হ্যারির বিচ্ছুপনায় ভূতের পলায়ন
সারাদিন কোন রকমে কাটল । রাতে শুয়ে কানে এল ভূতের হাঁটা চলা । তালে তালে ঝম ঝম শব্দ হচ্ছে । এ যেন চেন এ বাঁধা কয়েদী হেঁটে চলেছে। ভূত বাবাজি রাগে গরগড়াতে লাগল । — কি ? আমি বলে ক্যাপ্টেন থমাস ব্ল্যাক মোর । আমাকে ভয় পায় না আমার ই বংশ ধর ! ওদের এত গাঢ় ঘুম যে আমার চলার শব্দে ওদের ঘুমের ব্যাঘাত হয় না ? দেখাচ্ছি মজা । তোমার ছেলেকে এবার ভয় দেখাবো ।
হ্যারি আর ইসাবেলা কথায় মত্ত। ইসাবেলার কানে এলো ঝম ঝম শব্দ । হ্যারি কে বলল। – ঘোস্ট চললে ঝম ঝম শব্দ কেন হয় রে ?
হ্যারি- মনে হয় আগে বুঝি জেলখানার কয়েদী ছিল। তাই জং ধরা চেন গুলোর শব্দ হচ্ছে ।
ইসাবেলা- ইস্, মরার পর ও চেন দিয়ে বাঁধা ? কি কষ্ট বলতো ?
হ্যারি- ঘোস্ট এর জন্য ও তোর কষ্ট!
ইসাবেলা- ঘোস্ট তো আমাদের আত্মীয় । হ্যারি ঘোস্ট এদিকে আসছে । শুনতে পাচ্ছিস ?
হ্যারি- এবার মজা দেখাচ্ছি ওকে । তুই চুপ করে শুয়ে থাক ।
হ্যারি মই বেয়ে লফ্ট এ উঠে গেল । চোখ বুজে ফেলল ইসাবেলা । চাদর দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলল। যাতে ভূত কে দেখতে না হয় । এগিয়ে আসছে ঝম ঝম শব্দ । দম আটকে আসছে ইসাবেলার । মনে হল ইসাবেলার মাথার কাছে ভূত দাঁড়াল ।
-হ্যালো! সুইট গ্রেট গ্র্যান্ড ডটার ! কানে যেতেই ইসাবেলা মুখের ঢাকা সরিয়ে দেখল গ্র্যান্ড ফাদার ওর দিকে চেয়ে হাসছে । ইসাবেলা বলল — গ্র্যান্ড পা ! তুমি এখানে ?
-আই অ্যাম নট ইয়র গ্র্যান্ড-পা । আমি তোমার দাদুর দাদুর দাদু । খুব লাকি আমি তাই তোমার মতো মিষ্টি নাতনী কে দেখতে পেলাম ।
ইসাবেলা- ওহো ! ব্ল্যাক মোরের ঘোস্ট ?
ঘোস্ট- ভয় নেই। তোমার কোন ক্ষতি করব না । তবে তোমার ঐ বিচ্ছু দাদা টা – ঘোস্ট এর কথা শেষ হল না । তিড়িং বিড়িং করে লাফাতে লাগল সে—ওরে বাবারে এগুলো কী ? বলতে বলতেই গা ঝাড়তে ঝাড়তে দৌড়ে পালাল সে। আর তখনই লফ্ট থেকে নেমে এল হ্যারি ।
বলল- আর আমাদের ঘরে ঢুকবে ভূত বাবা জি ?
ইসাবেলা- কী করেছিস হ্যারি?
হ্যারি- লফ্ট থেকে আরশোলা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছি ওর গায়ে ।