রাত্রি হাতে সঁপে দেয় দিবা যবে সন্ধ্যা,
পরায়ে তাহার অঙ্গে গাঢ় লাল আলো,
—নিশা যারে ক্রোড়ে ধরে দিয়া বাহু কালো—
সেই লগ্নে ফোটাে তুমি, রে রজনীগন্ধা!
রাত্রির পরশে যবে পৃথ্বী হ’য়ে বন্ধ্যা,
না পারে ফুটাতে ফুল রূপে জম্কালো,
তুমি সেই অবসরে বুক খুলে ঢালো,
গোপনে সঞ্চিত গন্ধ, লো রজনীগন্ধা!
দিবসের প্রলোভনে তুমি নহ বশ্যা।
হৃদয় তোমার তাই অসূৰ্য্যম্পশ্যা॥
আমার আসিবে যবে জীবনের সন্ধ্যা,
দিবসের আলো যবে ক্রমে হবে ঘোর,
কানেতে পশিবে নাকো পৃথিবীর সোর,—
মোর পাশে ফুটো তুমি, হে রজনীগন্ধা!