আবার সেই কফি কাপ এপিটাপ আর
পুরানো আঁকাবাঁকা বই পাড়া ছেড়ে
একটা হলুদ অথচ গাঢ় আলো ছড়িয়ে পড়ে
কাব্যের ভস্মীভূত পাণ্ডুলিপির শরীর থেকে,
প্রতিবেশী মহল্লার সকল হইচই ফেলে রেখে,
দিন বদলের ক্রান্তিলগ্নে সংকেত সনদপত্র লিখে, উল্লসিত ভোরের ঝরে পড়া শিউলির শীত্কারে
আটচালার ঠাকুর দালান কেমন যেনো
অগোছালো পংক্তিমালায় অবিবেচকের মত সেজে ওঠে,
সহস্র বছরের ব্যবধান হঠাৎ করে বেসুরো হয়ে
বুনো ফুলের গন্ধ খুঁজে বেরঙিন জীবনের মত
কাটাতে চায় জোড়া-তালি দিয়ে,
চারিপাশ শ্যাওলায় ঘেরা টলটলে দীঘির জলে যেমন হেসে ওঠে সোনাঝরা মিঠে রোদ্দুর,
গায়ে মেখে একরাশ বিস্ময় আর ভয়াবহ বিষণ্ণতার যতটুকু ছিল অবশেষ,
এখন সেখানেও বালখিল্য হাসিতে লুকিয়ে রয়েছে অসংখ্য ঘৃণা আর বিদ্বেষ,
জমতে থাকা অভিযোগের মামলায় আগাম সতর্কতার সঙ্কেত দেবার আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করলে,
অন্তত অর্ধশত ব্যাথাগুলো উপহাস করে
ভীষণ নিরবতা জাগিয়ে তোলে সেই
কফি কাপ সাজানো ছোট্ট শহর জুড়ে,
প্রতিক্ষণে ভাঙ্গন নামে হলুদ বইটির প্রচ্ছদ জুড়ে।