এক নারী দিবসে নারীদেরকে নিয়ে
কবিতা লিখেছিলাম,
লিখেছিলাম নারীর অনেকে আর্তনাদ
আর যন্ত্রণা!
‘যন্ত্রনা’ তুমি যে কি জিনিস তা তুমি
নিজেই জানো না।
তোমার বিচরণ তো জায়গাতেই,,,
স্পর্শে আছো ,অস্পর্শে আছো ,
বাঁচতে আছো,মৃত্যুতে আছো ।
তোমার কোনো ধর্ম নেই ,
নেই কোনো বিচ্ছিন্নতা।
নেই কোনো বিশেষ রাজনীতির ছাপ।
আসলে তোমার কোনো বাছ বিচারই নেই ,
বেশ একটা সুপার ম্যান ,সুপার ম্যান ভাব।
যখন কলম প্রতিবাদী -তুমি আছো
যখন কলম সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে – তুমি আছো
মন্বন্তর, জালিয়ানওয়ালাবাগ,
পরাধীনতা স্বাধীনতা ,দেশ ভাগ,
হাটে বাজারে, ট্রেনের জার্নিতে ,
বাতাসে কার্বনের ধোঁয়াতে ,
রাস্তার ফুটপাতে, মিছিলে স্লোগানে,
রেলস্টেশনের গেটে ভিখিরিতে।
আছো তুমি বাড়তে থাকা মূল্যবৃদ্ধিতে,
দেশের আইনে , বেআইনে ,
শিক্ষানীতিতে , ধর্ষণে বা বর্ষণে।
প্রেম, ভালোবাসায় মাখা প্রেমের চোখে,
প্রেমিকার ঠোঁটে ,আর বাজারের ব্যাগে ,
খারাপ থাকা,ভালো থাকা,
সকল স্থানে ঠিক ডেনড্রাইটের
আঠার মতন চিপকে তুমি আছো ‘যন্ত্রণা’!
সময়কে নিয়ে যখন কবিতা লিখেছি
সময়ের গায়ে লিখেছি অনেক যন্ত্রণা ।
পূর্ণিমার নির্ঘুম আকাশ থেকে যখন
জ্যোস্তনার পুঁজ ঝরতে থাকে
তখন তুমি ভীষণ সুন্দর চিনচিনে
ব্যাথা হয়ে আমার বুকে থাকো!
পাশে থাকা আর সাথে থাকা এক না হলেও
যন্ত্রনা তোমার থাকার এই অনুভবটা
চিরকালীন আমার অনুভবে রয়ে যাবে।