ভারতের রাজনীতি মেরুদণ্ডহীন
ক্ষুদ্রতার বাক্য কেবল অতিশয় হীন!
নাই কোন সততা তাই শঠতায় স্ফীত
অর্থাগমে নেতানেতৃ কেবল রহেন প্রীত!
জনতার দরবারে পূর্ণ যাত্রাপালা
বাক্যবানে বুঝা যায় শিষ্টাচার ফালাফালা!
চৌর্যবৃত্তি, পড়িলে ধরা, হাজত এড়াইতে
একদল ত্যাজিয়ে অন্য দলে গড়ো ভিত এ!
দূর্নীতির শিখর চুমি, আরো উচ্চতায়
নেতা-নেত্রী ক্ষান্ত নহেন, আরো প্রত্যাশায়
জনগনে ভিক্ষা মাগে ভোটেরই সে লাগি
কোটি টাকা আত্মসাৎে দেশত্যাগে ভাগি!
তাই জননেতা যবে আসেন জিজ্ঞাসায়
” কি করিলে পাইবো ভোট, বিনা প্রত্যাশায়?
লহেন পাঁচশত টঙ্কা, আপন ভাতা সম
ভোটবাক্সে ব্যালট কাগজ রাখুন এ ছাপ মম! “
কহিলাম তারে ভদ্রে – ” আমি বৃদ্ধ আজ
চলিতে পারিনা ভ্রাতা, পরি ক্লেশ তাজ! “
সুভদ্র জিজ্ঞাসিলে – ” কহেন গো তাতঃ!
কি করিলে সমাধান আপনার মত? “
উত্তরিলাম তারে – হেন কথা কহি
“গর্দভ চাহি গো মোর, মোট লভে বহি!
ক্রয় করিয়া দিয়ো এক গর্দভ নূতন
তাহা হইলে ঘুরি ফিরি আপনার মতন! “
কিছু ভাবি ভোটভিক্ষু কহিলা আমারে
“কিয়দকাল সময় চাহি এই অবসরে! “
সপ্তাহ দুয়েক পরে সে জনপ্রতিনিধি
আসিয়া কহিলা মোরে সমস্যার ভিত ই
প্রকাশিয়া দুঃখ কহে – ” তাতঃ, বাজেট তাই
কুড়ি হাজার টঙ্কা কমে গর্দভ কোথা পাই?
মহামন্ত্রী কহিয়াছেন পাঁচশত করিয়া
সকলকেই বিলায়ে দিতে কিছু না কহিয়া!
আপনার ইচ্ছা পূরণ কেমনে তা করি
পাঁচশতয় গর্দভ ক্রয় কোথা হতে করি?
অতএব এই লহেন পাঁচশত টাকা যোগ
এর অধিক? – পারিবোনা! মোরা অপারগ! “
হাসিয়া কহিনু আমি সে ভোটভিক্ষুরে
“বুঝিনু গর্দভের মূল্য বিশ হাজার ওরে!
গর্দভের মূল্যই দেশে, বিশ হাজার রয়
পাঁচশতে কেমনে বেচি, এ মেরুদণ্ড মহাশয়?
গর্দভও কম করিয়া বিশহাজার পাকা
সেই স্থানে শিক্ষকের স্রেফ পাঁচ শত টাকা? “
ভোটভিক্ষু বাক্যহারি, কি সে বটে কয়
গালেমন্দে করে প্রস্থান বিনাবাক্যব্যয় !