এই যে রঙ নিয়ে তোমাদের এত মাতামাতি ,
রঙ মাখামাখি চোখে-ঠোঁটে-গালে;
কোথায় পেলে এত রঙ,এই রঙীন বসন্তে ?
পলাশ যদি মাথা তুলে না দাঁড়াতো,
শাপলা যদি মুখ থুবরে পড়তো দীঘির বুকে ,
মহুয়ার মাতাল করা গন্ধে যদি প্রেয়সীকে খুঁজে না পেতে ,
তাহলে বসন্ত কি আদৌ রঙীন হতো ?
হতো পাংশুটে বর্ণহীন ।
রামধনু খুঁজেছো কখনো জীবনে?
সাতটি রঙের রঙ তুলিতে বর্ণময়
প্রতিনিয়ত নিত্য রঙবাহারে।
এই যে তুমি যখন অভিমানিণী,
মুখে তোমার ভেসে ওঠে রক্তবর্ণ ।
আবার সোহাগিনি বেশে যখন
আমার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ো ,
তখন তুমি আলুথালু গোলাপী বর্ণ।
আবার তুমি যখন আমায় কষ্ট দাও
অবহেলা করো ভীষণ!
সেগুলো জমাট বেঁধে হয় কালো ।
বুকের বাম পাশটা বড্ড ব্যথা করে তখন !
দম বন্ধ হয়ে আসে,খুব কষ্ট হয় ।মনে হয় তোমায় জড়িয়ে ধরি আষ্টেপৃষ্ঠে !
হাউ-হাউ করে কাঁদি তীব্র আর্তনাদে ।
ঝড়ে পড়ুক বর্ণহীন বেরঙীন অবসাদ ;
যে সাদায় মিশে আছে ফেনিল অভিমান ।
তোমার সকল রঙের ডালি উপচে দিয়ে ,
রঙ মাখি গায় দুজন দুজনায় ।