একটু নিভৃত নিরালা সময় যখনি হাতের মুঠোয় আসে।
আয়নাটা মেলে ধরে দেখতে থাকি ঠাঁয় অপলক ব্যাকুল তিয়াশে।
মনের আয়নাটা ঠিক আতসকাচের মতন স্বচ্ছ ফকফকে্
সিনেমার ফ্ল্যাশব্যাকের মতন যাপিত জীবনের ছবিরা মূর্ত ,একেবারে ঝকঝকে।
না বলা কতো কতো কথাকলির অনুক্ত আভাস ছবিদের ঠোঁটে।
ইচ্ছের পাপড়ি গুলো আর পেলোনা সময় ওঠতে ফুটে!
স্বপ্নসাধের ইমারত এমনি করেই বুঝি সময়ের চাপে লয়।
যাকগে’ ,মানুষের মন কি আর মেপে চলে সবসময়।
সে তবুও একটু একটু করে স্বপ্ন বুনে স্তরে স্তরে সাজায়।
নিপাট ভাঁজে রাখে,কল্পনার রাজপ্রাসাদের চিলেকোঠায়।
মুগ্ধ চোখে স্বপ্নগুলোর গায়ে আলতো সোহাগ আঁকে।
মন কি আর জানতো যে স্বপ্নগুলো পরিযায়ী পাখি হবে কোন ফাঁকে!
একপলকে তাসের ঘরের মতো সবকিছু এলোমেলো।
ঠিক যেমন বালিয়ারীতে তৈরী ঘর উতল ঢেউয়ে আলুঝালু
অহর্নিশ একটা জেদের বিরোধাভ্যাস খেলা করে মনেযতো
তাইতো,জেনেও না জানার মতো,বুঝেও অবুঝের মতো।
একেই বলে গোয়ার্তুমি বা একবগগা একরোখামি ।
তা,কি করবো,মনের তো হাত-পা নেই যে বাঁধবো আমি।
চারপাশে যখন শব্দের কোলাজ শান্ত,নিঝুম নীরবতা,
ঠিক তেমন মোক্ষম সময়কেই বেছে নেয় চুপকথা।
ফিসফিস করে হামাগুড়ি দেয় আমার বুকের চাতালে
ওদের দৌরাত্ম্যে বাধ্য হয়েই মনের আয়নাটা নেই তুলে।
ঝাঁকে ঝাঁকে হামলে পড়ে এসে দাঁড়ায় ছবির পরে ছবিরা
মন্ত্রমুগ্ধের মতোই হা- পিত্যেশে উন্মনা আমি দিশেহারা।
একচুল নড়বার ক্ষমতাও থাকেনা তৃষিত অবুঝপনায়।
আদেখলেপনা পেরেক গাঁথার মতো সেঁটে থাকে আমায়।
বুকের তলে যে একটা সমুদ্দুর ছিল ,তাতো জানতাম না!উপচে পড়ে অশ্রু সাগর স্মৃতির দহনে মন বিমনা।
কখনো সুখে ভাসে তো কখনো তীব্র দুখে আছড়ে পড়ে।
নির্ঘুম রাত নিশাচরী রাতপ্যাচাদের সাথী হয়ে ওড়ে।
শেষপ্রহরে, মন্দিরের ঘন্টাধ্বনি ,নামাজের কোলাজ,
প্রভাতপাখির বন্দনা গীতির শ্রুতিমধুর আওয়াজ।
একঝটকায় বিবশ শিথিল মনটাকে ফের সরগমে বাঁধে।
শুধু আমিই বুঝতে পারি ,একাকীত্বের পীড়নে মন কাঁদে।