আমরা এমন একটা সমাজে বাস করি
যেখানে নারীর রূপ আর পুরুষের অর্থ
এই দেখেই মূল্যায়ণ করা হয়।
তবে এই নিয়ম কোনো নারী তৈরি করেনি,
করেছে পুরুষ নিজে।
তাদের নিজেদের ক্ষমতা কায়েম করার জন্যই এই নিয়ম।
আর নারী তাদের এত গুন,এত যোগ্যতা
থাকা সত্ত্বেও বোকার মতো পুরুষের কাছে
নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে রূপের যত্ন নিতে ব্যস্ত।
যে নারীর রূপ নেই সে সমাজের চোখে অবহেলিত।
তারও যে একটা সুন্দর মন আছে, সেটা কেউ দেখে না।
তাই নারী মিথ্যা প্রসাধনের পিছনে দৌড়ায়।
একজন নারী কখনোই একজন পুরুষের সমকক্ষ হতে পারে না,কারণ তারা পুরুষদের থেকে অনেক উর্দ্ধে।
কিন্তু আমাদের সমাজ তাদের নিজেদের স্বার্থে
নারীকে পদদলিত করে রেখেছে।
তবে আজ এই নিয়মের বদল দরকার।
একজন পুরুষ ও একজন নারীর সম্পর্ক তৈরি হয়
হৃদয় দিয়ে।
রূপ বা অর্থ দিয়ে নয়।
তবে হ্যাঁ,অর্থের প্রয়োজন আছে,
তবে সেটা কখনোই একজন পুরুষের মূল্যায়ণ হতে পারে না।
সুদূর প্রাচীন কাল থেকে সমাজের নিয়ম হয়ে আসছে
যে, সংসারের মধ্যে যাবতীয় কাজ নারীর,
আর পুরুষের কাজ অর্থ উপার্জন করা।
তবে বর্তমান যুগের নারী সংসার দেখার সাথে সাথে
অর্থ উপার্জনও করে।
কিন্তু পুরুষ শুধুই অর্থ উপার্জন করতে পারে,
দ্বিতীয় ক্ষেত্রে তারা একেবারে উদাসীন।
তাই এই নিয়মের পরিবর্তন দরকার
তাহলে হয়তো নারী পুরুষের মূল্যায়ণটাও
সঠিক হবে।