Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।

ব্ল্যাক মোরের ঘোস্ট এর আগমন

পরদিন রাত আটটা তখন । চারদিক নিঝুম ।বাংলোর ঘরে মাঝে মাঝেই লাইট হাউজ এর সার্চ লাইট পড়ছে । দূরের স্ট্রিট লাইটের আলো ছাড়া আর কোন আলো নেই সেখানে । ঘরের ভেতরে মোমের আলো জ্বলছে । বাইরে ঘুটঘুটে আঁধার । বাইরের পাথরের চাতালে আরাম কেদারায় চোখ বুজে বসে আছেন ডক্টর চার্লস । হঠাৎই মনে হল কে যেন বলছে- কেন এসেছ এখানে ? গো ব্যাক্ টু লন্ডন । চোখ খুললেন ডক্টর চার্লস। চারদিকে তাকালেন । দেখলেন, কেউ নেই । সব মনের ভুল। উঠে দাঁড়ালেন তিনি । পাথরে তো কোন কাঁপুনি নেই ? তবে কি হাওয়ায় দুলছে চেয়ার টা? আবার বসে পড়েন চেয়ার এ । ভাবলেন, ডক্টর নাইডু ঠিক কথাই বলেছেন । –আমার মতো পাগলা রা হাওয়া কে ভূত ভেবে বসে আছে ।

আবার আলোর ঝলকানি চোখে পড়ল । আলোর রশ্মিটা সমুদ্রে পড়ল । তখনই দেখলেন একটা জাহাজ দাঁড়িয়ে আছে । তাজ্জব হয়ে গেলেন তিনি । ডলফিন নোজ এর এত কাছে জাহাজ কি করে এলো ! এখানে তো জলের নিচে অনেক পাহাড় আছে । তাই তো সার্চ লাইট ফেলে জাহাজ এর গতি নির্ধারণ করা হয় । পরিস্কার দেখলেন জাহাজ এর গায়ে লেখা ” ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি” । তার ই নিচে লেখা ” ক্যাপ্টেন ব্ল্যাকমোর’স রেজিমেন্ট ” । জাহাজ এর নাবিক মাথার টুপি খুলে উইশ করছে তাঁকে । উঠে দাঁড়ালেন ডক্টর চার্লস। তবে কি এই নাবিক ই ব্ল্যাক মোরের ঘোস্ট? না না । ঘোস্ট বলে কিছুই নেই । ঘোস্ট থাক বা না থাক তাকে জানতেই হবে ব্ল্যাক মোরের শেষ কথা । কেন তাঁকে নেটিভ রা মেরে ফেলেছিল ? মানুষ হিসেবে তো তিনি খারাপ ছিলেন না । হিন্দুদের মন্দির করে দিয়েছিলেন।

চমকে উঠলেন ডক্টর চার্লস । কানে এল গর্জন- মার্চ ফাস্ট । আবার গর্জন–“রাইট টার্ন “। “ফরওয়ার্ড ” । কানে এল অসংখ্য পদ শব্দ –খটা খট খটাখট করে চলেছে অগুনতি সিপাহি । ডক্টর চার্লস ভাবলেন, এত দূরে কোস্টাল ব্যাটারি । কিন্তু শব্দ টা পেছনে মনে হচ্ছে । ঐ শব্দ এখানে আসার কথা নয় । এ ও কি মনের ভুল ? এবার শুরু হল গ্রনেড এর শব্দ । মনে হল ঝাঁঝরা করে দিল সবাই কে । পিছু ফিরে দেখলেন সিপাহী -রা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে । নজর গেল জাহাজ এর দিকে । তখনও জাহাজ দাঁড়ানো। দু’জন নাবিক জাহাজ থেকে গ্রেনেড চালাতে চালাতে উল্লাসে ফেটে পড়ছে । চেহারায় বোঝা গেল এরা ইউরোপিয়ান । ডক্টর চার্লস এর পিঠে হাত পড়তেই চমক ভাঙ্গল । পিছু ফিরে দেখলেন পেছনে দাঁড়িয়ে স্ত্রী এমিলি । এমিলি- ঠান্ডা লাগবে, ঘরে চলো ।

ঘরে ঢুকে ও সেই দৃশ্য ভুললেন না তিনি । সিপাহিদের নির্বিচারে মেরেছিল ইংরেজ রা । তার ই শোধ তুলেছিল সিপাহিরা । গভর্নর আর হোমরা চোমরাদের বন্দী করেই ছাড়ে নি ,এই ভাবেই গ্রেনেড চালিয়ে মেরে ফেলে ছিল । এ সবই অনেক পড়াশোনা করে জেনেছেন ডক্টর চার্লস ।

Pages: 1 2 3 4 5

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *