ব্যথার মলম
সেদিন ৭:৩৫এর দত্তপুকুর লোকালে দক্ষিণ কলকাতায় যাচ্ছিলাম। বেশ ঠাণ্ডা পড়েছে। আপাদমস্তক ঢেকে চোখ বন্ধ করে বসে আছি। বনগাঁ লাইনে ভীষণ হকারের উৎপাত। খুব কষ্ট হয় দেখে। জীবননির্বাহের একমাত্র সম্বল এই ট্রেন। ওদের চিৎকারেই মুখর থাকে এই বৈদ্যুতিন মাধ্যম। মাঝে মাঝে ওদের সঙ্গে কথা বলি, জানি ওদের দুঃখকষ্ট। অনেক হকার আবার চেনা, কেউ ছাত্র, তো কেউ পূর্বপরিচিত। মাঝে মাঝে কিনতেও হয় এটা ওটা। সেদিন ট্রেনটা মধ্যমগ্রাম ঢুকেছে। এক হকারভাই চিৎকার করে বলছে, ব্যথার মলম, মাত্র সাতদিনে পালাবে ব্যথা, উপশম না হলে পয়সা ফেরত…. আরও কত কি!
বারাসাত থেকেই ভিড় হয়, মধ্যমগ্রামে আরও। কিছু কচিকাঁচা স্কুল যাচ্ছিল। গন্তব্যে নামবে। ভিড়ের মধ্যেই ধাক্কাধাক্কি। কেউ হয়তো দিয়েছে ঠ্যালা ওনার কোমরে। বাবা রে মা রে করে চিৎকার। কয়েকজন ভিড় সরিয়ে একটু আয়েস করতে দিলেন হকারভাইকে। উৎকন্ঠায় সবাই জানতে চাইলো কি হয়েছে? মুখ বেজার করে আছেন। পরে ফিসফিসিয়ে বলে উঠলেন ব্যথা কোমরে কেউ দিয়েছে ঠ্যালা… প্রাণটা বেরিয়ে গেল বুঝি…