ঢুকিয়ে যদি ঘটনাচক্রে রুবির কৌটোটা পেয়ে যায়—এই সম্ভাবনাকে আমরা উড়িয়ে দিতে পারি না, পারি কি?… আরেকজন সাসপেক্ট হচ্ছে জগন্নাথ চাটুজ্যে। ইনি রুবি সম্বন্ধে জানতেন, কোথায় সেটা থাকে তাও জানতেন। ওঁর এ হেন আচরণের কারণ একমাত্র লোভ।

ফেলুদা বলল, একজন সাসপেক্টকে আপনি বাদ দিয়ে যাচ্ছেন, মিঃ চৌবে।

কে?

পিটার রবার্টসন।

হোয়াট! বলে লাফিয়ে উঠল। পিটার।

ইয়েস মিঃ রবার্টসন! বলল ফেলুদা। তুমি চেয়েছিলে রুবিটকে কলকাতার মিউজিয়ামের হাতে তুলে দিতে। তোমার বন্ধু তাতে বাদ সাধছিল। পাছে বিদেশে এসে বন্ধু-বিচ্ছেদ হয় তাই তুমি পাথরটা বিক্রি করতে রাজি হয়েছিলে। কিন্তু শেষে তোমার মত পালটানো আশ্চর্য নয়। এমনিতেও টমের সঙ্গে তোমার আর সীহাদ্যের সম্পর্ক ছিল না। আমি যদি বলি যে তুমি তোমার মূল সিদ্ধান্তে ফিরে গিয়েছিলে, এবং তাই পাথরটা নিজের কাছে নিয়ে আস।

কথাগুলো শুনে রবার্টসন কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল। তারপর সটান উঠে দাঁড়িয়ে হাত দুটো মাথায় তুলে বলল, আমি নিয়েছি কি না জানার খুব সহজ। রাস্ত আছে। সার্চ মি, ইন্সপেক্টর চৌবে। রুবি নিয়ে থাকলে এর মধ্যে সেটা সরাবার কোনও সুযোগ আমি পাইনি। কাম অন, ইন্সপেক্টর-সার্চ মি।

ভেরি ওয়েল, বলে ইন্সপেক্টর চৌবে উঠে গিয়ে পিটারকে সার্চ করলেন। কিছুই পাওয়া গেল না।

এবার ফেলুদা বলল, ওঁকে যখন সার্চ করা হল তখন আমরা তিনজন বাদ যাই কেন? আসুন মিঃ চৌবে।

চৌবে ইতস্তত ভাব করছেন দেখে ফেলুদা আবার বলল, আসুন আসুন, মনের মধ্যে সন্দেহ রাখা ভাল না।

চৌবে আমাদের তিন জনকেই সার্চ করলেন। তারপর বললেন, মিঃ রবার্টসন, এ ব্যাপারে। আমি তদন্ত করি এটা আপনি চান কি?

নিশ্চয়ই, জোরের সঙ্গে বলল রবার্টসন। আই ওয়ন্ট দ্যাট রুবি ব্যাক অ্যাট এনি কস্ট।

Pages: 1 2 3 4 5 6 7 8 9

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Powered by WordPress