বই নেবে গো বই—–
বিশ্ব প্রেমের বই বাজারে বই প্রেমীরা কই?
বইয়ের যেদিন সুদিন ছিলো কিনতে পারতাম কই,
সারা বছর পয়সা জমিয়ে পুজো সংখ্যার বই।
টিউশনিতে দশটা টাকা সারা মাসের দাম,
সেই টাকা জমিয়ে রেখে পুজো সংখ্যা কিনতাম।
ক্লাস নাইনের পরে ভুলি খেলার মাঠের নাম,
পুজো সংখ্যা কিনতে হবে তাই পড়াতে যেতাম।
কাদের পুজো সংখ্যা বড়ো লেখক কবির নাম
হাত খরচের পয়সা জমাই কিপটের বদনাম।
টানাটানির সংসারেতে বিলাস পড়ার দাম,
বই কিনবো পয়সা কোথায় মন খারাপের গান।
উপর ক্লাসের ছেলেরা সব হাফ দামে বই দিতো,
কোথাও বা দাগ পাতা ছেঁড়া দামটা ঠিকই নিতো।
সে বই পেয়ে কি আনন্দ সকল দুঃখ ভুলি
দুঃখ ভুলে তাড়াতাড়ি বইয়ের পাতা খুলি।
এমনি করেই পড়ার পর্ব ঘুঁচে গেলো ক্রমে
সংসারের হাল ধরতে হবে বাবার অবসরের দিনে।
নাওয়া খাওয়া ভুলে তখন চাকরির বই পড়ি
তার সঙ্গে চিরকালই রবি সুকান্ত পড়ি।
জীবনানন্দ নজরুল আর বিভূতি ভূষণ ধরি
সাহিত্য টা চিরকালই ভালোবেসে পড়ি।
চাকরি যখন পেলাম তখন কলেজ স্ট্রিটে যাই
কালিদাস আর শরৎচন্দ্র কালকূটকেও পাই।
এরপরেতে ভর্তি হলাম পাড়ার লাইব্রেরিতে
দেশ বিদেশের গল্প পড়ি দারুণ সে বইতে।
নিজের বইও ছাপা হবে ভেবেছি কি তাই
কিনুক বা না কিনুক বই উপহার পাঠাই।
বিশ্ব বই প্রেম দিবসে আজকে অবাক মানি
মোবাইলে সব পড়া যায় বোতাম টিপে আনি।
যতই সে হোক বই পড়াতে পরমানন্দ জানি
নতুন বইয়ের নতুন পাতা দারুণ সুবাস চিনি।
বইয়ের জন্য একদিন নয় একটা জীবন চাই
এক জীবনেও হয়না পড়া শতেক জীবন চাই।
বই কিনে বই পড়তে পড়তে এমন অবস্থাই
নতুন বই কিনলে এখন রাখার জায়গা নাই।।