বিবশ ব্যথাদীর্ণ মনের চত্বর জুড়ে দাঁড়িয়ে আছে ছায়াবৃতা সুতনুকা।
মহেঞ্জোদারোর শৈল্পিক ভাস্কর্যে আঁকা অনুপম শ্রীময়ী মুখ।
না বলা কিযেন যন্ত্রণার অভিব্যক্তি তার সমস্ত অবয়বে পরিস্ফুট।
আমার নিদ্রাহীন চোখের পাতা দেওয়াল জুড়ে থাকা সুতনুকার
ছবিটা না দেখে আঁতকে ওঠে।
তুমুল আলোড়ন বুকের মাঝে সারাটা রাত।
সকালের আলোক রশ্মি তেরছা করে ঘরে পড়তেই মিলিয়ে গেলো ছায়াবৃতা সুতনুকা।
চিৎকার করে ডাকলাম ,যেওনা সু, কথা আছে , ভ্রুক্ষেপ ও করলোনা।
সুতনুকাকে হারিয়ে নিজেকে বন্দী করে রেখেছি দুঃসহ একাকীত্বে।
ভালোবাসার রাজপ্রাসাদে ধরে রাখতে চেয়েছিলাম মানসী প্রিয়াকে ।
বাগানের সেরা লালগোলাপটি দেবো বলে চয়ন করেছিলাম।
সুতনুকা হারিয়ে গেলেও ভালোবাসার লাল গোলাপটি এখনো আছে,
শুকনো হলেও আমার বুকের মাঝে সযত্নে।।