পরিযায়ী পাখির মতো অন্তরীক্ষের অদেখা মন
কেবলই ঘুরে বেড়ায় হেথা-হোথা সারাক্ষণ।
দেহ-মনের পুষ্টি সাধনে ব্যস্ত স্বার্থান্বেষী, জীবন বিপনী –
নির্বিঘ্নে করে চলাচল আসমুদ্র হিমাচল ।
নদীও সমানে কাঁদে অপুষ্টি গুনে
নষ্ট হতে হতে কষ্টে দীর্ণ সোনালী যৌবন।
প্রতারণায় বঞ্চিত আর্জিতের অধিকার –
প্রাত্যহিক সকালগুলো বেদনার সুর বাঁধে গীতিকবিতায়।
” জোড়জার মুল্লুক তার” বজ্যেতে ঢেকেছে মন,
উৎস থেকে দুর্গন্ধে নিক্ষিপ্ত লোলুপতার কব্জির জোর।
যা অনিত্য, দুর্লঘ্য অপরাধ, তাই সত্য আনন্দের নৃত্য –
শুধু চোখমেলে অসহয়ে দেখা দ্বান্দ্বিকতার মরণ সন্ধিক্ষণ।
জিজ্ঞাসার প্রয়োজন বোধহীন চাপানো হচ্ছে- বাধ্যবাধকতার অনুশাসন,
মৌলিক অধিকারের পাল্টাচ্ছে বিবর্তনবাদের রূপ-
কড়া দাওয়াই এখন বোধহয় – যথাযথ অব্যর্থ ওষুধ।
ঘুরছে,খুঁড়ছে , মিথ্যাই খুঁজছে দেহের উপরি-উপর,
মন তো ইতিপূর্বেই প্রলোভনের ছেতলায় আকীর্ণ,
নগ্ন ভালোবাসার স্ফুরণে তস্করতায় আদর্শ,বিচ্যুত –
কামার শালায় হাঁপর টানো, ভীমরতির “আশিতে আসিও না “।