শহরের চৌদিকে হানা দেয় ওরা
স্বাধীনতার ভীষণ পিপাসায়,
একবিন্দু শীতল জলের স্বাদ
রক্তচোখের আগুনে মেখে,
ঝলসে যাওয়া স্বাধীনতার ছোঁয়া
রিক্ত প্রাণে লুকিয়ে রেখে,
নির্ভরতার সকল চাবি নিলাম করে,
খুনপিয়াসী শ্বাপদ নখের আঁচড় বুকে জড়িয়ে,
অসম্মানের বিধ্বস্ত বাগানে ঘাঁটি গেড়ে বসা
রক্তচক্ষুকে তুষের আগুনে ভস্মীভূত করে,
হতাশ শ্বাসের ধূলো উড়িয়ে,
ঘৃণার আগ্নেয়গিরির উপরে দাঁড়িয়ে,
বজ্র দিয়ে কবর খুঁড়ে তুলে আনা
স্বাধীনতার স্নিগ্ধ জলসত্রের ব্যাসার্ধে
জাগিয়ে তুলেছে প্রবল জীবন তৃষ্ণার
অন্তর্ঘাতী নৈঃশব্দিক অস্থিমজ্জার মিছিল,
নিদারুণ অসারতায় পৃথিবীর নাভিদেশ ছুঁয়ে
চুঁয়ে পড়েছে নেশাতুর দেশপ্রেমের রক্ত,
চৈত্রের তৃষ্ণাতুর মাটি চুষে
কত নিপীড়িত নিয়েছে স্বাধীনতার স্বাদ,
ওদের শিরায় শিরায় বয়ে চলেছে
কত স্বাধীন জলসত্রের গান,
ওরা স্বেচ্ছায় জীবন করেছে দান
এক ভীষণ পিপাসায়।