ভুতুর হল মজা ভারি
এল যে তাদের দিন
ভূত চতুর্দশী এল কাছে
নাচবে তা ধিন ধিন ।
বেম্ভদত্যি এবার উঠল বলে
জানিস কি তোরা সক্কলে
চোদ্দপ্রদীপ কেন জ্বালায়
এই ভূত চতুর্দশীর সাঁঝকালে ?
দাদুর কথা শুনেই পেত্নী
বলল হঠাৎ চেগে
চোদ্দশাকই কেন’বা খায়
জানতে ইচ্ছে জাগে।
প্রাজ্ঞ বুড়ো বলল হেসে
জানতে হবে সবই
লেখাপড়া শিখলি না তো
তোদের কি হবে ভাবি ।
শোন তবে চুপটি করে
করবি না বেশি বকবক
গভীর জ্ঞানের বিষয় এটা
ডোন্ট টক, ডোন্ট টক ।
মরার পরে মানব দেহ
হয় পঞ্চভূতে লয়
পঞ্চভূতের একটা মাটি
এই মাটিতেই শাক হয় ।
এইদিনেতে চোদ্দপুরুষকে
মানুষরা করতে স্মরণ
চোদ্দপ্রদীপ জ্বালিয়ে তারা
তাদের করে যে বরণ ।
প্রদীপ তৈরি হয় মাটি দিয়ে
শাক সেই মাটিতেই জন্মায়
প্রদীপ জ্বালাতে যে তেল লাগে
সে শষ্যও ফলে মাটির জিম্মায় ।
জল-মাটিতে প্রথম জীবন
আর বাতাস দিল শ্বাস
যে যার মত সবাই থাকে
এই পৃথিবী প্রাণীর বাস ।
জন্ম নিলে মরতেই হবে
সারসত্য কথাটা জানি
তবুও কেন হিংসা লোভে
মানুষ দেয় যে হাতছানি ।
ভূত হয়ে সব গেছিস বেঁচে
সেই পঞ্চরিপুর থেকে
জ্যান্তরা ভূতের নিন্দে করে
শাক দিয়ে মাছ ঢেকে ।
বুঝবে সবাই মরার পরে
এই খাসা দুনিয়া পেয়ে
ভূত চতুর্দশীতে নাচবে সবাই
কেউ’বা উঠবে হঠাৎ গেয়ে ।