বাঁশ বাগানে ঠ্যাং দুলিয়ে খেলছে ভূতের ছানা,
পেতনি মা আর ব্রহ্মদত্যি বাবা আহ্লাদে আটখানা।
খিকখিক হেসে হাততালি দিয়ে উৎসাহ দেয় তারে,
ভূত চতুর্দশীতে বিকট আওয়াজ তাইতো বাঁশের ঝাড়ে।
বেড়াতে এসে শাকচুন্নি সটান উঠে গাছে,
আনন্দেতে ডগায় গিয়ে ঝমক ঝমক নাচে।
ছিটকে পড়ে ভূতের ছানা কান্না দিলো জুড়ে,
ব্রহ্মদত্যি দৌড়ে গিয়ে থামায় গানের সুরে।
ভূতের কান্ড দেখে সবাই বেজায় ভয় পেয়ে,
বাঁশ ঝাড় পাশে কেউ আসেনা দূর থেকে রয় চেয়ে।
স্কন্ধকাটা যেইনা আসে শাকচুন্নি লাফ দিয়ে,
ঝপাং করে পড়লো ঘাড়ে চেঁচিয়ে কড়মড়িয়ে।
আবার এলি ঘ্যান ঘ্যান করতে মতলবটা কি শুনি,
নেই মাথা তোর করবি বিয়ে এমন বেআক্কেলে গুণী!
ওরে ব্যাটা মালা আমি পরাবো যে তোর গলে,
মাথা’ই তো নেই তোর, মালাবদল ছাড়া কি বিয়ে চলে!
প্রেম করেছি বেশ করেছি চলনা ইচ্ছে যত,
সোহাগ ভরে ঘুরবো দুজন মনের খুশি মত।
মামদো ভূত ছিলো বসে, বললো তা বেশ বেশ,
চলো সবাই মাংস খাবো ধরে আনি মেষ।