কুড়ি লাখ কোটি সংখ্যাটা কতো বড়ো!
শুনতে বলতে লেগেছিলো বড়ো ভালো,
ল্যাজা মুড়োহীন,সারহীন এক অদ্ভূত ঘোষণাতে –
সবার আশা তো দেখছি এখন নেতানো মুড়ির মতো!
বাঁশ দেয় ভালো আবেগ – মথিত বক্তৃতা ঝাড়ে ভালো,
বিশলাখ কোটি দুই ছাড়া আর কতটা শূন্য বলো-
নির্মলা- আশ্বাসে সব দেখি ঢোক গিলে ঘোল খেলো,
আশায় আশায় মধ্যবিত্ত আঙুল চুষেই মোলো।
তাবড় ধনীরা দাঁড়িয়ে পড়েছ ভরতুকি লাইনেতে,
চাল,ডাল, কলা আলু ও পিঁয়াজ গরীবের রেশনেতে,
হাঁ করে তাকায় মধ্যবিত্ত শুধু হাহাকার মানি,
আশা – নিরাশার মাঝে দোল খায় মাঝারির মনখানি।
মড়ার উপরে খাঁড়ার ঘা টাও নির্দয় ভাবে এলো –
পুরো বেতনের নির্দেশ দিয়ে তড়িঘড়ি তুলে নিলো,
আকালে ছাঁটাই করা শুরু করে যে পারে যে যার মতো,
লকডাউনের খেল আরও বাকি সবে দেখা শুরু হলো।
মধ্যবিত্ত মরে সবদিক দিয়ে-
মন খুলে কিছু চাইতে পারেনা মান চলে যাবে বলে,
ভুখাপেটে থাকে আধবেলা পোড়া রুটি,
সন্ধ্যার জলপানে শুধু চা আর দুটি মুড়ি!
আদর্শ, নীতিবোধের জ্বরেতে মধ্যবিত্ত মরে-
কতো কিছুকেই পাপ তাপ মানে তাই সরে থাকে দূরে।
সাবসিডি ঘি আজ অবধি দেখি তার পাতে পড়েনাকো,
ভোট দেওয়া আর আঙুলটা চোষা বড়ো পাওনাই বলো!
ভাইরাস মরে যাবে কিনা সে জানিনা-
আয়লা উমপুন রিমা ঝড় গুলো হয়তো বা থেমে যাবে,
ক্ষত নিয়ে বাঁচে ইতস্তত মধ্যবিত্ত যতো,
নিয়মনীতি ও দায়িত্ব বোধে ঘরে একা বসে কাঁদে।
সবে বঞ্চনা, তবু্ও হারে না মধ্যবিত্ত জানি-
সুবিচার আশে জীবন যুদ্ধে লড়াই করে সে বাঁচে,
বিপদ কতো কি এসেছে যাতনা পেয়েছে নতুন ধাঁচে,
ঝড়ে,ভাইরাসে আর প্রতিবাদে লড়ে দাঁতে দাঁত চেপে।
মধ্যবিত্ত বড়ো আশা করে নতুন প্রভাত দিনে –
মধ্যবিত্ত ফের ছুটে যাবে লড়াইয়ের ময়দানে,
থমকে থাকবে পৃথিবীটা আর কতোদিন কতো কাল,
মধ্যবিত্ত ছিনিয়ে আনবে নতুন সোনা সকাল।।
শিশুকালে শিখেছিনু এক প্রবচন,
শেষে বলি সেইকথা শুন দিয়া মন।
“উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে,
তিনিই মধ্যম যিনি চলেন তফাতে”।
মধ্যবিত্তের ভাব কথা সমাপন হলো
সত্য-মিথ্যা মধ্যম কথা ভেবে চিনতে বলো।।